হাদীসের ভবিষ্যৎবাণী অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
Friday, April 8, 2022
Saturday, March 21, 2020
ইমাম মাহদী আঃ এর সাথে ঈসা আঃ এর সাথে দেখা হবে না।
ইমাম মাহদী আঃ এর সাথে ঈসা আঃ এর দেখা হবে না।
প্রমাণ নিচের হাদিসগুলো।
সবাই দেখি দাজ্জাল কখন আসবে, ঈসা আলাই সালাম কখন আসবেন, এই বিষয়গুলোতে বড় ধরনের ভুল করে বসে আছেন, বড় বড় আলেমরা পর্যন্ত এই বিষয়ে উদাসীন, অথচ হাদিসগুলো অনুসন্ধানী দৃষ্টিকোণ থেকে গবেষণা করলেই বুঝা যায় যে ইমাম মাহাদী যিনি আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ নামে আসবেন, তার অন্তত 60 থেকে 70 বছর পর দাজ্জাল আসবে এবং ঈসা আলাই সালাম আসবেন, প্রমাণ নিম্নে বর্ণিত হাদিসগুলো।
*হযরত আরতাত রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার কাছে সংবাদ পৌঁছেছে যে,(দ্বিতীয়) মাহদি দীর্ঘ চল্লিশ বৎসর জীবিত থাকবেন, এরপর নিজের বিছানায় মৃত্যুবরণ করবে, অতঃপর কাহতান গোত্রের আরেকজন লোক(নাম মানসুর তৃতীয় মাহদী)যার উভয় কান ছিদ্রবিশিষ্ট হবে খলীফা নিযুক্ত হবেন এবং খলীফা মাহদিকে অনুসরণ করবেন। তিনি বিশ বৎসর পর মারা যাবে। মূলতঃ তাকে(অস্ত্রের মাধ্যমে)হত্যা করা হবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বংশধর থেকে একজন লোক খলীফা হবেন, যার নাম(আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ চতুর্থ)মাহদি হবে, তিনি হবেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী। তার হাতে কায়সারের(সম্রাটের)শহর(ইউরোপ)জয় হবে। তিনি উম্মতে মুহাম্মদিয়ার সর্বশেষ আমীর। তার যুগেই দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং হযরত ঈসা ইবনেমারইয়ান আঃ পৃথিবীর বুকে পূনরায় আগমন করবেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২১৪ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1214/
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২১৪ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1214/
* হযরত আরতাত (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,(৪০ বছর নেতৃত্বের পর দ্বিতীয়)মাহদির মৃত্যুবরণ করার পর কাহতানগোত্রের উভয় কান ছিদ্রবিশিষ্ট একজন লোক(নাম মানসুর তৃতীয় মাহদী)শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করবে। তার চরিত্র হবে হুবহু মাহদির মত। তিনি দীর্ঘ ২০ বৎসর পর্যন্ত শাসক হিসেবে থাকার পর, তাকে অস্ত্রের(মাধ্যমে)হত্যা করা হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বংশধর থেকে জনৈক লোকের(চতুর্থ মাহদী আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ)আত্মপ্রকাশ হবে। যিনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী হবেন। তার হাতে কায়সার সম্রাটের শহর(ইউরোপ)বিজয় হবে। তিনিই হবেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উম্মতের মধ্যে সর্বশেষ খলীফা বা বাদশাহ। তার যুগে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং সায়্যিদুনা হযরত ঈসা (আঃ) আসমান থেকে অবতরণ করবেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৩৪ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1234/
*হযরত আরতাত রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উক্ত ইয়ামানী(চতুর্থ মাহদী আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ)খলীফার নেতৃত্বে কুস্তুনতুনিয়া (ইস্তাম্বুল) এবং রোমানদের(কায়সার সম্রাটের শহর ইউরোপ)এলাকা বিজয় হবে। তার যুগে দাজ্জালে আবির্ভাব হবে এবং হযরত ঈসা আঃ আগমন করবেন। তার আমলে ভারতের যুদ্ধ সংগঠিত হবে, যে যুদ্ধের কথা হযরত আবু হুরায়রা বলে থাকেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৩৮ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1238/
*হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, একদা হযরত মুআবিয়া রাযিঃকে সম্মোধন করে বলতে শুনেছি, আমাদের বংশের জনৈক লোক(দ্বিতীয় মাহদী)দীর্ঘ চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত শাসন ক্ষমতা পরিচালনা করবেন। তার খেলাফতের সাত বৎসর বাকি থাকতে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ-বিগ্রহ হবে। অতঃপর আ’মাক নামক স্থানে তার মৃত্যু হলে তাদের বংশের আরেকজন লোক(চতুর্থ মাহদী আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ)শাসনভার গ্রহণ করবেন। তার হাতেই রোমানদের বিরুদ্ধে(কায়সার সম্রাটের শহর ইউরোপ)বিজয় অর্জন হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২১৯ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1219/
*হযরত আবান ইবনুল ওলীদ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ একদিন হযরত মোয়াবিয়া রাযিঃ এর সাথে কথা বলতে গিয়ে তার কাছে যুগের বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আখেরী যামানায় জনৈক লোক(দ্বিতীয় মাহদী)প্রায় চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে, তার রাজত্ব সাত বৎসর বাকি থাকতে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ-বিগ্রহ হতে থাকবে। অসম্ভব পেরেশানীর সম্মুখীন হয়ে আমাক স্থানে মারা যাবে। অতঃপর লম্বা নাকের অধিকারী এক লোকের হাতে ক্ষমতা যাবে, তার হাতে বিজয় আসবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৮০ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1280/
*বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রথমে যে কুস্তুনতিনিয়া নামক এলাকা জয়লাভ করা হবে, অতঃপর রোম বাহিনীর সাথে ভয়াবহ একযুদ্ধ হবে, এবং সে যুদ্ধে রোমবাহিনী মুসলমান বিপক্ষে জয়লাভ করবে। হাদীস বর্ণনাকারী আবুকাবীল বলেন, মুহাম্মদ ইবনে সাঈদ নামক একলোক আফ্রিকিয়্যারে শাসক নিযুক্ত হবে, যিনি মূলতঃ আসবে। এরপর আরেকজন বনি হাশেম থেকে(চতুর্থ মাহদী)আত্মপ্রকাশ করবে, যার নাম হবে ইস্বা ইবনে ইয়াযিদ, সে হবে রোম বাহিনীর(বিরুদ্ধে)নেতৃত্ব দানকারি এবং তার হাতে রোমের বিজয় নিশ্চিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৩৩৭ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1337/
*হযরত আবু কুবাইল রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু হাশেমের জনৈক লোক, যার নাম হবে, আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ।(চতুর্থ মাহদী)তার হাতেই রোমানদের বিরুদ্ধে(কায়সার সম্রাটের শহর ইউরোপ)বিজয় অর্জন হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২২০ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1220/
*হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্নিত, একদা তার নিকট বারোজন খলীফা এবং আমীরের আলোচনা করা হলে তিনি এরশাদ করেন, আল্লাহর কসম! উক্ত রক্তপাতের পর(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট তৃতীয় মাহদী)খলীফা মনসুর,(চতুর্থ খলিফা)মাহদী সিংহাসনে বসবে। এক পর্যায়ে তারা হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আঃ এর সাথে মিলিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৮২ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1282/
*হযরত কাব রহঃ থেকে বর্নিত তিনি বলেন(কাহতানি)খলিফা মানসূর মাহদী মৃত্যুবরন করার পর আসমান জমিনের অধিবাসি এবং আসমানের পশু পাখি তার জানাযায় শরীক হবে এবং দোয়া করবে। তিনি রোম বাসিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ বিশ বৎসর পর্যন্ত যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন এবং ভয়াবহ এক যুদ্ধে শাহাদাত বরন করবেন। ঐ যুদ্ধে তিনি এবং তার সাথে থাকা আরো দুই হাজারের মত সৈনিক শাহাদাত বরন করবেন। তাদের প্রত্যেকে আমীর এবং ঝান্ডাবাহী। রাসূলুল্লাহ সাঃ দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পর মুসলমান এত মারাত্মক আর কোন মসিবতের সম্মুখিন হয়নি।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৯৯ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1299/
*কাইস আস-সাদাফী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন,(দ্বিতীয়) মাহদির পর জনৈক কাহতানী(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট খলিফা মনসুর)নামক লোক(তৃতীয় মাহদী)শাসক নিযুক্ত হবে। কসম সেই সত্ত্বার যিনি আমাকে হক্ব নিয়ে প্রেরণ করেছেন, তার হাতেই বিজয় হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২২১ ]
*আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত কাহ্তান গোত্র হতে(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট)এমন এক ব্যক্তির আগমন না হবে(নাম মানসুর তৃতীয় মাহদী)যে মানুষ জাতিকে তার লাঠির সাহায্যে পরিচালিত করবে।
[সহিহ বুখারী তাওহীদ প্রকাশনী হাদিস নং ৩৫১৭ ]
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=27882
[৭১১৭, মুসলিম ৫২/১৮ হাঃ ২৯১০]
[আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৬৬]
*কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কিয়ামত কায়িম হবে না যতক্ষন না কাহতান গোত্র হতে(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট)এক ব্যক্তির আবির্ভাব হবে, যে লোকদেরকে লাঠি দ্বারা পরিচালিত করবে।
[সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)হাদিস নম্বরঃ ৭০৪৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=19367
*আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত কাহতান গোত্র হতে এমন(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট) এক ব্যক্তির আগমন না হবে যে মানুষ জাতিকে তার লাঠির সাহায্যে পরিচালিত করবে।
[আল-লুলু ওয়াল মারজান হাদিস নম্বরঃ ১৮৪৪]
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৬১ : মর্যাদা ও গুণাবলী, অধ্যায় ৭, হাঃ ৩৫১৭; মুসলিম, পর্ব ৫২ : ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ, অধ্যায় ১৮, হাঃ ২৯১০ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=85072
*আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... মুহাম্মদ ইবনু জুবায়ের ইবনু মুত্'ঈম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মু'আবিয়া (রাঃ) এর নিকট কুরাইশ প্রতিনিধিদের সহিত তার উপস্থিতিতে সংবাদ পৌছলো যে, আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) বর্ণনা করেন, অচিরেই কাহতান বংশীয়(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট মানসূর নামক)একজন বাদশাহর আবির্ভাব ঘটবে। ইহা শুনে মু'আবীয়া (রাঃ) ক্রোধান্বিত হয়ে খুত্বা দেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আল্লাহর যথাযোগ্য হামদ ও সানার পর তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি, তোমাদের মধ্য হতে কিছু সংখ্যক লোক এমন সব কথাবার্তা বলতে শুরু করেছ যা আল্লাহর কিতাবে নেই এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও বর্ণিত হয়নি। এরাই মূর্খ, এদের থেকে সাবধান থাক এবং এরূপ কাল্পনিক ধারনা হতে সতর্ক থাক যা এর পোষণকারীকে বিপথগামী করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি যে, যতদিন তারা দ্বীন কায়েমে নিয়োজিত থাকবে ততদিন খিলাফত ও শাসন ক্ষমতা কুরাইশদের হাতেই থাকবে। এ বিষয়ে যে-ই তাদের সহিত শত্রুতা করবে আল্লাহ তাকে অধঃমুখে নিক্ষেপ করবেন (অর্থাৎ লাঞ্ছিত ও অপমানিত করবেন)।
[সহীহ বুখারী (ইফাঃ)হাদিস নম্বরঃ ৩২৫১]
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=3509
হাদীস বড় হওয়ার কারণে প্রাসঙ্গিক বিষয় উল্লেখ্য করা হলো।
*পূর্বদিকের জনৈক লোক এগিয়ে আসবে, সে লোক হবে খুবই লম্বা এবং মোটাসোঁটা তার সাথে যার দেখা হবে তাকে হত্যা করবে এক পর্যায়ে বায়তুল মোকাদ্দাসে প্রবেশ করবে। হঠাৎ তার উপর একটি জানোয়ার চড়াও হলে মারা যাবে। যার কারণে পৃথিবী আবারো অনাচারে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। এরপর মুজার গোত্রের আরো একজন লোক আমীর নিযুক্ত হবে, যাকে কতিপয় ভালো লোকজন হত্যা করতে সামর্থ্য হবে। এরপর মুজারী, আম্মানী, কাহতানী গোত্রের জনৈক লোক(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট মানসূর)আমীর হবে। যে মূলতঃ মাহদি চরিত্রে চরিত্রবান হবে এবং তার হাতে রোমানদের শহর জয় হবে। লেখক আবু আব্দুল্লাহ নুআঈম রহঃ বলেন, তিনি এক্্লা নামক এক গ্রাম থেকে বের হয়ে আসবেন, যে গ্রামটি সানা নামক শহর থেকে এক মারহালা পিছনে অবস্থিত, তার পিতা কুরাশি হলেও মাতা হবেন ইয়ামানী।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৩৭ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1137/
*পূর্বদিকের জনৈক লোক এগিয়ে আসবে, সে লোক হবে খুবই লম্বা এবং মোটাসোঁটা তার সাথে যার দেখা হবে তাকে হত্যা করবে এক পর্যায়ে বায়তুল মোকাদ্দাসে প্রবেশ করবে। হঠাৎ তার উপর একটি জানোয়ার চড়াও হলে মারা যাবে। যার কারণে পৃথিবী আবারো অনাচারে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। এরপর মুজার গোত্রের আরো একজন লোক আমীর নিযুক্ত হবে, যাকে কতিপয় ভালো লোকজন হত্যা করতে সামর্থ্য হবে। এরপর মুজারী, আম্মানী, কাহতানী গোত্রের জনৈক লোক(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট মানসূর)আমীর হবে। যে মূলতঃ মাহদি চরিত্রে চরিত্রবান হবে এবং তার হাতে রোমানদের শহর জয় হবে। লেখক আবু আব্দুল্লাহ নুআঈম রহঃ বলেন, তিনি এক্্লা নামক এক গ্রাম থেকে বের হয়ে আসবেন, যে গ্রামটি সানা নামক শহর থেকে এক মারহালা পিছনে অবস্থিত, তার পিতা কুরাশি হলেও মাতা হবেন ইয়ামানী।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৩৭ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1137/
*হযরত ইবনে শিহাব যুহরী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (দ্বিতীয়)মাহদি আঃ এর মৃত্যুর পর লোকজনের মাঝে ফেৎনা, বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ঐ সময় বনু মাখজুমের জনৈক লোক এগিয়ে এসে নিজের জন্য বাইয়াত গ্রহণ করতে থাকবে। কিছুদিন তার রাজত্ব চলার পর সে মানুষকে খাদ্য থেকে বঞ্চিত করবে। তার এসব কাজের কেউ বিরুদ্ধাচরণ করবেনা। এরপর মানুষের জন্য দান করা বন্ধ করে দিবে, কিন্তু তারপরও তার কাজের প্রতিবাদ করার মত কাউকে পাওয়া যাবেনা। একদিন বায়তুল মোকাদ্দাস পৌছলে সে এবং তার সাথিরা টালমাটাল হয়ে যাওয়া চাকার মত হয়ে যাবে। তার ঘরের মহিলারা উলঙ্গ প্রায় হয়ে স্বর্ণরূপা পরিধান করতঃ বাজারে ভ্রমণ করতে থাকবে। কিন্তু তাদেরকে সংশোধন করে দেয়ার মত কাউকে পাওয়া যাবেনা। ইয়ামান থেকে বনুকুজাআহ, মুয়হাজ্ব, হামদান, হিমইয়ার, আযদি, গাছদান এবং যারা তার কথা শুনেনা তাদের সকলকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দিবে। এক পর্যায়ে তাদেরকে বের করা দেয়া হলে তারা এসে ফিলিস্তিনের এক পাহাড়ের চুড়ায় আশ্রয় নেয়। অন্যদিকে জাদীয়, লাখাম ও জুযাম এবং আরো অনেকে শাসকের এহেন আচরনে ক্ষুব্ধ হয়ে খাবার-পানি নিয়ে এগিয়ে আসবে। ইউসুফ আঃ যেমন তার ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন এরাও এসব লোকের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। এমন মুহূর্তে হঠাৎ আসমান একটি গায়েবী আওয়াজ আসবে, যা কোনো মানুষ কিংবা জ্বিনের কণ্ঠ থাকবেনা। সে বলবে ‘তোমরা অমুকের হাতে বায়আত গ্রহণ করো, তোমরা হিজরতের পর পূনরায় পিছনে ফিরে যেয়োনা। তারা সকলে এদিক ওদিক দৃষ্টি দিয়ে কাউকে দেখতে পাবে না। এভাবে তিনবার গায়েবী আওয়াজ আসলে, তারা সকলে(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট তৃতীয় মাহদী)মানসূরের হাতে বায়আত গ্রহণ করবে। অতঃপর দশজনের একটি প্রতিনিধিদল মাখযূযির কাছে পাঠানো হলে তাদের নয়জনকে সে হত্যা করবে, কেবল একজনকে জীবিত রাখবে। এরপর পাঁচজনের আরেকটি দল প্রেরণ করলে তাদের চারজনকে হত্যা করে একজনকে জীবিত রাখা হবে। অতঃপর তিনজনের আরেকটি প্রতিনিধি পাঠানো হলে দুইজনকে হত্যা করে একজনকে জীবিত রাখা হবে। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর মুসলমানরা তার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করবে এবং তার সাথীবর্গসহ তাকে(কাহতানিকে অস্ত্রের মাধ্যমে) হত্যা করা হবে। গোপনে পলায়নকারী ব্যতীত কেউ বাঁচতে পারবেনা। প্রত্যেক কুরাশীকে হত্যা করা হবে। তখন হাজারো তালাশ করেও একজন কুরাশী পাওয়া যাবেনা, যেমন বর্তমানে কেউ জুরহুম গোত্রের কাউকে তালাশ করে পাওয়া যাবেনা। ঠিক তেমনিভাবে কুরাইশ গোত্রের লোকজনকেও ব্যাপকভাবে হত্যা করা হলে, পরবর্তীতে আর তাদের কাউকে পাওয়া যাবে না।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৩৬ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1136/
*হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিয়ামত সংগঠিত হবেনা যতক্ষণ না কাহতান এলাকার(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট)এক লোক মানুষকে তার অধীন করবেন না।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৩৯ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1139/
*হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, কিয়ামতের পূর্বে কাহতান এলাকার(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট)জনৈক লোক তার শাসনের লাঠি দ্বারা মানুষকে তার অধীন করে নিবেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৪০ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1140/
*হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হাজ্জাজ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ হিসাব করে বলতেন(প্রথম মাহদীর পর)প্রথমে জালেম শাসক হবে জাবের, অতঃপর(দ্বিতীয়)মাহদি, এরপর(তৃতীয় মাহদী)মানসুর, অতঃপর সালাম, এরপর আমীরুল গজব আমীর নিযুক্ত হবে। এরপর যাদের সাধ্য রয়েছে, তারা যেন মৃত্যু বরণ করে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৪৪ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1144/
Monday, February 17, 2020
হাদীসের ভবিষ্যৎবাণী
*হযরত ইবনে আইয়াস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমাদের নিকট আমার মাশাইখগণ হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন। আর তাদের একজন (বর্ণনাকারীদের) আরেকজনের উপর বেশী বর্ণনা করেছেন। আর তারা সকলেই বলেছেন যে, হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু এক জ্ঞানী রাহেবের নিকট একত্রিত হলেন যাকে নুসু’ বলা হত। আর সে আলেম ও (পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের) পাঠক ছিল। অতপর তারা দুনিয়ার বিষয়ে এবং দুনিয়ার মধ্যে যা বিরাজ আছে তা নিয়ে আলোচনা করলেন। অতপর নুসু’ বলল হে কা’ব! একজন নবী (মুহাম্মদﷺ) প্রকাশ পাবে, যার একটি দ্বীন বা ধর্ম (ইসলাম) থাকবে। আর তার উক্ত দ্বীন (ইসলাম) সমস্ত দ্বীন বা ধর্মের উপর প্রকাশ (বিজয়ী) পাবে। অতপর নুসু’ হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু কে উদ্দেশ্য করে বলল হে কা’ব আমাকে তাদের রাজত্ব সম্পর্কে অবহিত কর। (তাহলে) আমি তোমাকে সত্যায়ন করবো। এবং তোমার ধর্মে (ইসলামে) প্রবেশ করবো। অতপর হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন আমি তাওরাত কিতাবে পেয়েছি যে, তাদের থেকে (মুহাম্মদﷺ এর বংশের) বারজন বাদশা হবে। তাদের প্রথমজন হবে (আবুবকর সিদ্দিক রাঃ) সত্যবাদী আর সে মৃত্যুবরণ করবে। অতপর পৃথককারী যুদ্ধ করবে। অতপর আমীর বা নেতা যুদ্ধ করবে। অতপর প্রধান রাজা বা বাদশা মৃত্যুবরণ করবে। অতপর আহরাস ওয়ালা মৃত্যুবরণ করবে। অতপর অহংকারকারী মৃত্যুবরণ করবে। অতপর আসব ওয়ালা আর সে হল বাদশাদের শেষজন যে মারা যাবে। অতপর আলামত বা নিদর্শণ ওয়ালা ব্যক্তি বাদশা হবে এবং মারা যাবে। নুশু বলল, এখন আমাকে বধিরদের ফিতনা সম্পর্কে খবর দাও। যারা সেখানে রক্তপাত করবে এবং সেখানে অনেক বালা মুসিবত হবে। হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন উহা তখন ঘটবে যখন ইবনে মাহেক যাহবিয়ানকে হত্যা করা হবে। আর তার হত্যার সময় বালা মুসিবত পড়ে (থেমে) যাবে। আর সুচ্ছন্দতা বেড়ে যাবে। আর উহা প্রজ্জলিত করবে এমন এক কওম যারা বুদ্ধিমান ও অনুগামী (সুখ শান্তি ভোগ করবে)। আর তখন তাদের জন্য নিদর্শন ওয়ালার পরিবার হতে চারজন বাদশা নিযুক্ত হবে। দুইজন বাদশা এমন যাদের জন্য কিতাব পড়া হবে না। আর একজন বাদশা তার বিছানাতে মারা যাবে। তার অবস্থান হবে অল্প সময়ের জন্য। আরেকজন বাদশা যে জওফের দিক হতে আসবে। আর তার দুই হাতে থাকবে বালা মুসিবত। আর তার হতে মুকুট চূর্ণ বিচূর্ণ হবে। আর সে চার মাস হিমসে (সিরিয়ার হোমস শহরে) অবস্থান করবে। অতপর তার যমিন বা দেশ (ইরাক) হতে তার দিকে ভীতি আসবে ফলে সে সেখানে থেকে প্রস্থান করবে। আর তখন জওফের উপর বালা মুসিবত আপতিত হবে। আর যখন তা ঘটবে তখন তাদের (ISIS নিজেদের) মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে এবং তাদের উপর বনু আব্বাসের ফিতনা আবর্তিত হবে। তারা এগারোজন অশ্বারোহী পূর্বদিকে প্রেরণ করবে। আর আল্লাহ তা’আলা তাদের (ঐসময় ISIS এর) কাজে সন্তুষ্ট থাকবেন না। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের (ISIS) দ্বারা ঐসময়ের লোকজনকে পরীক্ষা করবেন। ফলে আরবের প্রত্যেক অধিবাসীদের উপর তাদের শিবির প্রবেশ করবে। ফলে তারা পূর্বদিক হতে বিয়ের বরের ন্যায় দ্রুত চলে যাবে। আর সে সময়ই তাদের (মাহদীর খিলাফত সহজ করার বাহিনীর) কালো পতাকা প্রকাশিত হবে। যারা তাদের ঘোড়া সিরিয়ার যাইতুন গাছের সাথে মিলিত করবে। আর আল্লাহ তা’আলা তাদের (মাহদীর খিলাফত সহজ করা বাহিনীর) হাত দিয়ে প্রত্যেক অহংকারী ও তাদের শত্রুকে হত্যা করবেন। এমনকি তাদের (মাহদীর শত্রু) অধিবাসীদের হতে আত্মগোপনকারী ও পালয়নকারী ব্যতীত কেউ জীবিত থাকবে না। (তখন মাহদীর খিলাফত সহজ করা বাহিনীর দল থেকে) তিনজন মানসূর, সিফাহ, ও মাহদীর প্রকাশ হবে। নুশু বলল তাহলে কে তাদের নেতা ও তাদের বিষয়ের দায়িত্বশীল হবে? তিনি বললেন যারা চলে ও বসবাস করে সৈন্যদের মত। আর সে সময় সিফাহ পূর্বঞ্চলবাসীদের উপর লাঞ্চনা ও হীনতা চাপিয়ে দিবে। যা আরিমাকে (গোত্রের লোকজনকে) পয়তাল্লিশ সকাল মিলিত করবে।অতপর তাদের মাঝে সত্তর হাজার তরবারী (ওয়ালা সৈন্য) প্রবেশ করবে। তাদের প্রতীকি নিশান থাকবে কোষমুক্ত, উচু উচু। অতপর সিফাহ এর জন্য দুটি ঘটনা হবে। একটি ঘটনা বা যুদ্ধ হবে পূর্বাঞ্চলে (সিরিয়া,ইরাক, ইরানে)। আরেকটি হবে জওফে (ইয়েমেনের প্রদেশে)। অতপর যুদ্ধ তার আওযার ( যুদ্ধ থামিয়ে যুদ্ধের পোষাক) রেখে দিবে। নুশু বলল আর কতদিন তাদের রাজত্ব স্থায়ী হবে? হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন সাতের মধ্যে নয়। আর তাদের জন্য উহার শেষে আছে অমঙ্গল। নুশু বলল তাদের ধ্বংসের আলামত কি? তিনি বললেন উহার আলামত হল পূর্বাঞ্চলে (সিরিয়া,ইরাক,ইরানে) দূর্ভিক্ষ, পশ্চিাঞ্চলে (মিশর থেকে আফ্রিকা) পতন, জওফে রক্তিমাকার হওয়া, কিবলাতে (কাবায়) ফাসীর মৃত্যুবরণ। অতপর ঐসময়ের অধিবাসীগণ সিফাহ এর জন্য অজ্ঞতা একত্রিত করবে। তারা তাদের ধর্মকে অহেতুক ও খেলাচ্ছলে গ্রহণ করবে। তারা উহা (ধর্ম) দিনার দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করবে। এমনকি যখন তারা এমন হবে যে তারা তাদের শত্রুকে দেখবে আর এটা ধারণা করবে যে শত্রুরা এখনই তাদের দেশের উপর আক্রমণ করবে তখন তাদের শয়তানী শক্তির (বিদ্রোহীতার) মুল ব্যক্তি আসবে। উহার পূর্বে কেউ তাকে চিনতো না। সে হবে মাঝারি গড়নের, চূলগুলো কোঁকড়ানো, তার চক্ষু হবে কোটারগত, চোখের ভ্রু হবে মিলিত, হলুদবর্ণের। এমনকি যখন সে উক্ত বছরের শেষে যে বছরে ঐসময়ের অধিবাসীরা সফাহের জন্য জমা করেছিল তখন মানসূর মারা যাবে। আর তখন একটি মাত্র শহরে ব্যতীত তারা সবাই পৃথক হয়ে যাবে। অতপর যখন তাদের নিকট খবর পৌঁছবে তখন তারা যেমন ছিল তেমনভাবে মারামারি করবে। অতপর তারা আব্দুল্লাহর জন্য বাইয়াত গ্রহণ করবে। অতপর সুফইয়ানী প্রত্যাবর্তণ করবে। আর সে পশ্চিমাঞ্চলের একটি দলের মাধ্যমে তাদেরকে নিজের দিকে ডাকবে। ফলে তারা তার জন্য এমনভাবে জমা করবে যা ইতিপূর্বে কেউ কারো জন্য করে নাই। অতপর সে কূফা হতে একটি সৈন্যদল বিচ্ছিন্ন করে দিবে। আর তখন বসরা (ইরাক) হতে কোন সৈন্যদল হবে না। আর তখনই তাদের অধিকাংশ লোক আগুনে পুড়ে পানিতে ডুবে মারা যাবে। আর ঐসময় কুফাতে ভূমিধস হবে। আর দুটি জামাআত একটি স্থানে মিলিত হবে। যে স্থানকে কিরকিসিয়া (সিরিয়ার প্রদেশ দেইর-আজ-জুর) বলা হয়। আর তখন সবর পৃথক হয়ে যাবে, তাদের থেকে সাহায্য উঠিয়ে নেয়া হবে এমনকি তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যদি পশ্চিমদিক (সৈন্য) প্রেরণ হয় তাহলে ছোট যুদ্ধ বা ঘটনা হবে। আর ঐসময় আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহর জন্য আফসোস! আর আমি তোমাদের উপর ঐসময়ের সফরের পতাকার ভয় পাইতেছি। যখন তারা পশ্চিম (আফ্রিকার অঞ্চল) হতে মিসরে এসে অবস্থান নিবে তখন তাদের জন্য দুটি ঘটনা ঘটবে। একটি ঘটনা বা যুদ্ধ ঘটবে ফিলিস্তিনে আরেকটি সিরিয়াতে। অতপর কুরাইশের এক মহিলাকে হত্যা করার পর তাদের উপর মুহাজিরগণ ধাবিত হবে। যদি আমি চাই তাহলে তার নামকরণ করতে পারবো। অতপর তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। অতপর একজন বিদ্রোহী বিদ্রোহ করবে। যাকে আব্দুল্লাহ বলা হবে। (দ্বিতীয় সুফিয়ানি) সৃষ্টিজগতের নিকৃষ্ট। সে তার বিষয়কে হিমসে (সিরিয়ার হোমস শহরে) প্রদীপণ করবে। সে দামেস্কে (সিরিয়ার একটি শহরে) আগুন প্রজ্জলিত করবে। আর সে ফিলিস্তিনে বের হবে এবং যে তার বিরোধীতা করবে সে তার উপর প্রকাশ (বিজয় লাভ করবে) পাবে। আর তার হাতেই পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা ধ্বংস হবে। আর তার আহবান হবে নিকৃষ্টতম আহবান। আর তার হত্যা হবে নিকৃষ্টতম হত্যা। সে এক মহিলার গর্ভের মালিক হবে। সে তিনটি সৈন্যদল সহকারে বের হয়ে কূফানে যাবে। তারা সেখানে তারা কাইসের ঘরবাড়ীতে পৌছবে। তারা সেদিন হতে নিস্কৃতির কামনা করবে। আরেক দল যাবে মক্কা ও মদীনার (মাঝামাঝি বায়দা স্থানে) আর সেখানে তাদের উপর ভূমি ধস আসবে।তাদের হতে জুহাইনা গোত্রের দুইজন ব্যক্তি ব্যতিত কেউই বাচতে পারবে না। তাদের মধ্য হতে একজন সিরিয়াতে প্রত্যাবর্তন করবে আরেকজন মক্কার দিকে যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৫ ]
*হযরত ইবনে আইয়াস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমাদের নিকট আমার মাশাইখগণ হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন। আর তাদের একজন (বর্ণনাকারীদের) আরেকজনের উপর বেশী বর্ণনা করেছেন। আর তারা সকলেই বলেছেন যে, হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু এক জ্ঞানী রাহেবের নিকট একত্রিত হলেন যাকে নুসু’ বলা হত। আর সে আলেম ও (পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের) পাঠক ছিল। অতপর তারা দুনিয়ার বিষয়ে এবং দুনিয়ার মধ্যে যা বিরাজ আছে তা নিয়ে আলোচনা করলেন। অতপর নুসু’ বলল হে কা’ব! একজন নবী (মুহাম্মদﷺ) প্রকাশ পাবে, যার একটি দ্বীন বা ধর্ম (ইসলাম) থাকবে। আর তার উক্ত দ্বীন (ইসলাম) সমস্ত দ্বীন বা ধর্মের উপর প্রকাশ (বিজয়ী) পাবে। অতপর নুসু’ হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু কে উদ্দেশ্য করে বলল হে কা’ব আমাকে তাদের রাজত্ব সম্পর্কে অবহিত কর। (তাহলে) আমি তোমাকে সত্যায়ন করবো। এবং তোমার ধর্মে (ইসলামে) প্রবেশ করবো। অতপর হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন আমি তাওরাত কিতাবে পেয়েছি যে, তাদের থেকে (মুহাম্মদﷺ এর বংশের) বারজন বাদশা হবে। তাদের প্রথমজন হবে (আবুবকর সিদ্দিক রাঃ) সত্যবাদী আর সে মৃত্যুবরণ করবে। অতপর পৃথককারী যুদ্ধ করবে। অতপর আমীর বা নেতা যুদ্ধ করবে। অতপর প্রধান রাজা বা বাদশা মৃত্যুবরণ করবে। অতপর আহরাস ওয়ালা মৃত্যুবরণ করবে। অতপর অহংকারকারী মৃত্যুবরণ করবে। অতপর আসব ওয়ালা আর সে হল বাদশাদের শেষজন যে মারা যাবে। অতপর আলামত বা নিদর্শণ ওয়ালা ব্যক্তি বাদশা হবে এবং মারা যাবে। নুশু বলল, এখন আমাকে বধিরদের ফিতনা সম্পর্কে খবর দাও। যারা সেখানে রক্তপাত করবে এবং সেখানে অনেক বালা মুসিবত হবে। হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন উহা তখন ঘটবে যখন ইবনে মাহেক যাহবিয়ানকে হত্যা করা হবে। আর তার হত্যার সময় বালা মুসিবত পড়ে (থেমে) যাবে। আর সুচ্ছন্দতা বেড়ে যাবে। আর উহা প্রজ্জলিত করবে এমন এক কওম যারা বুদ্ধিমান ও অনুগামী (সুখ শান্তি ভোগ করবে)। আর তখন তাদের জন্য নিদর্শন ওয়ালার পরিবার হতে চারজন বাদশা নিযুক্ত হবে। দুইজন বাদশা এমন যাদের জন্য কিতাব পড়া হবে না। আর একজন বাদশা তার বিছানাতে মারা যাবে। তার অবস্থান হবে অল্প সময়ের জন্য। আরেকজন বাদশা যে জওফের দিক হতে আসবে। আর তার দুই হাতে থাকবে বালা মুসিবত। আর তার হতে মুকুট চূর্ণ বিচূর্ণ হবে। আর সে চার মাস হিমসে (সিরিয়ার হোমস শহরে) অবস্থান করবে। অতপর তার যমিন বা দেশ (ইরাক) হতে তার দিকে ভীতি আসবে ফলে সে সেখানে থেকে প্রস্থান করবে। আর তখন জওফের উপর বালা মুসিবত আপতিত হবে। আর যখন তা ঘটবে তখন তাদের (ISIS নিজেদের) মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে এবং তাদের উপর বনু আব্বাসের ফিতনা আবর্তিত হবে। তারা এগারোজন অশ্বারোহী পূর্বদিকে প্রেরণ করবে। আর আল্লাহ তা’আলা তাদের (ঐসময় ISIS এর) কাজে সন্তুষ্ট থাকবেন না। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের (ISIS) দ্বারা ঐসময়ের লোকজনকে পরীক্ষা করবেন। ফলে আরবের প্রত্যেক অধিবাসীদের উপর তাদের শিবির প্রবেশ করবে। ফলে তারা পূর্বদিক হতে বিয়ের বরের ন্যায় দ্রুত চলে যাবে। আর সে সময়ই তাদের (মাহদীর খিলাফত সহজ করার বাহিনীর) কালো পতাকা প্রকাশিত হবে। যারা তাদের ঘোড়া সিরিয়ার যাইতুন গাছের সাথে মিলিত করবে। আর আল্লাহ তা’আলা তাদের (মাহদীর খিলাফত সহজ করা বাহিনীর) হাত দিয়ে প্রত্যেক অহংকারী ও তাদের শত্রুকে হত্যা করবেন। এমনকি তাদের (মাহদীর শত্রু) অধিবাসীদের হতে আত্মগোপনকারী ও পালয়নকারী ব্যতীত কেউ জীবিত থাকবে না। (তখন মাহদীর খিলাফত সহজ করা বাহিনীর দল থেকে) তিনজন মানসূর, সিফাহ, ও মাহদীর প্রকাশ হবে। নুশু বলল তাহলে কে তাদের নেতা ও তাদের বিষয়ের দায়িত্বশীল হবে? তিনি বললেন যারা চলে ও বসবাস করে সৈন্যদের মত। আর সে সময় সিফাহ পূর্বঞ্চলবাসীদের উপর লাঞ্চনা ও হীনতা চাপিয়ে দিবে। যা আরিমাকে (গোত্রের লোকজনকে) পয়তাল্লিশ সকাল মিলিত করবে।অতপর তাদের মাঝে সত্তর হাজার তরবারী (ওয়ালা সৈন্য) প্রবেশ করবে। তাদের প্রতীকি নিশান থাকবে কোষমুক্ত, উচু উচু। অতপর সিফাহ এর জন্য দুটি ঘটনা হবে। একটি ঘটনা বা যুদ্ধ হবে পূর্বাঞ্চলে (সিরিয়া,ইরাক, ইরানে)। আরেকটি হবে জওফে (ইয়েমেনের প্রদেশে)। অতপর যুদ্ধ তার আওযার ( যুদ্ধ থামিয়ে যুদ্ধের পোষাক) রেখে দিবে। নুশু বলল আর কতদিন তাদের রাজত্ব স্থায়ী হবে? হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন সাতের মধ্যে নয়। আর তাদের জন্য উহার শেষে আছে অমঙ্গল। নুশু বলল তাদের ধ্বংসের আলামত কি? তিনি বললেন উহার আলামত হল পূর্বাঞ্চলে (সিরিয়া,ইরাক,ইরানে) দূর্ভিক্ষ, পশ্চিাঞ্চলে (মিশর থেকে আফ্রিকা) পতন, জওফে রক্তিমাকার হওয়া, কিবলাতে (কাবায়) ফাসীর মৃত্যুবরণ। অতপর ঐসময়ের অধিবাসীগণ সিফাহ এর জন্য অজ্ঞতা একত্রিত করবে। তারা তাদের ধর্মকে অহেতুক ও খেলাচ্ছলে গ্রহণ করবে। তারা উহা (ধর্ম) দিনার দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করবে। এমনকি যখন তারা এমন হবে যে তারা তাদের শত্রুকে দেখবে আর এটা ধারণা করবে যে শত্রুরা এখনই তাদের দেশের উপর আক্রমণ করবে তখন তাদের শয়তানী শক্তির (বিদ্রোহীতার) মুল ব্যক্তি আসবে। উহার পূর্বে কেউ তাকে চিনতো না। সে হবে মাঝারি গড়নের, চূলগুলো কোঁকড়ানো, তার চক্ষু হবে কোটারগত, চোখের ভ্রু হবে মিলিত, হলুদবর্ণের। এমনকি যখন সে উক্ত বছরের শেষে যে বছরে ঐসময়ের অধিবাসীরা সফাহের জন্য জমা করেছিল তখন মানসূর মারা যাবে। আর তখন একটি মাত্র শহরে ব্যতীত তারা সবাই পৃথক হয়ে যাবে। অতপর যখন তাদের নিকট খবর পৌঁছবে তখন তারা যেমন ছিল তেমনভাবে মারামারি করবে। অতপর তারা আব্দুল্লাহর জন্য বাইয়াত গ্রহণ করবে। অতপর সুফইয়ানী প্রত্যাবর্তণ করবে। আর সে পশ্চিমাঞ্চলের একটি দলের মাধ্যমে তাদেরকে নিজের দিকে ডাকবে। ফলে তারা তার জন্য এমনভাবে জমা করবে যা ইতিপূর্বে কেউ কারো জন্য করে নাই। অতপর সে কূফা হতে একটি সৈন্যদল বিচ্ছিন্ন করে দিবে। আর তখন বসরা (ইরাক) হতে কোন সৈন্যদল হবে না। আর তখনই তাদের অধিকাংশ লোক আগুনে পুড়ে পানিতে ডুবে মারা যাবে। আর ঐসময় কুফাতে ভূমিধস হবে। আর দুটি জামাআত একটি স্থানে মিলিত হবে। যে স্থানকে কিরকিসিয়া (সিরিয়ার প্রদেশ দেইর-আজ-জুর) বলা হয়। আর তখন সবর পৃথক হয়ে যাবে, তাদের থেকে সাহায্য উঠিয়ে নেয়া হবে এমনকি তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যদি পশ্চিমদিক (সৈন্য) প্রেরণ হয় তাহলে ছোট যুদ্ধ বা ঘটনা হবে। আর ঐসময় আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহর জন্য আফসোস! আর আমি তোমাদের উপর ঐসময়ের সফরের পতাকার ভয় পাইতেছি। যখন তারা পশ্চিম (আফ্রিকার অঞ্চল) হতে মিসরে এসে অবস্থান নিবে তখন তাদের জন্য দুটি ঘটনা ঘটবে। একটি ঘটনা বা যুদ্ধ ঘটবে ফিলিস্তিনে আরেকটি সিরিয়াতে। অতপর কুরাইশের এক মহিলাকে হত্যা করার পর তাদের উপর মুহাজিরগণ ধাবিত হবে। যদি আমি চাই তাহলে তার নামকরণ করতে পারবো। অতপর তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। অতপর একজন বিদ্রোহী বিদ্রোহ করবে। যাকে আব্দুল্লাহ বলা হবে। (দ্বিতীয় সুফিয়ানি) সৃষ্টিজগতের নিকৃষ্ট। সে তার বিষয়কে হিমসে (সিরিয়ার হোমস শহরে) প্রদীপণ করবে। সে দামেস্কে (সিরিয়ার একটি শহরে) আগুন প্রজ্জলিত করবে। আর সে ফিলিস্তিনে বের হবে এবং যে তার বিরোধীতা করবে সে তার উপর প্রকাশ (বিজয় লাভ করবে) পাবে। আর তার হাতেই পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা ধ্বংস হবে। আর তার আহবান হবে নিকৃষ্টতম আহবান। আর তার হত্যা হবে নিকৃষ্টতম হত্যা। সে এক মহিলার গর্ভের মালিক হবে। সে তিনটি সৈন্যদল সহকারে বের হয়ে কূফানে যাবে। তারা সেখানে তারা কাইসের ঘরবাড়ীতে পৌছবে। তারা সেদিন হতে নিস্কৃতির কামনা করবে। আরেক দল যাবে মক্কা ও মদীনার (মাঝামাঝি বায়দা স্থানে) আর সেখানে তাদের উপর ভূমি ধস আসবে।তাদের হতে জুহাইনা গোত্রের দুইজন ব্যক্তি ব্যতিত কেউই বাচতে পারবে না। তাদের মধ্য হতে একজন সিরিয়াতে প্রত্যাবর্তন করবে আরেকজন মক্কার দিকে যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৫ ]
*হযরত আলী ইবনে আবু তালেব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন হুসাইনের বংশধর হতে একজন ব্যক্তি (ইমাম মাহদী) বের হবে। যার নাম হবে (মুহাম্মদ) তোমাদের নবীর নাম। তার প্রকাশের কারনে দুনিয়া ও আসমানবাসী আনন্দিত হবে। অতপর এক ব্যক্তি তাকে বলল হে আমীরুল মুমিনীন! (দ্বিতীয়) সূফইয়ানীর নাম কি? হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন সে হল খালিদ ইবনে ইয়াযীদ ইবনে আবু সুফিয়ানের বংশধর হতে। সে হবে বিশাল মাথার অধিকারী, তার চেহারায় থাকবে গুটিবসন্ত রোগের আলামত থাকবে। তার চোখে থাকবে সাদা ছাপ। তার অবির্ভাব আর হযরত মাহদীর অবির্ভাবে তাদের মাঝে কোন বাদশা থাকবে না। আর সে হযরত মাহদী আলাইহিস সালামের নিকট খেলাফাত অর্পণ করবে। সে সিরিয়ার অন্তর্গত দামেস্কের একটি ওয়াদী (নামক এলাকা) হতে বের হবে। যে ওয়াদীর নাম হবে ওয়াদীল ইয়াবেস। আর সে বের হবে সাতটি দলের মাঝে দলভূক্ত হয়ে তাদের কোন এক ব্যক্তির সাথে। নামানো পতাকা যা তারা সকলেই চিনবে যে, তার পতাকায় (তলে) সাহায্য থাকবে। সে সম্মুখে ত্রিশ মাইল সফর করবে। যারা তাকে (পরাজিত করতে) চাইবে তারা কেহই তার আগমনের ব্যাপারে জানবে না। তারা সকলেই (তার কাছে) পরাজিত হবে। সে (দ্বিতীয় সুফিয়ানী) দামেস্কে এসে দামেস্কের মিম্বরে আসন গ্রহণ করবে। এবং ফক্বীহ ক্বারীদেরকে তার নিকটভাজন বানাবে। সে ব্যবসায়ী ও কর্মজীবিদের মাঝে তরবারী রাখবে। সে ক্বারীদের সংস্পর্শ চাইবে করবে এবং তাদের ব্যাপারে তাদের নিকট সাহায্য কামনা করবে। তাদের থেকে কোন ব্যক্তি তাকে ঐবিষয়ের উপর নিষেধ করতে পারবে না এমনকি সে তাকে হত্যা করবে। আর সে একদল সৈন্য প্রেরণ করবে পূর্বাঞ্চলের (খোরাসান অঞ্চলের) দিকে,আরেকদল পশ্চিমাঞ্চলের দিকে, আরেকদল ইয়ামানের দিকে। আর ইরাকের সৈন্যদলের ওয়ালী বা নেতা হবে বনু হারেসার এক ব্যক্তি। যার নাম হবে ক্বমার ইবনে আব্বাদ। সে হবে মোটা শরীরওয়ালা, তার চুলের দুটি বেণী থাকবে, তার সামনে তার কওমের খাটো আকারের এক ব্যক্তি থাকবে যে হবে টেকো ও তার দুই কাঁধ হবে প্রশস্ত। আর পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীদের (খোরাসান অঞ্চলের) থেকে যারা সিরিয়ায় থাকবে তারা তার (দ্বিতীয় সুফিয়ানির) সাথে যুদ্ধ করবে। আর সেখানে সেদিন তাদের (কালো পতাকাবাহীদের) হতে বিশাল এক দল (সৈন্য) থাকবে। তারা দামেস্ক ও বানিয়্যাহ নামক স্থানের মাঝামাঝি এলাকা তারা যুদ্ধ করবে। পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধে হিমসের অধিবাসীগণ এবং তাদের সাহায্যকারীগণদের প্রত্যেককে সেদিন সুফইয়ানী পরাজিত করবে। অতপর (সিরিয়ার) দামেস্ক ও হিমসে যারা থাকবে তারা সুফইয়ানীর সাথে যাবে এবং তাদের সালীমার দিকে অবস্থিত হিমসের বাদীন নামক এলাকায় পূর্বাঞ্চল (খোরাসান) বাসীদের সাথে সাক্ষাত হবে। আর তখন পূর্বাঞ্চল (খোরাসান) বাসীদের চার ভাগের তিন ভাগ ষাট হাজারের অধিক কিছু লোক তাদের(দ্বিতীয় সুফিয়ানির) সাথে যুদ্ধ করবে। তাতে তারা পরাজিত হবে। আর যেই সৈন্যদল পূবাঞ্চলের দিকে রওয়ানা করেছিল, যখন তারা কূফায় অবস্থান নিবে তখন তাদের মাঝে প্রচন্ড এক যুদ্ধ হবে। তাতে অধিকাংশই মারা যাবে। অতপর কূফাবাসীদের পতন হবে। আর তখন কতইনা রক্ত প্রবাহিত হবে, কতইনা পেট বিদীর্ণ করা হবে, কতইনা সন্তান হত্যা করা হবে, মাল লুণ্ঠন হবে, সতীচ্ছেদ করা হবে, মানুষ মক্কার দিকে পালায়ন করবে। আর সুফইয়ানী উক্ত সৈন্যদলের নেতাকে এইমর্মে পত্র লিখবে যে, তুমি হিজাজের দিকে অগ্রসর হও। অতপর কঠিন এক যুদ্ধের পর সে (দ্বিতীয় সুফিয়ানি) মদীনায় অবস্থান নিবে। আর সেখানে সে কুরাইশদের উপর তরবারী রাখবে ও তাদের এবং আনসারদের চারশ ব্যক্তি হত্যা করবে। অনেক পেট বিদীর্ণ করবে, শিশুদের হত্যা করবে, কুরাইশের বনু হাশেম গোত্রের ভাইবোনকে হত্যা করবে, এবং তাদের দুইজনকে মসজিদের দরজার সাথে শূলিতে চড়াবে। যাদের নাম হবে মুহাম্মাদ ও ফাতেমা। আর মানুষ সেখান (মদিনা) হতে পালায়ন করে মক্কায় চলে যাবে। অতপর সে (দ্বিতীয় সুফিয়ানি) উক্ত সৈন্যসহকারে মক্কার উদ্দেশ্য করে অগ্রসর হয়ে একটি খালি (মক্কা মদিনার মাঝামাঝি) প্রান্তরে অবস্থান নিবে। আর তখন আল্লাহ তা’আলা হযরত জীবরাঈল আলাইহিস সালামকে আদেশ করবেন। তখন তিনি তার আওয়াজে চিৎকার করে বলবেন, হে বাইদা বা খালি প্রান্তুর! তাদের নিয়ে খালি হয়ে (ধ্বংসে) যাও। আর তখন তারা তাদের শেষজন হতে খালি তথা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর তাদের থেকে শুধুমাত্র দুইজন ব্যক্তি জীবিত থাকবে। তাদের সাথে হযরত জীবরাঈল আলাইহিস সালামের সাক্ষাৎ হবে তখন তিনি তাদের চেহারাকে পিছনের দিকে ঘুরিয়ে দিবেন। কেমনযেন আমি তাদের পিছনদিকে হাটতে দেখছি। তারা যাদের সাথে সাক্ষাৎ হচ্ছে তাদেরকে (ঘটে যাওয়া বিষয় সম্পর্কে) অবগত করছে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৬ ]
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৬ ]
*হযরত যামরা ইবনে হাবীব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমাদের নিকট এখবর পৌছেছে যে, রাসূল(ﷺ)বলেছেন যে, আমার উম্মতের পাঁচটি স্তর হবে। আর প্রত্যেক স্তরের চল্লিশ বছর। সুতরাং প্রথম স্তর হল আমি ও আমার সাথে যারা ইয়াকীন ও ইলম ওয়ালা রয়েছে। দ্বিতীয় স্তর হল সৎকর্মকারীর ও পূণ্যবানদের স্তর। তৃতীয় স্তর হল পরস্পর সম্পৃক্ততা ও সহানুভূতিশীলদের স্তর। চতূর্থ স্তর হল পরস্পর বিরোধীতা ও বিচ্ছিন্নতাকারীদের স্তর। পঞ্চম স্তর হল বিশৃংখলায় আনন্দ ও উৎফুল্য প্রকাশকারীদের স্তর। আর দুইশত দশ বছরে (বোমা) নিক্ষেপণ, ভূমি ধস, বিকৃত হওয়া পতিত হবে। আর দুইশত বিশ বছরে যমিনের আলেমদের উপর মৃত্যু পতিত হবে। (তারা মারা যাবে) এমনকি একজনের পর আরেকজন ব্যতিত বাকী থাকবে না। আর দুইশত ত্রিশ বছরে আকাশ ডিমের ন্যায় শিলা বৃষ্টি বর্ষণ করবে। ফলে চতুষ্পদজন্তু ধ্বংস হয়ে যাবে। আর দুইশত চল্লিশ বছরে নীল নদ ও ফুরাত নদীর অবসান হয়ে যাবে এমনকি লোকজন উক্ত দুই নদীর পাড়ে শস্য রোপণ করবে। দুইশত পঞ্চাশ বছরে রাস্তার অবসান ও পশু মানুষের উপর কর্তৃত্ব করবে। আর প্রত্যেক জাতি তাদের শহরকে ভালভাবে আকড়ে ধরবে। আর দুইশত ষাট বছরে সূর্য্যকে অর্ধঘন্টার জন্য আটকে দেয়া হবে যার ফলে অর্ধেক মানুষজাতি ও অর্ধেক জ্বীনজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। দুইশত সত্তর বছরে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে না, কোন মহিলা গর্ভধারণও করবে না। দুইশত আশি বছরে নারীজাতি আপতিত খচ্চরের ন্যায় হবে এমনকি একজন মহিলার উপর চল্লিশজন পুরুষ এমনভাবে পতিত হবে যে, তুমি উহার কিছুই দেখবে না। আর দুইশত নব্বই বছরে বছর মাসে, মাস সপ্তাহে, সপ্তাহ দিনে, দিন ঘন্টায় এবং ঘন্ট খেজুর পাতা পোড়ার সময়ের ন্যায় সময়ে পরিনত হবে। এমনকি কোন ব্যক্তি তার ঘর থেকে বের হবে কিন্ত সে সূর্যাস্তের পূর্বে শহরের গেটে পৌছতে পারবে না। তিনশত বছরে পশ্চিমদিক হতে সূর্যোদয় হবে। আর প্রত্যেক অন্তরকে উহার ভিতরে যা আছে তা নিয়েই মহর মেরে দেয়া হবে। সুতরাং ইতিপূর্বে যারা ঈমান আনায়ন করে নাই তাদের ঈমান কোন নফসকে উপকার করতে পারবে না। অথবা ঈমানের মধ্যে কোন মঙ্গল অর্জন করতে পারবে না। আর ঐসময়ের পরের ব্যাপারে কোন কিছু জিজ্ঞাসাও করা হবে না।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৮ ]
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৮ ]
Sunday, February 16, 2020
মিশরের প্রেসিডেন্ট, ও প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়,বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে হাদীসের ভবিষ্যৎ বাণী।
মিশর ও প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়,বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে হাদীসের ভবিষ্যৎ বাণী।
* হযরত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, শেষ যমানায় পুরো পৃথিবী ব্যাপী একটি যুদ্ধ হবে। এটা হবে দুইটি বড় যুদ্ধের পর তৃতীয় যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধে অনেক মানুষ ধ্বংস হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে ব্যাক্তি আগুন জ্বালিয়ে দিবে সেই হবে মহান নেতা।

হিজরী ১৩ শতাব্দীর কয়েক দশক পর গ্রীক রাজা সমগ্র বিশ্বের বিপক্ষে যুদ্ধ করবেন এবং আল্লাহ তায়ালা তাকে যুদ্ধের নির্দেশ দিবেন। এর দুই দশক পর জার্মান ভূমি থেকে বিড়ালের নামের সাথে মিল রয়েছে এরকম একজনের (হিটলার)
আবির্ভাব হবে। সে রোমানদের বিপক্ষে চাবুক নিয়ে হাজির হবে এবং লোকজনের নির্যাতন করা শুরু করবে এবং পুরো পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে। সে সমগ্র বিশ্বের বিপক্ষে যুদ্ধ শুরু করবে, এমনকি উষ্ণ অঞ্চল (আফ্রিকার সাহারা মরু) ও শীতল (রাশিয়ার সাইবেরিয়া) অঞ্চলেও যুদ্ধ করবে। সে যখন যুদ্ধক্ষেত্রকে আগুন দ্বারা পরিপূর্ণ করবেন, আর তখনই সে আল্লাহ তায়ালার শাস্তির মুখোমুখি হবে, সে রাশিয়ান গুপ্ত ঘাতক দ্বারা খুন হবে। তারপর হিজরী ১৩ শতাব্দীর সাথে আরো পাঁচ, ছয়, সাত, আট দশক গণনা করার পর মিশরে একজন ব্যক্তি (জামাল আবদেন নাসের)
আসবে, যাকে আরবরা সুচ্চাউল আরব বা, আরবের সাহসী ব্যাক্তি বলে ভূষিত করবে এবং যাকে "নাসের" বলা হবে। আল্লাহ তায়ালা তাকে দুই বার অবজ্ঞা করবেন, একবার যুদ্ধে তারপর আবার। "নাসের " কখনো বিজয়ের দেখা পাবে না। তখন সমস্ত ক্ষমতার মালিক আল্লাহ তায়ালা একজন কালো ব্যাক্তি (আনোয়ার সাদাত)
কে পাঠাবেন, যার পিতা তার তুলনায় উজ্জ্বল বর্নের। আরব ও মিশরের নেতা মসজিদুল আকসা ছিনতাই কারীর সাথে একটি চুক্তি করবেন। তারপর ইরাকে একজন নিষ্ঠুর শাসকের আবির্ভাব হবে, যে দামেস্কের নিকটবর্তী এলাকায় থাকবে, তার চোখে সামান্য আঘাতের চিহ্ন থাকবে, সেই হল সুফিয়ানী। সে তার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, পুরো পৃথিবী থেকে তার জন্য লোকজন একত্রিত হবে, কারণ তার সাথে আগে প্রতারণা করা হয়েছিল। সুফিয়ানীর জন্য ইসলাম ছাড়া এরচেয়ে ভালো কিছু থাকবে না, তার মধ্যে খারাপ ভালো দুটি জিনিসই থাকবে, যদিও সে মাহদীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে। তারপর হিজরী ১৪ শতাব্দীর সাথে দুই বা, তিন দশক গণনা করবে, ঐ সময় মাহদীর আবির্ভাব হবে। সে পুরো পৃথিবীর সকলের বিরুদ্ধে, যারা বিপথগামী হয়ে গেছে (খ্রিস্টানরা) এবং যারা আল্লাহ্র ক্রোধের পাত্র (ইহুদীরা) এবং তাদের সাথে ব্যভিচার ও প্রতারণার রানী (আমরিকা)
যার পুরো পৃথিবীকে অবিশ্বাসী ও দ্বিধা বিভক্ত করতে চেষ্টা করে, তারা ইসরা ও মিরাজের ভূমি (ফিলিস্তিন) পর্বতের নিকটে আসবে। তখন ইহুদীরা পৃথিবীতে ভালো অবস্থানে থাকবে, তারা বাইতুল মোকাদ্দাস ও পবিত্র (জেরুজালেম) শহর শাসন করবে। তারা সমুদ্র ও আকাশ পথে তীব্র শীতল অঞ্চল (সাইবেরিয়া) ও তীব্র উষ্ণ অঞ্চল (সাহারা) ছাড়া সবাই তার (মাহদীর) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসবে। মাহদী দেখবে পুরো পৃথিবী তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং সে একই সাথে আল্লাহ্র পরিকল্পনাও দেখবে, যা কাফেরদের ষড়যন্ত্রের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। সে দেখবে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর শাসন ক্ষমতা তার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এবং পৃথিবীটা হল একটা গাছের মত, যার মূলে রয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। তিনি সকল অবিশ্বাসী জাতিকে কঠিন দুর্যোগে নিক্ষেপ করবেন এবং তাদেরকে শাস্তি দিবেন। কাফেরদের ভূমি, সমুদ্র ও আকাশ পথকে জ্বালিয়ে দিবেন। অবিশ্বাসী জাতির জন্য আকাশ থেকে ক্ষতিকর বৃষ্টি নিক্ষেপ করা হবে এবং আল্লাহ তায়ালা অবিশ্বাসী জাতিদের কে ধ্বংস করে দিবেন।
*দূর্নীতি (অর্থাৎ জামাল আবেদন নাসের ও
আনোয়ার সাদাতের জুলুম, অত্যাচার)
দেখা দিবে, তারপর আবার দূর্নীতি (অর্থাৎ হোসনি মোবারকের জুলুম, অত্যাচার)
দেখা দিবে, একপর্যায়ে সে মানুষের উপর তরবারি দিয়ে হামলা করতে উৎসাহিত করবে। তারপর আবারো দূর্নীতি (অর্থাৎ আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি এর জুলুম, অত্যাচার) দেখা দিবে।
তার সময়ে সকল অবৈধ, অন্যায় কাজকে ন্যায় ও বৈধ মনে করা হবে। তার পর সবচেয়ে কাঙ্খিত ব্যাক্তি মুসলমানদের খলিফা ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমন ঘটবে। "
আনোয়ার সাদাতের জুলুম, অত্যাচার)
দেখা দিবে, তারপর আবার দূর্নীতি (অর্থাৎ হোসনি মোবারকের জুলুম, অত্যাচার)
দেখা দিবে, একপর্যায়ে সে মানুষের উপর তরবারি দিয়ে হামলা করতে উৎসাহিত করবে। তারপর আবারো দূর্নীতি (অর্থাৎ আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি এর জুলুম, অত্যাচার) দেখা দিবে।
তার সময়ে সকল অবৈধ, অন্যায় কাজকে ন্যায় ও বৈধ মনে করা হবে। তার পর সবচেয়ে কাঙ্খিত ব্যাক্তি মুসলমানদের খলিফা ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমন ঘটবে। "
[আল মুত্তাকি আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামাতিল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান, পৃষ্ঠা - ২৬]
* হযরত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, শেষ যমানায় পুরো পৃথিবী ব্যাপী একটি যুদ্ধ হবে। এটা হবে দুইটি বড় যুদ্ধের পর তৃতীয় যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধে অনেক মানুষ ধ্বংস হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে ব্যাক্তি আগুন জ্বালিয়ে দিবে সেই হবে মহান নেতা।

হিজরী ১৩ শতাব্দীর কয়েক দশক পর গ্রীক রাজা সমগ্র বিশ্বের বিপক্ষে যুদ্ধ করবেন এবং আল্লাহ তায়ালা তাকে যুদ্ধের নির্দেশ দিবেন। এর দুই দশক পর জার্মান ভূমি থেকে বিড়ালের নামের সাথে মিল রয়েছে এরকম একজনের (হিটলার)
আবির্ভাব হবে। সে রোমানদের বিপক্ষে চাবুক নিয়ে হাজির হবে এবং লোকজনের নির্যাতন করা শুরু করবে এবং পুরো পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে। সে সমগ্র বিশ্বের বিপক্ষে যুদ্ধ শুরু করবে, এমনকি উষ্ণ অঞ্চল (আফ্রিকার সাহারা মরু) ও শীতল (রাশিয়ার সাইবেরিয়া) অঞ্চলেও যুদ্ধ করবে। সে যখন যুদ্ধক্ষেত্রকে আগুন দ্বারা পরিপূর্ণ করবেন, আর তখনই সে আল্লাহ তায়ালার শাস্তির মুখোমুখি হবে, সে রাশিয়ান গুপ্ত ঘাতক দ্বারা খুন হবে। তারপর হিজরী ১৩ শতাব্দীর সাথে আরো পাঁচ, ছয়, সাত, আট দশক গণনা করার পর মিশরে একজন ব্যক্তি (জামাল আবদেন নাসের)
আসবে, যাকে আরবরা সুচ্চাউল আরব বা, আরবের সাহসী ব্যাক্তি বলে ভূষিত করবে এবং যাকে "নাসের" বলা হবে। আল্লাহ তায়ালা তাকে দুই বার অবজ্ঞা করবেন, একবার যুদ্ধে তারপর আবার। "নাসের " কখনো বিজয়ের দেখা পাবে না। তখন সমস্ত ক্ষমতার মালিক আল্লাহ তায়ালা একজন কালো ব্যাক্তি (আনোয়ার সাদাত)
কে পাঠাবেন, যার পিতা তার তুলনায় উজ্জ্বল বর্নের। আরব ও মিশরের নেতা মসজিদুল আকসা ছিনতাই কারীর সাথে একটি চুক্তি করবেন। তারপর ইরাকে একজন নিষ্ঠুর শাসকের আবির্ভাব হবে, যে দামেস্কের নিকটবর্তী এলাকায় থাকবে, তার চোখে সামান্য আঘাতের চিহ্ন থাকবে, সেই হল সুফিয়ানী। সে তার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, পুরো পৃথিবী থেকে তার জন্য লোকজন একত্রিত হবে, কারণ তার সাথে আগে প্রতারণা করা হয়েছিল। সুফিয়ানীর জন্য ইসলাম ছাড়া এরচেয়ে ভালো কিছু থাকবে না, তার মধ্যে খারাপ ভালো দুটি জিনিসই থাকবে, যদিও সে মাহদীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে। তারপর হিজরী ১৪ শতাব্দীর সাথে দুই বা, তিন দশক গণনা করবে, ঐ সময় মাহদীর আবির্ভাব হবে। সে পুরো পৃথিবীর সকলের বিরুদ্ধে, যারা বিপথগামী হয়ে গেছে (খ্রিস্টানরা) এবং যারা আল্লাহ্র ক্রোধের পাত্র (ইহুদীরা) এবং তাদের সাথে ব্যভিচার ও প্রতারণার রানী (আমরিকা)
যার পুরো পৃথিবীকে অবিশ্বাসী ও দ্বিধা বিভক্ত করতে চেষ্টা করে, তারা ইসরা ও মিরাজের ভূমি (ফিলিস্তিন) পর্বতের নিকটে আসবে। তখন ইহুদীরা পৃথিবীতে ভালো অবস্থানে থাকবে, তারা বাইতুল মোকাদ্দাস ও পবিত্র (জেরুজালেম) শহর শাসন করবে। তারা সমুদ্র ও আকাশ পথে তীব্র শীতল অঞ্চল (সাইবেরিয়া) ও তীব্র উষ্ণ অঞ্চল (সাহারা) ছাড়া সবাই তার (মাহদীর) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসবে। মাহদী দেখবে পুরো পৃথিবী তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং সে একই সাথে আল্লাহ্র পরিকল্পনাও দেখবে, যা কাফেরদের ষড়যন্ত্রের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। সে দেখবে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর শাসন ক্ষমতা তার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এবং পৃথিবীটা হল একটা গাছের মত, যার মূলে রয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। তিনি সকল অবিশ্বাসী জাতিকে কঠিন দুর্যোগে নিক্ষেপ করবেন এবং তাদেরকে শাস্তি দিবেন। কাফেরদের ভূমি, সমুদ্র ও আকাশ পথকে জ্বালিয়ে দিবেন। অবিশ্বাসী জাতির জন্য আকাশ থেকে ক্ষতিকর বৃষ্টি নিক্ষেপ করা হবে এবং আল্লাহ তায়ালা অবিশ্বাসী জাতিদের কে ধ্বংস করে দিবেন।
(আসমাউল মাসালিক লি ইয়াওমিল মাহদীয়া মালিকি লি কুল্লিদ দুনিয়া বি আমরিল্লাহিল মালিক, লেখকঃ কালদা বিন যায়েদ, পৃষ্ঠা -২১৬)
* হযরত নুয়াইম বিন হাম্মাদের আল ফিতান গ্রন্থে মুহাম্মদ ইবনে আলি থেকে হযরত জাফর (রাঃ) বর্ননা করেন, যখন আব্বাসীয় বংশের লোকেরা খোরাসানে আসবে,
তখন পূর্ব দিকে শিংঙ্গার আকৃতির ন্যায় একটি তারকার জন্ম হবে,
তারপর চন্দ্রগ্রহন এবং সূর্যগ্রহণ হবে। তখন অত্যাচারী জেদ করে বসে থাকবে, যতক্ষণ না মিশরে দাড়-কাক (অর্থাৎ বড় কাক) না আসে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Hosni_Mubarak

তখন পূর্ব দিকে শিংঙ্গার আকৃতির ন্যায় একটি তারকার জন্ম হবে,
তারপর চন্দ্রগ্রহন এবং সূর্যগ্রহণ হবে। তখন অত্যাচারী জেদ করে বসে থাকবে, যতক্ষণ না মিশরে দাড়-কাক (অর্থাৎ বড় কাক) না আসে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Hosni_Mubarak

[ আল মুত্তাকি আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামাতিল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান, পৃষ্ঠা - ৩২]
*হযরত দাইলামী তিনি, আবু আলি আল মারদানী থেকে, তিনি আবু জর (রাঃ) থেকে, তিনি বলেন রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কুরাইশ বংশের নাক ছিদ্র ওয়ালা এক লোক মিশরে আত্মপ্রকাশ করবে,
সে আক্রান্ত হবে তার ক্ষমতাও ধ্বংস হবে। "
সে আক্রান্ত হবে তার ক্ষমতাও ধ্বংস হবে। "
[ আল মুত্তাকি আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামাতিল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান, পৃষ্ঠা - ৩০]
*হযরত কাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন মিশরে মাখজুমী গোত্রের একজন ক্ষমতা গ্রহণ করবে, তার পর মাওয়ালী দের একজন, তার পর একজন লম্বা, শক্তিশালী, ও রক্তপিপাশু একজন আসবে,
যে লোক তার বিরোধিতা করবে তাকেই সে ধ্বংস করবে। "
যে লোক তার বিরোধিতা করবে তাকেই সে ধ্বংস করবে। "
[আল মুত্তাকি আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামাতিল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান, পৃষ্ঠা - ৩০]
Subscribe to:
Comments (Atom)










