হাদীসের ভবিষ্যৎবাণী
*হযরত ইবনে আইয়াস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমাদের নিকট আমার মাশাইখগণ হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন। আর তাদের একজন (বর্ণনাকারীদের) আরেকজনের উপর বেশী বর্ণনা করেছেন। আর তারা সকলেই বলেছেন যে, হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু এক জ্ঞানী রাহেবের নিকট একত্রিত হলেন যাকে নুসু’ বলা হত। আর সে আলেম ও (পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের) পাঠক ছিল। অতপর তারা দুনিয়ার বিষয়ে এবং দুনিয়ার মধ্যে যা বিরাজ আছে তা নিয়ে আলোচনা করলেন। অতপর নুসু’ বলল হে কা’ব! একজন নবী (মুহাম্মদﷺ) প্রকাশ পাবে, যার একটি দ্বীন বা ধর্ম (ইসলাম) থাকবে। আর তার উক্ত দ্বীন (ইসলাম) সমস্ত দ্বীন বা ধর্মের উপর প্রকাশ (বিজয়ী) পাবে। অতপর নুসু’ হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু কে উদ্দেশ্য করে বলল হে কা’ব আমাকে তাদের রাজত্ব সম্পর্কে অবহিত কর। (তাহলে) আমি তোমাকে সত্যায়ন করবো। এবং তোমার ধর্মে (ইসলামে) প্রবেশ করবো। অতপর হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন আমি তাওরাত কিতাবে পেয়েছি যে, তাদের থেকে (মুহাম্মদﷺ এর বংশের) বারজন বাদশা হবে। তাদের প্রথমজন হবে (আবুবকর সিদ্দিক রাঃ) সত্যবাদী আর সে মৃত্যুবরণ করবে। অতপর পৃথককারী যুদ্ধ করবে। অতপর আমীর বা নেতা যুদ্ধ করবে। অতপর প্রধান রাজা বা বাদশা মৃত্যুবরণ করবে। অতপর আহরাস ওয়ালা মৃত্যুবরণ করবে। অতপর অহংকারকারী মৃত্যুবরণ করবে। অতপর আসব ওয়ালা আর সে হল বাদশাদের শেষজন যে মারা যাবে। অতপর আলামত বা নিদর্শণ ওয়ালা ব্যক্তি বাদশা হবে এবং মারা যাবে। নুশু বলল, এখন আমাকে বধিরদের ফিতনা সম্পর্কে খবর দাও। যারা সেখানে রক্তপাত করবে এবং সেখানে অনেক বালা মুসিবত হবে। হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন উহা তখন ঘটবে যখন ইবনে মাহেক যাহবিয়ানকে হত্যা করা হবে। আর তার হত্যার সময় বালা মুসিবত পড়ে (থেমে) যাবে। আর সুচ্ছন্দতা বেড়ে যাবে। আর উহা প্রজ্জলিত করবে এমন এক কওম যারা বুদ্ধিমান ও অনুগামী (সুখ শান্তি ভোগ করবে)। আর তখন তাদের জন্য নিদর্শন ওয়ালার পরিবার হতে চারজন বাদশা নিযুক্ত হবে। দুইজন বাদশা এমন যাদের জন্য কিতাব পড়া হবে না। আর একজন বাদশা তার বিছানাতে মারা যাবে। তার অবস্থান হবে অল্প সময়ের জন্য। আরেকজন বাদশা যে জওফের দিক হতে আসবে। আর তার দুই হাতে থাকবে বালা মুসিবত। আর তার হতে মুকুট চূর্ণ বিচূর্ণ হবে। আর সে চার মাস হিমসে (সিরিয়ার হোমস শহরে) অবস্থান করবে। অতপর তার যমিন বা দেশ (ইরাক) হতে তার দিকে ভীতি আসবে ফলে সে সেখানে থেকে প্রস্থান করবে। আর তখন জওফের উপর বালা মুসিবত আপতিত হবে। আর যখন তা ঘটবে তখন তাদের (ISIS নিজেদের) মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে এবং তাদের উপর বনু আব্বাসের ফিতনা আবর্তিত হবে। তারা এগারোজন অশ্বারোহী পূর্বদিকে প্রেরণ করবে। আর আল্লাহ তা’আলা তাদের (ঐসময় ISIS এর) কাজে সন্তুষ্ট থাকবেন না। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের (ISIS) দ্বারা ঐসময়ের লোকজনকে পরীক্ষা করবেন। ফলে আরবের প্রত্যেক অধিবাসীদের উপর তাদের শিবির প্রবেশ করবে। ফলে তারা পূর্বদিক হতে বিয়ের বরের ন্যায় দ্রুত চলে যাবে। আর সে সময়ই তাদের (মাহদীর খিলাফত সহজ করার বাহিনীর) কালো পতাকা প্রকাশিত হবে। যারা তাদের ঘোড়া সিরিয়ার যাইতুন গাছের সাথে মিলিত করবে। আর আল্লাহ তা’আলা তাদের (মাহদীর খিলাফত সহজ করা বাহিনীর) হাত দিয়ে প্রত্যেক অহংকারী ও তাদের শত্রুকে হত্যা করবেন। এমনকি তাদের (মাহদীর শত্রু) অধিবাসীদের হতে আত্মগোপনকারী ও পালয়নকারী ব্যতীত কেউ জীবিত থাকবে না। (তখন মাহদীর খিলাফত সহজ করা বাহিনীর দল থেকে) তিনজন মানসূর, সিফাহ, ও মাহদীর প্রকাশ হবে। নুশু বলল তাহলে কে তাদের নেতা ও তাদের বিষয়ের দায়িত্বশীল হবে? তিনি বললেন যারা চলে ও বসবাস করে সৈন্যদের মত। আর সে সময় সিফাহ পূর্বঞ্চলবাসীদের উপর লাঞ্চনা ও হীনতা চাপিয়ে দিবে। যা আরিমাকে (গোত্রের লোকজনকে) পয়তাল্লিশ সকাল মিলিত করবে।অতপর তাদের মাঝে সত্তর হাজার তরবারী (ওয়ালা সৈন্য) প্রবেশ করবে। তাদের প্রতীকি নিশান থাকবে কোষমুক্ত, উচু উচু। অতপর সিফাহ এর জন্য দুটি ঘটনা হবে। একটি ঘটনা বা যুদ্ধ হবে পূর্বাঞ্চলে (সিরিয়া,ইরাক, ইরানে)। আরেকটি হবে জওফে (ইয়েমেনের প্রদেশে)। অতপর যুদ্ধ তার আওযার ( যুদ্ধ থামিয়ে যুদ্ধের পোষাক) রেখে দিবে। নুশু বলল আর কতদিন তাদের রাজত্ব স্থায়ী হবে? হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন সাতের মধ্যে নয়। আর তাদের জন্য উহার শেষে আছে অমঙ্গল। নুশু বলল তাদের ধ্বংসের আলামত কি? তিনি বললেন উহার আলামত হল পূর্বাঞ্চলে (সিরিয়া,ইরাক,ইরানে) দূর্ভিক্ষ, পশ্চিাঞ্চলে (মিশর থেকে আফ্রিকা) পতন, জওফে রক্তিমাকার হওয়া, কিবলাতে (কাবায়) ফাসীর মৃত্যুবরণ। অতপর ঐসময়ের অধিবাসীগণ সিফাহ এর জন্য অজ্ঞতা একত্রিত করবে। তারা তাদের ধর্মকে অহেতুক ও খেলাচ্ছলে গ্রহণ করবে। তারা উহা (ধর্ম) দিনার দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করবে। এমনকি যখন তারা এমন হবে যে তারা তাদের শত্রুকে দেখবে আর এটা ধারণা করবে যে শত্রুরা এখনই তাদের দেশের উপর আক্রমণ করবে তখন তাদের শয়তানী শক্তির (বিদ্রোহীতার) মুল ব্যক্তি আসবে। উহার পূর্বে কেউ তাকে চিনতো না। সে হবে মাঝারি গড়নের, চূলগুলো কোঁকড়ানো, তার চক্ষু হবে কোটারগত, চোখের ভ্রু হবে মিলিত, হলুদবর্ণের। এমনকি যখন সে উক্ত বছরের শেষে যে বছরে ঐসময়ের অধিবাসীরা সফাহের জন্য জমা করেছিল তখন মানসূর মারা যাবে। আর তখন একটি মাত্র শহরে ব্যতীত তারা সবাই পৃথক হয়ে যাবে। অতপর যখন তাদের নিকট খবর পৌঁছবে তখন তারা যেমন ছিল তেমনভাবে মারামারি করবে। অতপর তারা আব্দুল্লাহর জন্য বাইয়াত গ্রহণ করবে। অতপর সুফইয়ানী প্রত্যাবর্তণ করবে। আর সে পশ্চিমাঞ্চলের একটি দলের মাধ্যমে তাদেরকে নিজের দিকে ডাকবে। ফলে তারা তার জন্য এমনভাবে জমা করবে যা ইতিপূর্বে কেউ কারো জন্য করে নাই। অতপর সে কূফা হতে একটি সৈন্যদল বিচ্ছিন্ন করে দিবে। আর তখন বসরা (ইরাক) হতে কোন সৈন্যদল হবে না। আর তখনই তাদের অধিকাংশ লোক আগুনে পুড়ে পানিতে ডুবে মারা যাবে। আর ঐসময় কুফাতে ভূমিধস হবে। আর দুটি জামাআত একটি স্থানে মিলিত হবে। যে স্থানকে কিরকিসিয়া (সিরিয়ার প্রদেশ দেইর-আজ-জুর) বলা হয়। আর তখন সবর পৃথক হয়ে যাবে, তাদের থেকে সাহায্য উঠিয়ে নেয়া হবে এমনকি তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যদি পশ্চিমদিক (সৈন্য) প্রেরণ হয় তাহলে ছোট যুদ্ধ বা ঘটনা হবে। আর ঐসময় আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহর জন্য আফসোস! আর আমি তোমাদের উপর ঐসময়ের সফরের পতাকার ভয় পাইতেছি। যখন তারা পশ্চিম (আফ্রিকার অঞ্চল) হতে মিসরে এসে অবস্থান নিবে তখন তাদের জন্য দুটি ঘটনা ঘটবে। একটি ঘটনা বা যুদ্ধ ঘটবে ফিলিস্তিনে আরেকটি সিরিয়াতে। অতপর কুরাইশের এক মহিলাকে হত্যা করার পর তাদের উপর মুহাজিরগণ ধাবিত হবে। যদি আমি চাই তাহলে তার নামকরণ করতে পারবো। অতপর তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। অতপর একজন বিদ্রোহী বিদ্রোহ করবে। যাকে আব্দুল্লাহ বলা হবে। (দ্বিতীয় সুফিয়ানি) সৃষ্টিজগতের নিকৃষ্ট। সে তার বিষয়কে হিমসে (সিরিয়ার হোমস শহরে) প্রদীপণ করবে। সে দামেস্কে (সিরিয়ার একটি শহরে) আগুন প্রজ্জলিত করবে। আর সে ফিলিস্তিনে বের হবে এবং যে তার বিরোধীতা করবে সে তার উপর প্রকাশ (বিজয় লাভ করবে) পাবে। আর তার হাতেই পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা ধ্বংস হবে। আর তার আহবান হবে নিকৃষ্টতম আহবান। আর তার হত্যা হবে নিকৃষ্টতম হত্যা। সে এক মহিলার গর্ভের মালিক হবে। সে তিনটি সৈন্যদল সহকারে বের হয়ে কূফানে যাবে। তারা সেখানে তারা কাইসের ঘরবাড়ীতে পৌছবে। তারা সেদিন হতে নিস্কৃতির কামনা করবে। আরেক দল যাবে মক্কা ও মদীনার (মাঝামাঝি বায়দা স্থানে) আর সেখানে তাদের উপর ভূমি ধস আসবে।তাদের হতে জুহাইনা গোত্রের দুইজন ব্যক্তি ব্যতিত কেউই বাচতে পারবে না। তাদের মধ্য হতে একজন সিরিয়াতে প্রত্যাবর্তন করবে আরেকজন মক্কার দিকে যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৫ ]
*হযরত ইবনে আইয়াস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমাদের নিকট আমার মাশাইখগণ হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন। আর তাদের একজন (বর্ণনাকারীদের) আরেকজনের উপর বেশী বর্ণনা করেছেন। আর তারা সকলেই বলেছেন যে, হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু এক জ্ঞানী রাহেবের নিকট একত্রিত হলেন যাকে নুসু’ বলা হত। আর সে আলেম ও (পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের) পাঠক ছিল। অতপর তারা দুনিয়ার বিষয়ে এবং দুনিয়ার মধ্যে যা বিরাজ আছে তা নিয়ে আলোচনা করলেন। অতপর নুসু’ বলল হে কা’ব! একজন নবী (মুহাম্মদﷺ) প্রকাশ পাবে, যার একটি দ্বীন বা ধর্ম (ইসলাম) থাকবে। আর তার উক্ত দ্বীন (ইসলাম) সমস্ত দ্বীন বা ধর্মের উপর প্রকাশ (বিজয়ী) পাবে। অতপর নুসু’ হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু কে উদ্দেশ্য করে বলল হে কা’ব আমাকে তাদের রাজত্ব সম্পর্কে অবহিত কর। (তাহলে) আমি তোমাকে সত্যায়ন করবো। এবং তোমার ধর্মে (ইসলামে) প্রবেশ করবো। অতপর হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন আমি তাওরাত কিতাবে পেয়েছি যে, তাদের থেকে (মুহাম্মদﷺ এর বংশের) বারজন বাদশা হবে। তাদের প্রথমজন হবে (আবুবকর সিদ্দিক রাঃ) সত্যবাদী আর সে মৃত্যুবরণ করবে। অতপর পৃথককারী যুদ্ধ করবে। অতপর আমীর বা নেতা যুদ্ধ করবে। অতপর প্রধান রাজা বা বাদশা মৃত্যুবরণ করবে। অতপর আহরাস ওয়ালা মৃত্যুবরণ করবে। অতপর অহংকারকারী মৃত্যুবরণ করবে। অতপর আসব ওয়ালা আর সে হল বাদশাদের শেষজন যে মারা যাবে। অতপর আলামত বা নিদর্শণ ওয়ালা ব্যক্তি বাদশা হবে এবং মারা যাবে। নুশু বলল, এখন আমাকে বধিরদের ফিতনা সম্পর্কে খবর দাও। যারা সেখানে রক্তপাত করবে এবং সেখানে অনেক বালা মুসিবত হবে। হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন উহা তখন ঘটবে যখন ইবনে মাহেক যাহবিয়ানকে হত্যা করা হবে। আর তার হত্যার সময় বালা মুসিবত পড়ে (থেমে) যাবে। আর সুচ্ছন্দতা বেড়ে যাবে। আর উহা প্রজ্জলিত করবে এমন এক কওম যারা বুদ্ধিমান ও অনুগামী (সুখ শান্তি ভোগ করবে)। আর তখন তাদের জন্য নিদর্শন ওয়ালার পরিবার হতে চারজন বাদশা নিযুক্ত হবে। দুইজন বাদশা এমন যাদের জন্য কিতাব পড়া হবে না। আর একজন বাদশা তার বিছানাতে মারা যাবে। তার অবস্থান হবে অল্প সময়ের জন্য। আরেকজন বাদশা যে জওফের দিক হতে আসবে। আর তার দুই হাতে থাকবে বালা মুসিবত। আর তার হতে মুকুট চূর্ণ বিচূর্ণ হবে। আর সে চার মাস হিমসে (সিরিয়ার হোমস শহরে) অবস্থান করবে। অতপর তার যমিন বা দেশ (ইরাক) হতে তার দিকে ভীতি আসবে ফলে সে সেখানে থেকে প্রস্থান করবে। আর তখন জওফের উপর বালা মুসিবত আপতিত হবে। আর যখন তা ঘটবে তখন তাদের (ISIS নিজেদের) মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে এবং তাদের উপর বনু আব্বাসের ফিতনা আবর্তিত হবে। তারা এগারোজন অশ্বারোহী পূর্বদিকে প্রেরণ করবে। আর আল্লাহ তা’আলা তাদের (ঐসময় ISIS এর) কাজে সন্তুষ্ট থাকবেন না। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের (ISIS) দ্বারা ঐসময়ের লোকজনকে পরীক্ষা করবেন। ফলে আরবের প্রত্যেক অধিবাসীদের উপর তাদের শিবির প্রবেশ করবে। ফলে তারা পূর্বদিক হতে বিয়ের বরের ন্যায় দ্রুত চলে যাবে। আর সে সময়ই তাদের (মাহদীর খিলাফত সহজ করার বাহিনীর) কালো পতাকা প্রকাশিত হবে। যারা তাদের ঘোড়া সিরিয়ার যাইতুন গাছের সাথে মিলিত করবে। আর আল্লাহ তা’আলা তাদের (মাহদীর খিলাফত সহজ করা বাহিনীর) হাত দিয়ে প্রত্যেক অহংকারী ও তাদের শত্রুকে হত্যা করবেন। এমনকি তাদের (মাহদীর শত্রু) অধিবাসীদের হতে আত্মগোপনকারী ও পালয়নকারী ব্যতীত কেউ জীবিত থাকবে না। (তখন মাহদীর খিলাফত সহজ করা বাহিনীর দল থেকে) তিনজন মানসূর, সিফাহ, ও মাহদীর প্রকাশ হবে। নুশু বলল তাহলে কে তাদের নেতা ও তাদের বিষয়ের দায়িত্বশীল হবে? তিনি বললেন যারা চলে ও বসবাস করে সৈন্যদের মত। আর সে সময় সিফাহ পূর্বঞ্চলবাসীদের উপর লাঞ্চনা ও হীনতা চাপিয়ে দিবে। যা আরিমাকে (গোত্রের লোকজনকে) পয়তাল্লিশ সকাল মিলিত করবে।অতপর তাদের মাঝে সত্তর হাজার তরবারী (ওয়ালা সৈন্য) প্রবেশ করবে। তাদের প্রতীকি নিশান থাকবে কোষমুক্ত, উচু উচু। অতপর সিফাহ এর জন্য দুটি ঘটনা হবে। একটি ঘটনা বা যুদ্ধ হবে পূর্বাঞ্চলে (সিরিয়া,ইরাক, ইরানে)। আরেকটি হবে জওফে (ইয়েমেনের প্রদেশে)। অতপর যুদ্ধ তার আওযার ( যুদ্ধ থামিয়ে যুদ্ধের পোষাক) রেখে দিবে। নুশু বলল আর কতদিন তাদের রাজত্ব স্থায়ী হবে? হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন সাতের মধ্যে নয়। আর তাদের জন্য উহার শেষে আছে অমঙ্গল। নুশু বলল তাদের ধ্বংসের আলামত কি? তিনি বললেন উহার আলামত হল পূর্বাঞ্চলে (সিরিয়া,ইরাক,ইরানে) দূর্ভিক্ষ, পশ্চিাঞ্চলে (মিশর থেকে আফ্রিকা) পতন, জওফে রক্তিমাকার হওয়া, কিবলাতে (কাবায়) ফাসীর মৃত্যুবরণ। অতপর ঐসময়ের অধিবাসীগণ সিফাহ এর জন্য অজ্ঞতা একত্রিত করবে। তারা তাদের ধর্মকে অহেতুক ও খেলাচ্ছলে গ্রহণ করবে। তারা উহা (ধর্ম) দিনার দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করবে। এমনকি যখন তারা এমন হবে যে তারা তাদের শত্রুকে দেখবে আর এটা ধারণা করবে যে শত্রুরা এখনই তাদের দেশের উপর আক্রমণ করবে তখন তাদের শয়তানী শক্তির (বিদ্রোহীতার) মুল ব্যক্তি আসবে। উহার পূর্বে কেউ তাকে চিনতো না। সে হবে মাঝারি গড়নের, চূলগুলো কোঁকড়ানো, তার চক্ষু হবে কোটারগত, চোখের ভ্রু হবে মিলিত, হলুদবর্ণের। এমনকি যখন সে উক্ত বছরের শেষে যে বছরে ঐসময়ের অধিবাসীরা সফাহের জন্য জমা করেছিল তখন মানসূর মারা যাবে। আর তখন একটি মাত্র শহরে ব্যতীত তারা সবাই পৃথক হয়ে যাবে। অতপর যখন তাদের নিকট খবর পৌঁছবে তখন তারা যেমন ছিল তেমনভাবে মারামারি করবে। অতপর তারা আব্দুল্লাহর জন্য বাইয়াত গ্রহণ করবে। অতপর সুফইয়ানী প্রত্যাবর্তণ করবে। আর সে পশ্চিমাঞ্চলের একটি দলের মাধ্যমে তাদেরকে নিজের দিকে ডাকবে। ফলে তারা তার জন্য এমনভাবে জমা করবে যা ইতিপূর্বে কেউ কারো জন্য করে নাই। অতপর সে কূফা হতে একটি সৈন্যদল বিচ্ছিন্ন করে দিবে। আর তখন বসরা (ইরাক) হতে কোন সৈন্যদল হবে না। আর তখনই তাদের অধিকাংশ লোক আগুনে পুড়ে পানিতে ডুবে মারা যাবে। আর ঐসময় কুফাতে ভূমিধস হবে। আর দুটি জামাআত একটি স্থানে মিলিত হবে। যে স্থানকে কিরকিসিয়া (সিরিয়ার প্রদেশ দেইর-আজ-জুর) বলা হয়। আর তখন সবর পৃথক হয়ে যাবে, তাদের থেকে সাহায্য উঠিয়ে নেয়া হবে এমনকি তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যদি পশ্চিমদিক (সৈন্য) প্রেরণ হয় তাহলে ছোট যুদ্ধ বা ঘটনা হবে। আর ঐসময় আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহর জন্য আফসোস! আর আমি তোমাদের উপর ঐসময়ের সফরের পতাকার ভয় পাইতেছি। যখন তারা পশ্চিম (আফ্রিকার অঞ্চল) হতে মিসরে এসে অবস্থান নিবে তখন তাদের জন্য দুটি ঘটনা ঘটবে। একটি ঘটনা বা যুদ্ধ ঘটবে ফিলিস্তিনে আরেকটি সিরিয়াতে। অতপর কুরাইশের এক মহিলাকে হত্যা করার পর তাদের উপর মুহাজিরগণ ধাবিত হবে। যদি আমি চাই তাহলে তার নামকরণ করতে পারবো। অতপর তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। অতপর একজন বিদ্রোহী বিদ্রোহ করবে। যাকে আব্দুল্লাহ বলা হবে। (দ্বিতীয় সুফিয়ানি) সৃষ্টিজগতের নিকৃষ্ট। সে তার বিষয়কে হিমসে (সিরিয়ার হোমস শহরে) প্রদীপণ করবে। সে দামেস্কে (সিরিয়ার একটি শহরে) আগুন প্রজ্জলিত করবে। আর সে ফিলিস্তিনে বের হবে এবং যে তার বিরোধীতা করবে সে তার উপর প্রকাশ (বিজয় লাভ করবে) পাবে। আর তার হাতেই পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা ধ্বংস হবে। আর তার আহবান হবে নিকৃষ্টতম আহবান। আর তার হত্যা হবে নিকৃষ্টতম হত্যা। সে এক মহিলার গর্ভের মালিক হবে। সে তিনটি সৈন্যদল সহকারে বের হয়ে কূফানে যাবে। তারা সেখানে তারা কাইসের ঘরবাড়ীতে পৌছবে। তারা সেদিন হতে নিস্কৃতির কামনা করবে। আরেক দল যাবে মক্কা ও মদীনার (মাঝামাঝি বায়দা স্থানে) আর সেখানে তাদের উপর ভূমি ধস আসবে।তাদের হতে জুহাইনা গোত্রের দুইজন ব্যক্তি ব্যতিত কেউই বাচতে পারবে না। তাদের মধ্য হতে একজন সিরিয়াতে প্রত্যাবর্তন করবে আরেকজন মক্কার দিকে যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৫ ]
*হযরত আলী ইবনে আবু তালেব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন হুসাইনের বংশধর হতে একজন ব্যক্তি (ইমাম মাহদী) বের হবে। যার নাম হবে (মুহাম্মদ) তোমাদের নবীর নাম। তার প্রকাশের কারনে দুনিয়া ও আসমানবাসী আনন্দিত হবে। অতপর এক ব্যক্তি তাকে বলল হে আমীরুল মুমিনীন! (দ্বিতীয়) সূফইয়ানীর নাম কি? হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন সে হল খালিদ ইবনে ইয়াযীদ ইবনে আবু সুফিয়ানের বংশধর হতে। সে হবে বিশাল মাথার অধিকারী, তার চেহারায় থাকবে গুটিবসন্ত রোগের আলামত থাকবে। তার চোখে থাকবে সাদা ছাপ। তার অবির্ভাব আর হযরত মাহদীর অবির্ভাবে তাদের মাঝে কোন বাদশা থাকবে না। আর সে হযরত মাহদী আলাইহিস সালামের নিকট খেলাফাত অর্পণ করবে। সে সিরিয়ার অন্তর্গত দামেস্কের একটি ওয়াদী (নামক এলাকা) হতে বের হবে। যে ওয়াদীর নাম হবে ওয়াদীল ইয়াবেস। আর সে বের হবে সাতটি দলের মাঝে দলভূক্ত হয়ে তাদের কোন এক ব্যক্তির সাথে। নামানো পতাকা যা তারা সকলেই চিনবে যে, তার পতাকায় (তলে) সাহায্য থাকবে। সে সম্মুখে ত্রিশ মাইল সফর করবে। যারা তাকে (পরাজিত করতে) চাইবে তারা কেহই তার আগমনের ব্যাপারে জানবে না। তারা সকলেই (তার কাছে) পরাজিত হবে। সে (দ্বিতীয় সুফিয়ানী) দামেস্কে এসে দামেস্কের মিম্বরে আসন গ্রহণ করবে। এবং ফক্বীহ ক্বারীদেরকে তার নিকটভাজন বানাবে। সে ব্যবসায়ী ও কর্মজীবিদের মাঝে তরবারী রাখবে। সে ক্বারীদের সংস্পর্শ চাইবে করবে এবং তাদের ব্যাপারে তাদের নিকট সাহায্য কামনা করবে। তাদের থেকে কোন ব্যক্তি তাকে ঐবিষয়ের উপর নিষেধ করতে পারবে না এমনকি সে তাকে হত্যা করবে। আর সে একদল সৈন্য প্রেরণ করবে পূর্বাঞ্চলের (খোরাসান অঞ্চলের) দিকে,আরেকদল পশ্চিমাঞ্চলের দিকে, আরেকদল ইয়ামানের দিকে। আর ইরাকের সৈন্যদলের ওয়ালী বা নেতা হবে বনু হারেসার এক ব্যক্তি। যার নাম হবে ক্বমার ইবনে আব্বাদ। সে হবে মোটা শরীরওয়ালা, তার চুলের দুটি বেণী থাকবে, তার সামনে তার কওমের খাটো আকারের এক ব্যক্তি থাকবে যে হবে টেকো ও তার দুই কাঁধ হবে প্রশস্ত। আর পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীদের (খোরাসান অঞ্চলের) থেকে যারা সিরিয়ায় থাকবে তারা তার (দ্বিতীয় সুফিয়ানির) সাথে যুদ্ধ করবে। আর সেখানে সেদিন তাদের (কালো পতাকাবাহীদের) হতে বিশাল এক দল (সৈন্য) থাকবে। তারা দামেস্ক ও বানিয়্যাহ নামক স্থানের মাঝামাঝি এলাকা তারা যুদ্ধ করবে। পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধে হিমসের অধিবাসীগণ এবং তাদের সাহায্যকারীগণদের প্রত্যেককে সেদিন সুফইয়ানী পরাজিত করবে। অতপর (সিরিয়ার) দামেস্ক ও হিমসে যারা থাকবে তারা সুফইয়ানীর সাথে যাবে এবং তাদের সালীমার দিকে অবস্থিত হিমসের বাদীন নামক এলাকায় পূর্বাঞ্চল (খোরাসান) বাসীদের সাথে সাক্ষাত হবে। আর তখন পূর্বাঞ্চল (খোরাসান) বাসীদের চার ভাগের তিন ভাগ ষাট হাজারের অধিক কিছু লোক তাদের(দ্বিতীয় সুফিয়ানির) সাথে যুদ্ধ করবে। তাতে তারা পরাজিত হবে। আর যেই সৈন্যদল পূবাঞ্চলের দিকে রওয়ানা করেছিল, যখন তারা কূফায় অবস্থান নিবে তখন তাদের মাঝে প্রচন্ড এক যুদ্ধ হবে। তাতে অধিকাংশই মারা যাবে। অতপর কূফাবাসীদের পতন হবে। আর তখন কতইনা রক্ত প্রবাহিত হবে, কতইনা পেট বিদীর্ণ করা হবে, কতইনা সন্তান হত্যা করা হবে, মাল লুণ্ঠন হবে, সতীচ্ছেদ করা হবে, মানুষ মক্কার দিকে পালায়ন করবে। আর সুফইয়ানী উক্ত সৈন্যদলের নেতাকে এইমর্মে পত্র লিখবে যে, তুমি হিজাজের দিকে অগ্রসর হও। অতপর কঠিন এক যুদ্ধের পর সে (দ্বিতীয় সুফিয়ানি) মদীনায় অবস্থান নিবে। আর সেখানে সে কুরাইশদের উপর তরবারী রাখবে ও তাদের এবং আনসারদের চারশ ব্যক্তি হত্যা করবে। অনেক পেট বিদীর্ণ করবে, শিশুদের হত্যা করবে, কুরাইশের বনু হাশেম গোত্রের ভাইবোনকে হত্যা করবে, এবং তাদের দুইজনকে মসজিদের দরজার সাথে শূলিতে চড়াবে। যাদের নাম হবে মুহাম্মাদ ও ফাতেমা। আর মানুষ সেখান (মদিনা) হতে পালায়ন করে মক্কায় চলে যাবে। অতপর সে (দ্বিতীয় সুফিয়ানি) উক্ত সৈন্যসহকারে মক্কার উদ্দেশ্য করে অগ্রসর হয়ে একটি খালি (মক্কা মদিনার মাঝামাঝি) প্রান্তরে অবস্থান নিবে। আর তখন আল্লাহ তা’আলা হযরত জীবরাঈল আলাইহিস সালামকে আদেশ করবেন। তখন তিনি তার আওয়াজে চিৎকার করে বলবেন, হে বাইদা বা খালি প্রান্তুর! তাদের নিয়ে খালি হয়ে (ধ্বংসে) যাও। আর তখন তারা তাদের শেষজন হতে খালি তথা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর তাদের থেকে শুধুমাত্র দুইজন ব্যক্তি জীবিত থাকবে। তাদের সাথে হযরত জীবরাঈল আলাইহিস সালামের সাক্ষাৎ হবে তখন তিনি তাদের চেহারাকে পিছনের দিকে ঘুরিয়ে দিবেন। কেমনযেন আমি তাদের পিছনদিকে হাটতে দেখছি। তারা যাদের সাথে সাক্ষাৎ হচ্ছে তাদেরকে (ঘটে যাওয়া বিষয় সম্পর্কে) অবগত করছে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৬ ]
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৬ ]
*হযরত যামরা ইবনে হাবীব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমাদের নিকট এখবর পৌছেছে যে, রাসূল(ﷺ)বলেছেন যে, আমার উম্মতের পাঁচটি স্তর হবে। আর প্রত্যেক স্তরের চল্লিশ বছর। সুতরাং প্রথম স্তর হল আমি ও আমার সাথে যারা ইয়াকীন ও ইলম ওয়ালা রয়েছে। দ্বিতীয় স্তর হল সৎকর্মকারীর ও পূণ্যবানদের স্তর। তৃতীয় স্তর হল পরস্পর সম্পৃক্ততা ও সহানুভূতিশীলদের স্তর। চতূর্থ স্তর হল পরস্পর বিরোধীতা ও বিচ্ছিন্নতাকারীদের স্তর। পঞ্চম স্তর হল বিশৃংখলায় আনন্দ ও উৎফুল্য প্রকাশকারীদের স্তর। আর দুইশত দশ বছরে (বোমা) নিক্ষেপণ, ভূমি ধস, বিকৃত হওয়া পতিত হবে। আর দুইশত বিশ বছরে যমিনের আলেমদের উপর মৃত্যু পতিত হবে। (তারা মারা যাবে) এমনকি একজনের পর আরেকজন ব্যতিত বাকী থাকবে না। আর দুইশত ত্রিশ বছরে আকাশ ডিমের ন্যায় শিলা বৃষ্টি বর্ষণ করবে। ফলে চতুষ্পদজন্তু ধ্বংস হয়ে যাবে। আর দুইশত চল্লিশ বছরে নীল নদ ও ফুরাত নদীর অবসান হয়ে যাবে এমনকি লোকজন উক্ত দুই নদীর পাড়ে শস্য রোপণ করবে। দুইশত পঞ্চাশ বছরে রাস্তার অবসান ও পশু মানুষের উপর কর্তৃত্ব করবে। আর প্রত্যেক জাতি তাদের শহরকে ভালভাবে আকড়ে ধরবে। আর দুইশত ষাট বছরে সূর্য্যকে অর্ধঘন্টার জন্য আটকে দেয়া হবে যার ফলে অর্ধেক মানুষজাতি ও অর্ধেক জ্বীনজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। দুইশত সত্তর বছরে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে না, কোন মহিলা গর্ভধারণও করবে না। দুইশত আশি বছরে নারীজাতি আপতিত খচ্চরের ন্যায় হবে এমনকি একজন মহিলার উপর চল্লিশজন পুরুষ এমনভাবে পতিত হবে যে, তুমি উহার কিছুই দেখবে না। আর দুইশত নব্বই বছরে বছর মাসে, মাস সপ্তাহে, সপ্তাহ দিনে, দিন ঘন্টায় এবং ঘন্ট খেজুর পাতা পোড়ার সময়ের ন্যায় সময়ে পরিনত হবে। এমনকি কোন ব্যক্তি তার ঘর থেকে বের হবে কিন্ত সে সূর্যাস্তের পূর্বে শহরের গেটে পৌছতে পারবে না। তিনশত বছরে পশ্চিমদিক হতে সূর্যোদয় হবে। আর প্রত্যেক অন্তরকে উহার ভিতরে যা আছে তা নিয়েই মহর মেরে দেয়া হবে। সুতরাং ইতিপূর্বে যারা ঈমান আনায়ন করে নাই তাদের ঈমান কোন নফসকে উপকার করতে পারবে না। অথবা ঈমানের মধ্যে কোন মঙ্গল অর্জন করতে পারবে না। আর ঐসময়ের পরের ব্যাপারে কোন কিছু জিজ্ঞাসাও করা হবে না।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৮ ]
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৮ ]










