Friday, April 8, 2022

ইমাম মাহদী আঃ আগমনের নিকটতম পূর্ব মুহূর্তের ঘটনা সমুহ।

🍁হযরত ইয়াকুব ইবনে ইসহাক হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন একজন লোক যে ফিতানের আলামত হবে। তিনি বলেন সে রিক্কায়(ইরাকের রাক্কায়) অবস্থান নিবে। আর সে হবে (বনু হাশেম গোত্রের) আব্বাসীয় বংশভূত একজন লোক। অতপর সে সেখানে দুই বছর অবস্থান করবে। অতপর সে রোমের (ইতালি/ইয়োরোপের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। অতপর সে রোমের উপর যতটনা বিপদের কারণ হবে তার বেশী বিপদের কারণ হবে মুসলমানদের উপর। অতপর সে যুদ্ধ হতে (ইরাকের) রিক্কাতে ফিরে আসবে। অতপর তার নিকট পূর্বাঞ্চল (ইরাক) হতে যা সে অপছন্দ করে তা তার নিকট আসবে। অতপর সে সিরক এ ফিরে যাবে। কিন্তু সে সেখানে ফিরে আসবে না। অতপর তার পুত্র (আবদুল্লাহ্) তার স্থলাভিষিক্ত হবে। আর তার মাথার উপরেই (প্রথম) সুফইয়ানির অর্বিভাব হবে। এবং (আবদুল্লাহর) তার রাজত্ব কাটা পড়বে। (অর্থাত তার আমলেই সুফিয়ানী বের হবে। এবং তার (প্রথম সুফিয়ানির) মাধমেই (আব্বাসীয়দের) তাদের রাজত্ব শেষ হবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৭৬ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.876/


নোট: 

(১)এই আব্বাসীয় বংশোদ্ভূত খলিফা ইতালি/ইয়োরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেই বুঝতে হবে এটি ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্ব মুহূর্তের ঘটনা। কেননা পরবর্তীতে এই লোকটির পুত্র আবদুল্লাহর সাথে প্রথম সুফিয়ানীর যুদ্ধ হবে। এবং অন্যান্য হাদিসে পাওয়া যায় আফ্রিকা অঞ্চল থেকে আগত হলুদ পতাকাবাহী দলের সাথে যুদ্ধে সে পরাজিত হবে।

(২)অতঃপর এই আব্বাসীয় বংশোদ্ভূত খলিফার  ছেলে তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর প্রথম সুফিয়ানির আক্রমণে তাদের রাজত্ব শেষ হবে।

(৩)একাধিক হাদিসে এই খলিফার পুত্রের নাম আব্দুল্লাহ্ বলা হয়েছে।

তাহলে স্পষ্ট হলো যে এই আব্বাসীয় বংশোদ্ভূত খলিফা ও তার ছেলে আব্দুল্লাহর সময়কাল হচ্ছে ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের নিকটতম পূর্বমূহুর্তে।


🍁হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসীর রা: হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন(ইমাম) মাহদীর অবির্ভাবের আলামত হল- যখন তুর্কি জাতি তোমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়বে। আর তোমাদের ঐ খলীফা মারা যাবে, যে মাল সম্পদ জমা করেছিল। আর তার (মৃত্যুর) পরে (তার পুত্র) দূর্বল একজন শাসক তার স্থলাভিষিক্ত হবে।  দুই বছর পর তার বাইয়াত নষ্ট হয়ে যাবে। দামেস্কের মসজিদের🕌 পূর্ব দিকের দুটি দেয়াল ধসে যাবে এবং সিরিয়া হতে তিনটি দলের আত্নপ্রকাশ হবে। পূর্ব দিকের (খলিফা আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ইরাকের) অধিবাসীদের জোরে মিসরের দিকে (দখলের উদ্দেশ্যে) যাওয়া। আর সেটা (প্রথম) সুফইয়ানীর উত্থানের নিদর্শন।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯৬৩ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.963/


নোট: 

(১)এই হাদিসে এমন এক তুর্কি জাতির কথা বলা হয়েছে যে তুর্কি জাতি ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের নিকটতম পূর্বমূহুর্তে মুমিনদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। অতএব এই হাদিটি চ্যাংঙ্গিস খানের সময়কালের তুর্কি জাতির জন্য প্রযোজ্য নয়। বরং ইমাম মাহদীর আবির্ভাব এর পূর্ব নিকটতম সময়কালের তুর্কি জাতির জন্য প্রযোজ্য হবে। 

(২)এই হাদিসে সুফিয়ানির উত্থানের নিদর্শনের কথা বলা হয়েছে। 

(৩)এই হাদিসের আব্বাসিয় দুর্বল খলিফার নাম অন্যান্য একাধিক হাদিসে আব্দুল্লাহ্ বলা হয়েছে। এবং একাধিক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে সে প্রথম সুফিয়ানি এবং আফ্রিকার হলুদ পতাকাবাহী দলের সাথে যুদ্ধ করে সে পরাজিত হবে।


🍁হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ নামক এক লোক আব্বাসীয় বাদশাহ হবে। তিনি খুবই বিচক্ষন হবেন, তার মাধ্যমে তারা বিজয়ী হবে এবং তার হাতেই তাদের কল্যাণ নিহিত থাকবে। তিনিই হবেন, বালা-মুসিবতের চাবি এবং ধ্বংসের তলোয়ার। এক পর্যায়ে আমীরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহর পক্ষ থেকে শাম (সিরিয়া) দেশ থেকে আগত একটা চিঠি পাঠ হবে। এরপর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না বরং তোমাদের কাছে এসে পৌছবে (হলুদ পতাকাবাহী দলের) আমীরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমানের পয়গাম। সেটাও মিশরের মিম্বরে পাঠ করা হবে। উক্ত ঘটনা প্রকাশ পাওার কিছুদিনের মধ্যেই (ইরাক)মাশরিক-মাগরিব(আফ্রিকা) বাসীরা শাম (সিরিয়া) দেশের দিকে ধেয়ে আসবে। যেন সম পর্যায়ের দুটি বাজির ঘোড়া পরস্পরের দিকে ধেয়ে আসছে। তারা দেখতে পাবে নিঃসন্দেহে রাজত্ব ও ক্ষমতা যারা শাম (সিরিয়া) বাসীদের আনুগত থাকবে তাদের হাতে বাকি থাকবে। প্রত্যেকে একথা বলবে, যারা বিজয়ী হবে একমাত্র তারাই রাষ্ট্র ক্ষমতার মসনদে আরোহন করবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৪২ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.742


নোট: এই আব্বাসীয় বংশোদ্ভূত আব্দুল্লাহ্ নামের খলিফাই হচ্ছেন সেই খলিফার সন্তান যিনি (রোম) ইতালি/ইয়োরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং ইরাকের (রাক্কাতে) অবস্থান করবে। প্রমাণ:-[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ হাদিস নং ৮৭৬ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.876/


🍁হযরত কা’ব রাযি: হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ফুরাতের কিনারা সিরিয়ার কিনারায় অথবা তার একটু পরে হবে। সেখানে অনেক ভীড় হবে। অতপর সেখানে তারা মাল সম্পদের উপর (স্বর্ণের পাহাড় নিয়ে) যুদ্ধ করবে। অতপর সেখানে প্রত্যেক নয় জনের সাত জনকে হত্যা করা হবে। আর সেটা ঘটবে রমজান মাসে হিদা ও ওয়াহিদার পর। এবং তিনটি ঝান্ডাবাহী দলের পৃথকীর পর। যারা প্রত্যেকেই নিজের জন্য ক্ষমতা চাইবে। তাদের মধ্যে একজন ব্যক্তি থাকবে যার নাম হবে আব্দুল্লাহ।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯৭১ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.971/


🍁হযরত আবু নযর হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমার নিকট রাসূল(ﷺ)এর জনৈক সাহাবী রাযি: বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন ইরাকে (রাক্কাতে) জনৈক বাদশা অবস্থান নিবে। যার নিকট সিরিয়াবাসীরা(প্রথমে) বাইয়াত গ্রহণে অপছন্দ করবে। অতপর যা হবার তাই হবে। অতপর তার নিকট এখবর আসবে যে, তার শত্রু তার দিকে আসছে। অতপর সে তার দিকে যাবার কোন পথ পাবে না । অতপর পথ পাবে এবং তার দিকে সিরিয়া দিয়ে গমন করবে। পথিমধ্যে তার সাথে সাক্ষাৎ হবে এবং তাকে হত্যা করে দিবে। অতপর সে ইরাকবাসীদের যারা তাকে সাহায্য করবে তাদের বলবে,(সিরিয়া) এটা আমার দেশ। এটা আমার যমিন। এটা আমার ভূমি। আর তোমরা তোমাদের দেশে (ইরাকে) ফিরে যাও। আমি তোমাদের থেকে অমুক্ষাপেক্ষী হতে চাই। ফলে তারা তাদের দেশে(ইরাকে) ফিরে যাবে। অতপর তারা বলবে আমরা তাকে বাদশা বানিয়েছি। আর আমরা তাকে সাহায্য করেছি। আর আমরা তাকে ব্যতীতই মানুষদের হত্যা করেছি। তার পরও সে আমাদের দেশ ছাড়া অন্য দেশ (সিরিয়া) গ্রহণ করেছে। চলো আমরা সকলেই (ইরাকিরা) একত্র হই যাতে আমরা তার সাথে যুদ্ধ করতে পারি। সুতরাং তোমরা তার দিকে সফর কর। তিন লাখ সন্দেহপূর্ণ লোক থাকবে। অতপর তারা তার সাথে হিস নামক এলাকায় মিলিত হবে। অতপর তারা সেখানে যুদ্ধ করবে। আর সেখানে তাদের মাঝে প্রচন্ড যুদ্ধ হবে। এমন যুদ্ধ ইতিপূর্বে আরবদের মাঝে আর হয় নাই। তাদের উপর সবর ঢেলে দেওয়া হবে। তাদের থেকে সাহায্য উঠিয়ে নেয়া হবে। এমনকি একজন ব্যক্তি তাদের মাঝে দাড়াবে এবং যদি সে তাদেরকে গণনা করতে চায় তাহলে (অনেক বেশী নিহত হওয়ার কারণে) সে তাদের অবশিষ্ট লোকদের সংখ্যা কম হওয়ার কারণে সে গণনা করতে পারবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৭৪ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.874/


নোট:- এই খলিফাই হচ্ছেন সেই খলিফা, যিনি রোমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন ও খলিফা আব্দুল্লাহর পিতা। এবং এই খলিফার সময়কালে তাদের ইরাক ও সিরিয়া শাখার দুই গ্রুপ একে অপরের বিরুদ্ধে মারাত্মক যুদ্ধ করে অনেক নিহত হবে।


🍁বিশিষ্ট সাহাবী হযরত সুবান রাযি: থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, কিছু দিনের মধ্যে এমন এক খলীফা আত্নপ্রকাশ করবে, লোকজন যার হাতে বাইয়াত গ্রহনে অস্বীকৃতি জানাবে। এবং তার নায়েব তার দুশমন হয়ে যাবে। যার কারনে একাকী সফর করা বিহীন তার আর কোনো উপায় থাকবেনা এভাবে চলতে চলতে এক সময় তার দুশমনের উপর বিজয়ী হবে। ইরাক বাসিরা তাকে ইবায় ফিরিয়ে নিতে চাইলে সে অস্বীকতি জানাবে এবং বলবে এটা (সিরিয়া) হচ্ছে, যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত স্থান, যার কারনে তারা (ইরাকিরা) তাকে ছেড়ে চলে যাবে। (ইরাকিরা) তাদের মধ্য থেকে একজনকে নেতা নিযুক্ত করবে, সকলে তার কাছে যাবে এবং হিমস নগরীর (সিরিয়ার হোমস শহর) হানাসিরা পাহাড়ে তার স্বাক্ষাৎ পাবে। শাম(সিরিয়া) বাসিদের কাছে এসংবাদ পাঠানো হলে তারা একজনের সান্নিধ্যে জমায়েত হবে, তাদের সাথে ভয়াবহ একটি লড়াই হবে। এমন কি একলোক তার বাহনের উপর দাড়াতে চাইলে (যুদ্ধে বেশি লোক মৃত্যুর কারণে) সে গণনা করতে পারবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৭২ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.872/

নোট:- এই খলিফাই হচ্ছেন সেই খলিফা, যিনি রোমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন ও খলিফা আব্দুল্লাহর পিতা। এবং এই খলিফার সময়কালে তাদের ইরাক ও সিরিয়া শাখার দুই গ্রুপ একে অপরের বিরুদ্ধে মারাত্মক যুদ্ধ করে অনেক নিহত হবে।



🍁হযরত সালমান ইবনে সামীর আলহানী থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন অচিরেই (ইরাকের) কূফাতে একজন খলীফা অবস্থান নিবে। আর পরাজয়ের ক্ষেত্রে সিরিয়াবাসীরা একমত হবে। অতপর তাদের (সিরিয়াবাসীদের) মাঝে আগ্রহ হবে। আর তাকে বলা হবে, তোমার জন্য আবশ্যক হল যে, তুমি সিরিয়ার ভুমিতে অবস্থান করবে। কেননা সেটা পবিত্র ভুমি। নবীদের ভুমি। খলীফাদের আবাস ভুমি। আর তার দিকে ধন সম্পদ টেনে আনবে। তার থেকে(ইরাকের) সৈন্যরা পৃথক হয়ে যাবে। তখন সে তাদের(সিরিয়ানদের) কথা মেনে নিবে। আর যখন সে তাদের কথা মেনে নিবে তখনই আহলে মাশরিক তথা পূবাঞ্চলের (ইরাকের) অধিবাসীরা তার উপর বদলা নিবে। তখন তারা বলবে আমরা তার সাথে আমাদের রক্তকে আমাদের নিজেদেরকে, আমাদের মাল সম্পদকে বিপদে ফেলেছি। আর সে আমাদের উপর অন্যকে (সিরিয়াবাসীদের) প্রাধান্য দিল। ফলে তারা তার বিরোধিতা করবে। আর সিরিয়াবাসীরা কূফার দিকে চলে যাবে। আর সেদিন চামড়া মুছে দেয়ার ন্যায় প্রচন্ড যুদ্ধ করবে। যখন তার প্রেরিতরা ইরাকে পৌছবে। তখন সুফইয়ানীর হতে বাগদাদ ও মদীনাতুয যাওরাতে কি কি ঘটবে। আর তার ধংসযজ্ঞের ব্যাপারে যা আলোচনা হয়েছে ।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৮৩ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.883/

নোট:- এই খলিফাই হচ্ছেন সেই খলিফা, যিনি রোমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন ও খলিফা আব্দুল্লাহর পিতা। এবং এই খলিফার সময়কালে তাদের ইরাক ও সিরিয়া শাখার দুই গ্রুপ একে অপরের বিরুদ্ধে মারাত্মক যুদ্ধ করে অনেক নিহত হবে।



🍁হযরত যুহরী রহঃ থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, কালো ঝান্ডাবাহকরা যখন পরস্পর এখতেলাফ করতে থাকবে তখন (আফ্রিকান) হলুদ ঝান্ডাবাহীর আবির্ভাব ঘটবে। এবং তারা মিশরবাসীর ব্রিজের কাছে এসে জমায়েত হবে। যার কারনে মাশরিক বাসিরা মাগরিবদের সাথে মোট সাতবার যুদ্ধ করবে। একপর্যায়ে মাশরিক বাসীরা পরাজিত হয়ে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে। এবং তারা রামাল্লা নামক স্থানে গিয়ে অবস্থান করবে। কোনো একটা বিষয় নিয়ে পশ্চিমা(হলুদ পতাকাবাহী দল) এবং শাম(সিরিয়া) বাসিদদের মাঝে মতানৈক্য দেখা দিলে পশ্চিমারা (হলুদ পতাকাবাহী সৈন্যদল) খুবই রাগান্নিত হয়ে বলবে, আমরা তো তোমাদেরকে সাহায্য করতে এসেছিলাম, অথচ তোমরা আমাদের সাথে এমন আচরন করলে। আল্লাহর কসম! এখনই আমরা তোমাদেরকে মাশরিক(ইরাক) বাসিদের হাতে ছেড়ে দিব। একথা শুনে শামের(সিরিয়ার) বাসিন্দাদের হুশ ফিরে এলো যে, আমরা সংখ্যায় অনেক কম। এহেন মুহূর্তে (প্রথম)সুফিয়ানীর আবির্ভাব ঘটবে এবং শাম বাসীকে তার আনুগত্য স্বীকার করবে, আর তারা সুফিয়ানীর নেতৃত্বে মাশরিক (ইরাক) বাসিদের সাথে যুদ্ধ করবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৭২ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.772

নোট:-এই যুদ্ধটি ঘটবে ইরাকের রাক্কাতে অবস্থানকারী খলিফার ছেলে আব্দুল্লাহর সময়কালে।

প্রমাণ:-

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৭৬ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.876/

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯৬৩ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.963/



🍁হযরত খালেদ ইবনে আবু ইমরান রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আলী রাযিঃ এরশাদ করেছেন, অতিসত্ত্বর এমন কতক ইমাম তোমাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করবে যারা খুবই ঘৃণীত হবে। যখন তারা তিনটি ঝান্ডার অধীনে বিভক্ত হয়ে পড়বে তখন জেনে রাখ, তাদের পতন অনিবার্য।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৫৯০ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.590/



🍁হযরত আলী রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন কালো ঝান্ডা বাহীরা পরস্পর মতানৈক্যে লিপ্ত হবে তখন আরম জনপদের একাংশ ধ্বসে পড়বে এবং তার পশ্চিম পার্শ্বের মসজিদের🕌এক সাইড ধ্বংস হয়ে যাবে। অতঃপর শাম দেশ থেকে তিন প্রকারের ঝান্ডা আত্নপ্রকাশ করবে। আসহাব, আরকা এবং সুফিয়ানীর ঝান্ডা। সুফিয়ানী বের হবে শাম দেশ থেকে, এক পর্যায়ে সুফিয়ানী সবদলের উপর জয়লাভ করবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৪১ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.841/


🍁হযরত আলী ইবনে আবু তালের রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন তোমরা কালো পতাকা বিশিষ্ট বাহিনী দেখতে পাবে, তখন তোমরা মাটিকে আকড়ে ধরে থাকবে, হাত-পা নাড়া চড়া করা যাবেনা। একপর্যায়ে দুর্বল জাতিরা জয়লাভ করবে। লোহার ধাতব্য অংশের ন্যায় তাদের অন্তরে কোনো রেখাপাত হবেনা। তারাই হবে ক্ষমতাসীন। যারা কোনো ওয়াদা, অঙ্গীকার পূরন করবেনা। তারা মানুষকে হক্বের দিকে আহবান জানালেও তাদের মাঝে হক্বের লেশমাত্র থাকবেনা। তাদের নাম হবে উপনাম বিশিষ্ট, নিসবত হবে গ্রামের দিকে, তাদের জ্ঞান-বুদ্ধি নারীদের জ্ঞান-বুদ্ধির ন্যায় দুর্বল হবে। এক সময় তারা পরস্পরের (ইরাক VS,সিরিয়া) সাথে সংঘাতে লিপ্ত হবে। এরপর যাকে ইচ্ছা, আল্লাহ তাআলা তাকে বিজয়ী করবেন। (সম্ভবত সুফিয়ানিকে বিজয়ি করবেন)

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৫৭৩ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.573/


🍁হযরত আবু উমাইয়া আল-কলবী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাহেলী যুগ প্রাপ্ত হয়েছে এমন একজন শেখ আমাদেরকে বর্ণনা করেন, যার বয়সের ভারে চোখের উপরের অংশ দুই চোখের উপর এসে পড়েছে। তিনি বলেন, কালো ঝান্ডা বাহীরা প্রজাদের উপর কঠোরতা প্রদর্শন করবে। এক পর্যায়ে তারা পরস্পরের সাথে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়বে এবং একে অন্যের বিরোধীতা করতে থাকবে। যার কারণে তারা তিন দলে বিভক্ত হয়ে যাবে। একদল নিজেদেরকে বনু ফাতেমা দাবী করবে, আরেক দল বনু আব্বাছ দাবি করবে। তবে আরেকদল নিজেদের দাবি করবে। বর্ণনাকারী বলেন, নিজেদের বলতে কি বুঝায়? জবাবে তিনি বলেন, আমি জানিনা, আমি এমনই শুনেছি।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৫৯১ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.591/


🍁আবু উমাইয়া আল-কালবী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদেরকে এমন একজন শেখ হাদীস বয়ান করেছেন যিনি জাহেলী যুগও প্রাপ্ত হয়েছেন এবং বয়সের কারণে তার ভ্রুযুগল চোখের উপর এসে পড়েছে। তিনি এরশাদ করেন, কালো ঝান্ডাবাহী লোকজন প্রচন্ড রণশক্তির অধিকারী হবেন, এভাবে চলার এক পর্যায়ে তারা পরস্পরের সাথে এখতিলাফে লিপ্ত হয়ে যাবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৫৮৮ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.588/



🍁হযরত মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যাহ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খোরাসানের দিক থেকে যে কালো ঝান্ডাগুলো প্রকাশ পাবে, তারা রাজত্ব চালাতে থাকবে, যার শুরুতে থাকবে সাহায্য। এক পর্যায়ে তারা নিজেদের মধ্যে এখতেলাফে জড়িয়ে যাবে। তাদের মতবিরোধ দেখে শাম থেকে তিন প্রকার ঝান্ডাবাহীদের আবির্ভাব ঘটবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৫৯২ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.592/


🍁হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন রমাযান মাসে দুইবার ভূমিকম্প হবে তখন আহলে বায়তের (রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বংশের) তিনজন লোক আর্তচিৎকার করে উঠবে। তাদের একজন বড়ই দাপট প্রদর্শন করবে এবং অন্যজন সহনশীলতা ও ধৈর্য ধারর চেষ্টা করবে তৃতীয়জন হত্যা করার জন্য এগিয়ে যাবে। তার নাম হবে আব্দুল্লাহ ফুরাত নদীর তীরে বিশাল এক জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে প্রত্যেকে (স্বর্ণের পাহাড় থেকে) সম্পদ অর্জনের জন্য যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং যুদ্ধ করতে করতে প্রত্যেক নয়জনের সাতজনই মারা যাবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৫০ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.850/


🍁হযরত কা’ব রাযি: হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ফুরাতের কিনারা সিরিয়ার কিনারায় অথবা তার একটু পরে হবে। সেখানে অনেক ভীড় হবে। অতপর সেখানে তারা মাল সম্পদের উপর (স্বর্ণের পাহাড় নিয়ে) যুদ্ধ করবে। অতপর সেখানে প্রত্যেক নয় জনের সাত জনকে হত্যা করা হবে। আর সেটা ঘটবে রমজান মাসে হিদা ও ওয়াহিদার পর। এবং তিনটি ঝান্ডাবাহী দলের পৃথকীর পর। যারা প্রত্যেকেই নিজের জন্য ক্ষমতা চাইবে। তাদের মধ্যে একজন ব্যক্তি থাকবে যার নাম হবে আব্দুল্লাহ।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯৭১ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.971/


🍁হযরত আবু সা’বা উতবা ইবনে তামীম আততানুখী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আব্বাসী বাদশাহদের একজন তোমাদের প্রতি একটি পয়গাম প্রেরন করবেন, যার মধ্যে মিশর বাসীর উদ্দেশ্যে লেখা থাকবে আমীরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর’ পক্ষ থেকে। এধরনের কোনো ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে মনে করতে হবে এটাই হচ্ছে তাদের রাজত্ব চলে যাওয়া এবং আব্বাসীয়দের (রাজত্বের) সময় ফুরিয়ে আসার প্রথম লক্ষণ।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৪০ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.740


🍁হযরত আলা ইবনে মুহাম্মদ কালবী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, যখন দিনের শুরুতে আব্বাসী খলীফাদের কোনো খলীফা আমীরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ এর পক্ষ থেকে কোনো পয়গাম পাঠ করা হবে, তাহলে দিনের শেষ ভাগে তোমাদের প্রতি প্রেরিত অন্য আরেকটি পয়গাম যা আসবে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমামান (হলুদ পতাকাবাহী দলের) আমীরুল মুমিনপনের পক্ষ থেকে তার জন্য অপেক্ষা করতে থাক।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৪১ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.741


🍁আব্দুস সালাম ইবনে মাসলামা রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু কুবাইল রহঃ কে বলতে শুনেছি, তিনি বনু উমাইয়া সম্বন্ধে আলোচনা করতে গিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। পরবর্তীতে বললেন, অতিসত্ত্বর তাদের (বনু উমাইয়াদের) পর কালো ঝান্ডা বিশিষ্ট লোকজন (আব্বাসীয়রা) ক্ষমতাসীন হবে। দীর্ঘদিন (১৩২-৬৫৬,হি: সন/750-1258, ইং) পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় থাকারপর তাদের দুইজন গোলামের হাতে বায়আত গ্রহন করা হবে। তারা উভয়জন ক্ষমতাসীন হওয়ার পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাদের মাঝে এখতেলাফ লেগেই থাকবে। একপর্যায়ে (বর্তমান 2021+, ইং) শামীদের (সিরিয়ানদের) পক্ষ থেকে তিন প্রকারের ঝান্ডাবাহীদের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। তাদের আবির্ভাব হওয়ার পরপর রাজত্ব হাতছাড়া হয়ে যাবে। মিশরে যখন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ আমীরুল মুমিনীনের পক্ষথেকে কোনো সংবাদ পাঠ করা হবে, পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ ইবনে আ. রহমান আমীরুল মুমিনীনের পক্ষ থেকে কোনো পায়গাম ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত তাদের রাজত্ব আর বাকি থাকবে না। তিনি হবে পশ্চিমাদের ধারকবাহক নিকৃষ্টতম শাসক। তারা মিশর-শামসহ অনেক দেশকে বিরানভূমিতে পরিনত করবে। যখন শামদেশে তাদের রাজত্ব দৃঢ় হতে থাকবে তখনই কালো পতাকা এবং অন্য তিন পতাকাবাহী সৈন্যদল জমায়েত হবে। তেমনিভাবে পশ্চিমে অবস্থিত লোকজন পশ্চিমাদের উপর শাসনক্ষমতা চালাবে। তারা সকলে শাম ও মিশরবাসীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের জন্য জমায়েত হবে। এবং যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে যাবে। উক্ত যুদ্ধে তিন ধরনের ঝান্ডাবাহীরা জয়লাভ করবে এবং বর্বরের রাজত্বের ইতিঘটবে, একপর্যায়ে তা কালো ঝান্ডার অধিকারীদের সাথে তাদের ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হবে এবং ক্ষমতা তাদেরও হাতছাড়া হয়ে যাবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৫৬৭ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.567


🍁হযরত আম্মার ইবনে ইয়সির রাযি: হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ এর অনুসরণ করবে। অতপর তাদের দুজনের সৈন্যদল কিরকিসিয়া নামক স্থানের একটি নদীর কিনারায় মিলিত হবে। অতপর সেখানে ভীষণ বড় যুদ্ধ হবে। আর পশ্চিমাঞ্চলের লোকজন চলে যাবে। ফলে তাদের পুরুষদের হত্যা করা হবে। এবং তাদের মহিলাদের বন্দি করা হবে। অতপর কাইসে প্রত্যাবর্তন করবে। এমনকি সুফইয়ানীর দিকের উপদ্বীপে অবস্থান নিবে। অতপর ইয়ামানীর অনুসরণ করবে। অতপর আরীহা নামক স্থানে কইসীকে হত্যা করবে। অতপর তারা যা জমা করছে তা সুফইয়ানী লাভ করবে। অতপর কূফার দিকে অগ্রসর হবে। অতপর আলে মুহাম্মাদের সাহায্যকারীদের হত্যা করবে। অতপর সিরিয়ায় তিনটি ঝান্ডা উপর সুফইয়ানীর অবির্ভাব হবে। অতপর কিরকিসিয়ার পর তাদের একটি বড় ঘটনা ঘটবে। অতপর তাদের পরবর্তীদের প্রভাতের সূর্য্য উদয়টা তাদের উপর উদয় হবে। অতপর তাদের থেকে একটি দল সামনে অগ্রসর হবে। এমনকি তারা খোরাসানের যমিনে প্রবেশ করবে। অতপর সুফইয়ানীর সৈন্যদল রাত ও নদীর ন্যায় অগ্রসর হবে। তারা যার পাশ দিয়েই যাবে সব কিছু ধ্বংস করে দিবে। এবং নিঃশেষ করে দিবে। এমনকি তারা কূফায় প্রবেশ করবে। এবং মুহাম্মাদের পরিবার বর্গের সম্প্রদায়কে হত্যা করবে। অতপর প্রত্যেক ভাবে খোরাসানবাসীদের কে অনুসন্ধান করবে। আর খোরাসানাবাসীরা মাহদী আলাইহিস সালামের খোজে বের হবে। আর তারা তার জন্য দোয়া করবে। এবং তাকে সাহায্য করবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৮২ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.882


🍁হযরত মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়া হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন বনু আব্বাসের একটি কালো ঝান্ডা বের হবে। অতপর খোরাসান থেকে আরেকটি কালো ঝান্ডা বের হবে। তাদের টুপি হবে কালো। তাদের পোষাক হবে সাদা রং এর। তাদের সম্মুখে একজন লোক থাকবে যাকে শুয়াইব ইবনে সালেহ অথবা সালেহ ইবনে শুয়াইব ডাকা হবে। সে হবে তামিম গোত্রের । তারা সুফইয়ানীর সৈন্যদের পরাজিত করবে। এমনকি তারা বাইতুল মুকাদ্দাসে অবস্থান নিবে। তারা মাহদীর রাজত্বের জন্য পথ সহজ ও প্রস্তুত করবে। আর সিরিয়া হতে তিনশত(ইসলামি খিলাফত পন্থি)লোক তার সাথে মিলিত হবে। তার(শুয়াইব ইবনে সালেহ) বের হওয়া ও মাহদী আলাইহিস সালামের নিকট বিষয় সমর্পণ করার মধ্যে বাহাত্তর মাসের(ছয় বছরের)ব্যবধান হবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৯৪ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.894/

নোট:-শুয়াইব ইবনে সালেহ যখন খোরাসান অঞ্চলের উজবেকিস্তানের সমরকন্দ থেকে বের হবেন ঠিক তার ছয় বছর পর ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশ হবে।



🍁মুহাম্মাদ বিন হানাফিয়া রহ . থেকে বর্ণিত , খােরাসানের দিক থেকে একটি কালাে পতাকাবাহী বাহিনী বের হবে । এরপর আরেকটি বাহিনী বের হবে , যাদের পােশাক হবে সাদা । তাদের নেতৃত্বে থাকবে বনি তামিমের (আজাদ কৃত গোলাম সোয়াইব ইবনে সালেহ্ নামের) এক ব্যক্তি । তিনি মাহদির কাছে তার রাজত্ব হস্তান্তর করবেন । (খোরাসান অঞ্চলের উজবেকিস্তানের সমরকন্দ থেকে) তার আবির্ভাব ও মাহদির কাছে রাজত্ব হস্তান্তরের মাঝে বাহাত্তর মাসের ( অর্থাৎ ছয় বছরের ) ব্যবধান হবে।

[আসসুনানু ওরিদাতু ফিল ফিতান হাদিস নং ৫৭৪]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.574/

নোট:-সবগুলো হাদিস পর্যালোচনা করলে বুঝা যায় যে... বনু হাশেম গোত্রের আব্বাসীয় বংশোদ্ভূত খলিফা আবদুল্লাহর পিতা যখন (রোমে) ইতালিতে/ইয়োরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে তাহলে প্রায় তার ৭-৮ বছর পরে ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশ ঘটবে ইনশাল্লাহ।


🍁হযরত যুবায়ের ইবনে নুফায়ের রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, ধ্বংস হোক আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল্লাহ এবং আবদুল্লাহ ইবনে আবদুর রহমানের জন্য।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮১৬ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.816


🍁হযরত আলী রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, দুই আব্দুল্লাহ একে অপরের পিছু নিতে থাকবে এক পর্যায়ে উভয় বাহিনী কারকীসিয়া নামক স্থানের নদীর পার্শ্বে সমবেত হবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৬৪ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.864/


🍁হযরত আলা ইবনে সুলাইমান থেকে বর্নিত, তিনি বলেন আমি আবু কাবীলকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, যখন তুমি শুনবে কিংবা মিশরের মিম্বরের নিকটে আসবে, তখন আমীরুল মু’মিনীন আব্দুল্লাহর জন্য দোয়া করা হবে তাহলে বুঝতে হবে সেদিন বেশি দূরে নয় যে, আবারো শুনতে পাবে আব্দুল্লাহ আব্দুর রহমান আমীরুল মুমিনীনের জন্যও দোয়া করা হচ্ছে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৩৭ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.737


🍁 আব্দুস সালাম ইবনে মাসলামা থেকে বর্নিত তিনি বলেন আমি আবু কাবিলকে বলতে শুনেছি, যখনই মিশরের মিম্বরে আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ আমীরুল মুমিনীনের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাঠ করা হবে, তাহলে বেশিদিন আর অপেক্ষা করতে হবেনা সেই মিম্বরে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম বাদশাহ আব্দুল্লাহ আব্দুর রহমান আমীরুল মুমিনীনের পক্ষ থেকে বক্তব্য পাঠ করা হবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৩৮ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.738


🍁বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হোযাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি মিশর বাসীদেরকে বলেন, যখন মাশরিক বাসীদের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে কোনো পয়গাম আসে, যার মধ্যে আব্দুল্লাহ আমীরুল মুমিনীনের পক্ষ হতে বক্তব্য থাকবে, তখন তোমরা অন্য আরেকটি পয়গামের অপেক্ষা করতে থাকো। সেটা আসবে মুলতঃ আমীরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহ আব্দুর রহমান কর্তৃক প্রেরিত হয়ে মাগরিব বাসীদের পক্ষ থেকে আসবে। শপথ সেই সত্ত্বার যার হাতে হোজাইফার জীবন রয়েছ, তোমরা এবং তাদের মধ্যে ব্রিজের নিকটে তুমুল যুদ্ধ হবে। তারা তোমাদেরকে কাফের আখ্যায়িত করে মিশর এবং শাম দেশ থেকে বের করে দিবে। এহেন পরিস্থিতিতে পঁচিশটি দেরহাম নিয়ে জনৈকা আরবী নারী দিমাশকের গেইটে তোমাদের অনুস্বরণ করবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৩৯ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.739


🍁হযরত ইবনে আব্বাস রাযিঃ হতে বর্ণিত যে, হযরত হুযাইফা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন তার বংশধরের থেকে এক লোক পূর্বাঞ্চলের নদী সমূহের মধ্য থেকে একটি নদীর উপর অবস্থান নিবে। যার নাম হবে আব্দুল ইলাহ বা আব্দুল্লাহ।উক্ত নদীর উপর দুইটি শহর গড়ে উঠবে। আর উক্ত দুটি শহরের মাঝখান দিয়ে নদী বইবে। আর যখন আল্লাহ্ তা’আলা তার রাজত্বের অবসানের অনুমতি দিবেন এবং তার মেয়াদ কাল শেষ করে দিবেন, তখন আল্লাহ তা’আলা উহার দুটির একটিতে কোন এক রাত্রে আগুণ পাঠাবে। ফলে গাড় কালো ও অন্ধকার হয়ে যাবে। সব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিবে। কেমন যেন ঐ স্থানে কোন কিছুই ছিল না। আর সকাল হবে আর সবাই আশ্চার্যান্তিত হবে। কিভাবে সবকিছু চলে গেল । সেদিন শুধু দিনের শুভ্রতাই থাকবে। এমনকি আল্লাহ তা’আলা সেদিন সেখানে প্রত্যেক অহংকারী দাম্ভিককে একত্র করবেন। অতপর আল্লাহ তা’আলা তাদের সকলকে সহ উক্ত শহর দাবিয়ে দিবেন। আল্লাহ তা’আলার কথন হা-মীম, আইন সীন ক্বাফ। আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে দৃঢ় ভাবে প্রত্যয়িত এবং ফায়সালা। আর আইন (অক্ষর দ্বারা উদ্দেশ্য হল) আযাব। আর সীন ( এর ক্ষেত্রে) বলা হয় অচিরেই নিক্ষিপ্ত হবে, উক্ত দুটির উপর পতিত হবে। অর্থাৎ উক্ত দুটি শহরের উপর ।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৮৬ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.886/


🍁হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তারকাছে এক লোকের আগমন ঘটে,তার নিকট হোজাইফা রাযিঃও বসা ছিলেন। তিনি বলেন, হে ইবনে আব্বাছ! আল্লাহ তাআলার বাণি .....পাঠ করার পর কিছুক্ষণ মাথা ঝুকিয়ে রাখে এবং কিছুক্ষণ পর্যন্ত অন্যমনস্ক হয়ে থাকে। অতঃপর সে আয়াত আরেকবার তিলাওয়াত করে নেয়। যার কারণে কেউ কোনো উত্তর দেয়নি। হযরত হোজাইফা রাযিঃ বলেন, আমি তোমাকে সংবাদ দিব, যদ্বারা জানতে পারব কি কারণে অপছন্দ করা হয়েছিল। উল্লিখিত আয়াত আহলে বাইতের একলোক সম্বন্ধে নাযিল হয়, যাকে আব্দুল ইলাহ এবং আব্দুল্লাহ বলা হয়। যে মাশরিকের নদীসমূহ থেকে একটি নদীর পার্শ্বে এসে অবস্থান গ্রহণ করে। যার উপর দুইটি শহর প্রতিষ্ঠা করা হয়, যদ্বারা এক নদী দুই খন্ড হয়ে যায়। যে শহরে প্রত্যেক জালেম শাসক একত্রিত হবে। বর্ণনাকারী আরতাত বলেন, যখন ফুরাত নদীর তীরে কোনো শহর প্রতিষ্ঠিত করা হবে, অতঃপর আমরা কাওয়াসিন ও কাওয়াসিলের সাথে কথা বলবো। এবং তোমরা তোমাদের দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, যেমন কোনো মহিলা তার লজ্জাস্থান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমনকি লঞ্ছনা থেকেও নিষেধ করতে পারবেনা। আর যখন ইরাক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া জমিনের পার্শ্বে দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থানে একটি শহর প্রতিষ্ঠা করা হয় তখনই দুহ্ইামার ফেৎনা প্রকাশ পাবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৫৬৮ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.568/


🍁আবু উসমান রহ . জারির বিন আব্দুল্লাহ রা . থেকে বর্ণনা করেন , তিনি ( আবু উসমান রহ . ) বলেন , আমি তাঁর সঙ্গে সফর করছিলাম। আমরা যখন কুতবুল্লা এলাকায় পৌছলাম , তখন তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন , এটা কোন অঞ্চল ? আমি বললাম , কুতবুল্লা। এ কথা শুনে তিনি তার ঘােড়ার পেটে আঘাত করে সেখানে দাঁড়ালেন। অতঃপর বললেন , আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি , দজলা ও দুজাইল এবং কুতবুল্লা ও সারার মধ্যবর্তী স্থানে একটি শহর নির্মাণ করা হবে , যেখানে দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ এবং বিশ্বের সব জালিম একত্র হবে। অতঃপর তার অধিবাসীসহ সে এলাকা ধসিয়ে দেওয়া হবে। আর তা এতই দ্রুত তলিয়ে যাবে , যেমনটি নরম ভূমিতে লােহার পেরেক ঢুকে পড়ে।

[আসসুনানু ওরিদাতু ফিল ফিতান হাদিস নং ৪৭০]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.470/


🍁হযরত যুবাইর ইবনে নুফাইর রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন,(ইরাকের বংশোদ্ভূত) আমীরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহর ধ্বংস হোক। তেমনি ভাবে (আফ্রিকান অঞ্চলের হলুদ পতাকাবাহী দলের নেতা) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমানেরও ধ্বংস হোক।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৪৩ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.743


🍁হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ননা করেন, তিনি এরশাদ করেন, তোমাদেরকে আমি মাশরিকের (ইরাক) দিক থেকে আগত ফিৎনা থেকে ভয় প্রদর্শন করছি। এর পর মাগরিবের(আফ্রিকা) দিক থেকে আগত ফিৎনা সম্বন্ধে আশংকা প্রকাশ করছি।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৫৯ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.759


🍁হাবীব ইবনে সালেহ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, পশ্চিমাদের মধ্যে আব্দুর রহমান নামক এক লোক প্রকাশ পাবে। এক পর্যায়ে সে হিমস নামক স্থানে এসে তার মিম্বরে আরোহন করবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৪৫ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.745



🍁হযরত তাবী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, মাগরিব বাসিদের নেতৃত্ব দানকারী হবে আব্দুর রহমান ইবনে হিন্দ। লোকটি অনেক লম্বা প্রকৃতির হবে এবং তার সামনে এমন একজন লোক থাকবে, যার নাম হবে শয়তানের নাম। যারা তার অধীনে যুদ্ধ করবে, তাদের ধ্বংস অনিবার্য এবং তাদের শেষ গন্তব্য হবে জাহান্নাম।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৫৬ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.756


🍁হযরত যুহরী রহঃ থেকে বর্নিত তিনি এরশাদ করেন, যখন মিশরে হলুদ পতাকাবাহী বাদশাহ প্রবেশ করবে তখন তোমরা গিয়ে ব্রিজের পাদ দেশে একত্রিত হতে থাকো এবং মাশরিক-মাগরিব থেকে আগত সৈন্যের অপেক্ষা করতে থাকো। সেখানে মোট সাতবার যুদ্ধ সংঘটিত হবে এবং সকলে আহত হয়ে রক্তে রন্জিত হয়ে যাবে। মোট কথা সব ধরনের ফিৎনা সেখানে হতে থকবে। এক পর্যায়ে মাশরিক বাসীরা পিছু হঠতে থাকবে এবং রামলা নামক স্থানে গিয়ে অবস্থান নিবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৪৪ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.744



🍁হযরত আবু কাবীল রহঃ বলেন, নিঃসন্দেহে পশ্চিমারা এবং ফুজাআ ও মারওয়ানের সন্তানগণ শাম দেশের মূল ভুখন্ডে কালো পতাকার নিচে সমবেত হবে। বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হোজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি একদা মিসর বাসীকে সম্বোধন করে বলেন, হে মিশরীগণ! যখন পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে তোমাদের দিকে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান আসবে এবং তারা পুলের উপর থাকা অবস্থায় তোমাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। তোমাদের এবং তাদের মিলিয়ে প্রায় সত্তর হাজার যোদ্ধা হবে। সে তোমাদেরকে মিশর এবং শাম দেশ থেকে লাঞ্চিত অবস্থায় কাফের আখ্যায়িত করে বের করে দিবে। ঐপরিস্থিতিতে জনৈকা আরবী মহিলা পঁচিশ দেরহাম নিয়ে দিমাশকের গেইটে অবস্থান করবে। অতঃপর পশ্চিমারা হিমস নগরীতে প্রবেশ করে দীর্ঘ আঠার মাস পর্যন্ত অবস্থান করবে। এদিনগুলোতে তারা যাবতীয় সম্পদ বিলি করবে এবং নারী-পুরুষদেরকে নির্বিচারে হত্যা করবে। কিছুদিন পর আসমানের নিচে অবস্থানরত নিকৃষ্ট লোকদের অন্যতম একজন(সুফিয়ানি) তাদের প্রতি ধেয়ে আসবে এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করে তাদেরকে পরাজিত করবে। এক পর্যায়ে তারা হিমস নগরী ছেড়ে দিয়ে মিশরের ভুখন্ডে প্রবেশ করবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৬৪ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.764


🍁ইবনে শিহাব যুহরী থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, ফিৎনা কালীন যুগে কালো এবং হলুদ ঝান্ডা বিশিষ্ট লোকজন পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে যুদ্ধ করতে থাকবে। এক পর্যায়ে তারা ফিলিস্তিন নগরীতে আসবে। অতঃপর মাশরিকদের থেকে সুফিয়ানী নামক জনৈক লোক বের হয়ে আসবে। পশ্চিমারা জর্ডানে এসে পৌছলে তাদের নেতা হঠাৎ করে মারা যাবে এবং তারা তিন দলে বিভক্ত হয়ে পড়বে। একদল যেদিক এসেছিল সেদিকে ফেরত যাবে, অন্যদল হজ্বের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে এবং আরেকদল সেখানেই থেকে যাবে। এক পর্যায়ে তাদের সাথে সুফিয়ানীর যুদ্ধ হবে। মাগরিব বাসীদের অবশিষ্টাংশ পরাজিত হয়ে (সুফিয়ানির) তার অধীন হয়ে যাবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৬৯ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.769


🍁হযরত তাবী রহঃ কা’ব থেকে বর্ননা করেন, তিনি বলেন, যখন তুমি হলুদ ঝান্ডা বাহী দলকে ইস্কান্দারিয়া (মিশরের সমুদ্র বন্দর আলেকজান্দ্রিয়া) অবস্থান করতে দেখবে অতঃপর তারা সুররাতাশ শামে (সিরিয়ায়)আসবে তখনই হারাস্তা নামক দিমাশকের একটি জনপদ ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে। (এবং মসজিদের🕌পশ্চিম পার্শ্বে গভীর গর্ত হয়ে যাবে)

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৮১ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.781


🍁হযরত মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যাহ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন মাগরিব(আফ্রিকান) বাসিদের প্রাথমিক দল দিমাশকের মসজিদে প্রবেশ করবে। তারা সেখানে প্রবেশ করে মসজিদের সৌন্দর্য্য ও কারুকার্য গুলো দেখে আশ্চর্য্য প্রকাশ করতে থাকবে। হঠাৎ করে ভুমকম্প আরম্ভ হবে, যার ফলে দিমাশকের মসজিদের🕌পশ্চিম পার্শ্বে গভীর গর্ত হয়ে যাবে এবং হারাস্তা নামক গ্রাম নিচের দিকে ধ্বসে পড়বে। এহেন পরেস্থিতিতে সুফিয়ানীরা প্রকাশ পাবে এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করবে আর তাদেরকে মিশরের দিকে ধাওয়া করবে। কিছুদিন পর আবারো সে আসবে এবং মাশরিক বাসিদের সাথে যুদ্ধ করে তাদেরকে ইরাকের দিকে পাঠিয়ে দিবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৭০ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.770



🍁হযরত আরতাত রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, যখন তুর্কী, রোম এবং খাসাফ জাতি দিমাশকের এক প্রান্তরে জমায়েত হবে এবং দিমাশকের মসজিদের🕌পশ্চিম প্রান্তে আরেকদল ভুপাতিত হবে তখনই শাম দেশে আরকা(হলুদ পতাকাবাহী দল), আসহাফ(ISIS) এবং সুফিয়ানীদের তিনটি ঝান্ডা প্রকাশ পাবে। দিমাশক এলাকাকে জনৈক লোক(বাশার আল আসাদ)অবরুদ্ধ করে রাখবে। এক পর্যায়ে সেই লোক এবং তার সাথীদেরকে হত্যা করা হলে বনু সুফিয়ান থেকে আরো দুইজন লোকের (প্রথম এবং দ্বিতীয় সুফিয়ানি) আত্ন প্রকাশ হবে। তখন যেন দ্বিতীয় বিজয় পাওয়া গেল। অতঃপর যখন আরকা গোত্রের লোকজন মিশর থেকে এগিয়ে আসবে তখনই(প্রথম)সুফিয়ানী তার সৈন্যদের সাহায্যে তাদের সামনে আত্নপ্রকাশ করবে। রোম(ইয়োরোপ) এবং তুর্কীরা মিলে কারকায়সিয়া(কিরকিসিয়া) নামক স্থানে তাদেরকে হত্যা করবে এবং তাদের গোশত দ্বারা জঙ্গলে বাঘ-ভল্লুকরা তৃপ্ত হবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৩৩ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.833


🍁হযরত আরতাত রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন দামেশ্কে কোনো একটি গ্রাম ধসে পড়বে, এবং তার মসজিদের🕌 পূর্ব সাইডের একটি অংশ ভেঙ্গেঁ যাবে। তখনই তুর্কি এবং রোমানরা (ইয়োরোপ) একত্রিত হয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং শাম দেশে তিনটি পতাকা উত্তোলন করা হবে, অতঃপর সুফিয়ানীর সাথে তাদের যুদ্ধ হবে। এক পর্যায়ে তারা কারকীসিয়্যাহ এসে পৌঁছবে। ইসমত বলেন, আমাকে আবু হুকাইমা বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমার এক বোন আত্মপ্রকাশ করেছে এবং আমি শাম দেশে অবস্থান করছিলাম, অতঃপর বলা হলো, যারা পর্বতের শীর্ষে ঘোড়া হাঁকায়, অতি সত্ত্বর তারা শাম এবং জামিরার টীলার উপর অবস্থান করবে। তাদের মহিলাদেরকে বন্দি করা হবে। এমনকি কোনো পুরুষ তার স্ত্রীর পায়ের নুপুর দেখতে পেলেও তার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবেনা।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬১১ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.611



🍁হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসীর (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন(ইমাম) মাহদীর অবির্ভাবের আলামত হল- যখন তুর্কি জাতি তোমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়বে। আর তোমাদের ঐ খলীফা মারা যাবে, যে মাল সম্পদ জমা করেছিল। আর তার (মৃত্যুর) পরে (তার পুত্র) দূর্বল একজন শাসক তার স্থলাভিষিক্ত হবে।  দুই বছর পর তার বাইয়াত নষ্ট হয়ে যাবে। দামেস্কের মসজিদের🕌 পূর্ব দিকের (হারাস্তা নামের এলাকায়) দুটি দেয়াল ধসে যাবে এবং সিরিয়া হতে তিনটি দলের আত্নপ্রকাশ হবে। পূর্ব দিকের (খলিফা আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ইরাকের) অধিবাসীদের জোরে মিসরের দিকে যাওয়া। আর সেটা (প্রথম) সুফইয়ানীর উত্থানের নিদর্শন।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯৬৩ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.963/


নোট: 

(১)এই হাদিসে এমন এক তুর্কি জাতির কথা বলা হয়েছে যে তুর্কি জাতি ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের নিকটতম পূর্বমূহুর্তে মুমিনদের উপর হামলা করবে। অতএব এই হাদিটি চ্যাংঙ্গিস খানের সময়কালের তুর্কি জাতির জন্য প্রযোজ্য নয়। বরং ইমাম মাহদীর আবির্ভাব এর পূর্ব নিকটতম সময়কালের তুর্কি জাতির জন্য প্রযোজ্য হবে। 

(২)এই হাদিসে সুফিয়ানির উত্থানের নিদর্শনের কথা বলা হয়েছে। 

(৩)এই হাদিসের দুর্বল খলিফার নাম অন্যান্য একাধিক হাদিসে আব্দুল্লাহ্ বলা হয়েছে। এই আবদুল্লাহর পিতা যে-কিনা ইরাকের রাক্কাতে অবস্থান করে অতঃপর সিরিয়ায় চলে আসবে এবং রোমে হামলা করবে। অতপর সে রোমের উপর যতটনা বিপদের কারণ হবে তার বেশী বিপদের কারণ হবে মুসলমানদের উপর। 

প্রমাণ:-[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৭৬ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.876/



🍁হযরত কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন বর্বর জাতির(হলুদ পতাকাবাহী দলের) আবির্ভাব ঘটবে তখন তারা মিশরে এসে ঘাটি ফেলবে। তারা দুই দলে বিভক্ত হয়ে একদল থাকবে মিশরে এবং আরেক দল অবস্থান নিবে ফিলিস্তিনে। এভাবে চলতে চলতে এক পর্যায়ে তারা হিমস নামক এলাকায় এসে পৌছবে। তখনই তাদের উপর মসিবতের পাহাড় নেমে আসবে। লাগাতার চল্লিশ দিন তাদের উপর বরফ বর্ষণ হবে। তারপর ধ্বংস হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে। এক পর্যায়ে তারা হিমস নগরী জয় করবে এবং সেখানে প্রবেশ করে আবারো বের হয়ে গিয়ে পশ্চিম গেইট এবং ব্রিজের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান গ্রহন করবে। যে ব্রিজটি বাজারের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। এরপর সেখান থেকে ফিরে এসে বুহাইরায়ে ফামিয়া কিংবা তার কাছাকাছি স্থানে অবস্থান নিবে। অতঃপর কিছুলোক তাদের গতিরোধ করবে এবং তাদের সাথে তীব্রভাবে যুদ্ধ করবে। তাদের নেতা থাকবে ইসমাঈল আঃ এর সন্তানদের একজন। উম্মুল আরব নামক এক গ্রামে মূলতঃ তারা যুদ্ধে লিপ্ত হবে। অতঃপর হঠাৎ করে একলোক তীব্র গতিতে ধেয়ে আসবে এবং আযাদদেরকে হত্যা করবে এবং কিছু লোককে বন্দি করে ফেলবে আর মহিলাদের পেট চিরে বাচ্চা বের করে আনবে উক্ত দল মোট দুই বার পরাজিত হবে এবং সমূলে ধ্বংস হয়ে যাবে। তাদেরকে কুরাইশের এক সাহসী নারী জবেহ করতে থাকবে এবং ইতোমধ্যে যারা বনু হাশেমের মহিলাদের পেট চিরে বাচ্চা বের করেছিল তাদের পেট চিরে ফেলবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৭১ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.771


🍁হাসসান রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, কখনো বলা হয়ে থাকে সে যখন হলুদ ঝান্ডার অধিকারীগন মিশর পর্যন্ত পৌছে যাবে তখন তোমরা নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে সেখান থেকে পালায়ন কর। আর তোমার কাছে এসংবাদ পৌছে যে, তারা শাম দেশে চলে এসেছে তখন তুমি তোমার সাধ্যমত আসমানের নিচে নিরাপদ কোনো স্থান তালাশ করে নাও আথবা তার জন্য নিজের সবকিছু ব্যয় করতে হলেও কর।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৭৭ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.777


🍁আওজায়ি রহ . থেকে বর্ণিত , যখন হলুদ ঝাণ্ডাবাহীরা মিশরে প্রবেশ করবে , তখন যেন শামবাসী(সিরিয়া) মাটির নিচে বাঙ্কার খনন করে নেয়।

[আসসুনানু ওরিদাতু ফিল ফিতান হাদিস নং ৪৭৪]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.474/


🍁কাবে আহবার রহ . থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন , মাহদির আবির্ভাবের নিদর্শন হচ্ছে , পশ্চিম দিক হতে একটি (হলুদ) ঝাণ্ডা প্রকাশ পাবে । যার ওপর কিন্দাহ অঞ্চলের একজন লেংড়া লােক থাকবে । সুতরাং যখন পশ্চিমারা(হলুদ পতাকাবাহীরা) মিশরের ওপর আধিপত্য বিস্তার করবে , তখন শামবাসীর (সিরিয়া) জন্য জমিনের উপরিভাগের চেয়ে অভ্যন্তরভাগ উত্তম বলে বিবেচিত হবে ।

[আসসুনানু ওরিদাতু ফিল ফিতান হাদিস নং ৪৭৬]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.476/


🍁কা’ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন পশ্চিমারা (বর্বর আবাকা জাতী হলুদ পতাকাবাহীরা) মিশর বাসির উপর জয়লাভ করবে তখন শাম বাসিদের জন্য জমিনের নিচের অংশ উত্তম, উপরের অংশ থেকে। বড়ই দূর্ভাগ্য ফিলিস্তিন এবং জর্দানের সৈন্যদের জন্য। এদিকে হিমস(সিরিয়ার হোমস) শহর বর্বর জাতি দ্বারা মারাত্নক ভাবে আক্রান্ত হবে। তাদের তলোয়ার (অস্ত্র) দ্বারা আতর এবং কিন্দার এক লেংড়া লোকের ঘরের দরজায় আঘাত করা হবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৭৬ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.776/


🍁হযরত যি করনাত রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন লোকজন সফর মাসে বিভিন্ন মত বিরোধে জড়িয়ে যাবে এবং চারজন লোকের অনুসরন করার মাধ্যমে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। একজন হচ্ছে (ইমাম মাহাদী) মক্কাতে আশ্রয় গ্রহনকারী, দুইজন শামের অধিবাসী, তাদের একজন হচ্ছে সুফিয়ানী, অন্য জন আসহাব নামের শুভ্র রংয়ের অধিকারী হাকামের বংশ ধরদের থেকে চতুর্থজন হচ্ছে, মিশরের এক প্রতাপশালী লোক। কিন্দার একলোক রাগান্বীত হয়ে শামের দিকে ছুটবে। অতঃপর মিশরের একটি বিশাল বাহিনী ধেয়ে আসবে এবং ঐ প্রতাপশালী লোককে হত্যা করবে আর মিশরকে শুকনো লাদির ন্যায় চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলবে। অতঃপর মক্কায় আশ্রয় নেয়া লোকটির(ইমাম মাহাদীর)প্রতি বাহিনী প্রেরন করবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৪৬ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.846/


🍁তিনি বলেন, বনু হাশেমের (আবদুল্লাহ্ নামের)একজন লোক রাজত্বের মালিক হওয়ার সাথে সাথে বনু উমাইয়ার এক লোককে হত্যা করবে। এভাবে চলতে চলতে সামান্য সংখ্যক লোক বাকি থাকবে। যাদেরকে হত্যা করা হবেনা। ঠিক তখনই বনু উমাইয়ার এক লোকের (সুফিয়ানির) আবির্ভাব ঘটবে এবং সে প্রতি জনের বিপরীত দুইজন করে হত্যা করবে। ফলে(বনু হাশেম গোত্রের)নারী ব্যতীত কোনো পুরুষই আর বাকি থাকবেনা। অতঃপর মাহদী আঃ এর আগমন হবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮২১ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.821


🍁হযরত আবু কুবাইল (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন বনী হাশেমের (আবদুল্লাহ্ নামের) এক ব্যক্তি বাদশা হবে। অতপর সে বনী উমাইয়াকে হত্যা করবে। এমনকি তাদের মাঝে দূর্বল ব্যতীত কেউ জীবিত থাকবে না। তাদের ব্যতীত অন্য কাউকে সে হত্যা করবে না। অতপর বনী উমাইয়া হতে এক ব্যক্তি (সুফিয়ানি) বের হবে। সে (বনু উমাইয়ার)প্রত্যেক এক ব্যক্তির পরিবর্তে (বনু হাশেমর) দুই জনকে হত্যা করবে। এমনকি বনী হাশেমের মহিলা ব্যতীত কেউ জীবিত থাকবে না। অতপর মাহদী বের হবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯৬৮ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.968


🍁হযরত হাসান ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আলী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু উমাইয়া উচ্চ শিখরে উন্নীত হতে থাকবে। এক পর্যায়ে পূর্ব দিকে(ইরাক) থেকে কালো ঝান্ডার অধিকারী (আবদুল্লাহর নেতৃত্বে) বাহিনী আত্মপ্রকাশ করবে। এবং তাদেরকে গনহারে হত্যা করে রাজত্ব ছিনিয়ে নিবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৫৮১ ]

https://habibur.com/kitab/nuaim/id.581/


Saturday, March 21, 2020

ইমাম মাহদী আঃ এর সাথে ঈসা আঃ এর সাথে দেখা হবে না।


ইমাম মাহদী আঃ এর সাথে ঈসা আঃ এর দেখা হবে না।
প্রমাণ নিচের হাদিসগুলো।

সবাই দেখি দাজ্জাল কখন আসবে, ঈসা আলাই সালাম কখন আসবেন, এই বিষয়গুলোতে বড় ধরনের ভুল করে বসে আছেন, বড় বড় আলেমরা পর্যন্ত এই বিষয়ে উদাসীন, অথচ হাদিসগুলো অনুসন্ধানী দৃষ্টিকোণ থেকে গবেষণা করলেই বুঝা যায় যে ইমাম মাহাদী যিনি আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ নামে আসবেন, তার অন্তত 60 থেকে 70 বছর পর দাজ্জাল আসবে এবং ঈসা আলাই সালাম আসবেন, প্রমাণ নিম্নে বর্ণিত হাদিসগুলো।


*হযরত আরতাত রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার কাছে সংবাদ পৌঁছেছে যে,(দ্বিতীয়) মাহদি দীর্ঘ চল্লিশ বৎসর জীবিত থাকবেন, এরপর নিজের বিছানায় মৃত্যুবরণ করবে, অতঃপর কাহতান গোত্রের আরেকজন লোক(নাম মানসুর তৃতীয় মাহদী)যার উভয় কান ছিদ্রবিশিষ্ট হবে খলীফা নিযুক্ত হবেন এবং খলীফা মাহদিকে অনুসরণ করবেন। তিনি বিশ বৎসর পর মারা যাবে। মূলতঃ তাকে(অস্ত্রের মাধ্যমে)হত্যা করা হবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বংশধর থেকে একজন লোক খলীফা হবেন, যার নাম(আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ চতুর্থ)মাহদি হবে, তিনি হবেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী। তার হাতে কায়সারের(সম্রাটের)শহর(ইউরোপ)জয় হবে। তিনি উম্মতে মুহাম্মদিয়ার সর্বশেষ আমীর। তার যুগেই দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং হযরত ঈসা ইবনেমারইয়ান আঃ পৃথিবীর বুকে পূনরায় আগমন করবেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২১৪ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1214/

* হযরত আরতাত (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,(৪০ বছর নেতৃত্বের পর দ্বিতীয়)মাহদির মৃত্যুবরণ করার পর কাহতানগোত্রের উভয় কান ছিদ্রবিশিষ্ট একজন লোক(নাম মানসুর তৃতীয় মাহদী)শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করবে। তার চরিত্র হবে হুবহু মাহদির মত। তিনি দীর্ঘ ২০ বৎসর পর্যন্ত শাসক হিসেবে থাকার পর, তাকে অস্ত্রের(মাধ্যমে)হত্যা করা হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বংশধর থেকে জনৈক লোকের(চতুর্থ মাহদী আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ)আত্মপ্রকাশ হবে। যিনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী হবেন। তার হাতে কায়সার সম্রাটের শহর(ইউরোপ)বিজয় হবে। তিনিই হবেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উম্মতের মধ্যে সর্বশেষ খলীফা বা বাদশাহ। তার যুগে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং সায়্যিদুনা হযরত ঈসা (আঃ) আসমান থেকে অবতরণ করবেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৩৪ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1234/

*হযরত আরতাত রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উক্ত ইয়ামানী(চতুর্থ মাহদী আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ)খলীফার নেতৃত্বে কুস্তুনতুনিয়া (ইস্তাম্বুল) এবং রোমানদের(কায়সার সম্রাটের শহর ইউরোপ)এলাকা বিজয় হবে। তার যুগে দাজ্জালে আবির্ভাব হবে এবং হযরত ঈসা আঃ আগমন করবেন। তার আমলে ভারতের যুদ্ধ সংগঠিত হবে, যে যুদ্ধের কথা হযরত আবু হুরায়রা বলে থাকেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৩৮ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1238/

*হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, একদা হযরত মুআবিয়া রাযিঃকে সম্মোধন করে বলতে শুনেছি, আমাদের বংশের জনৈক লোক(দ্বিতীয় মাহদী)দীর্ঘ চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত শাসন ক্ষমতা পরিচালনা করবেন। তার খেলাফতের সাত বৎসর বাকি থাকতে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ-বিগ্রহ হবে। অতঃপর আ’মাক নামক স্থানে তার মৃত্যু হলে তাদের বংশের আরেকজন লোক(চতুর্থ মাহদী আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ)শাসনভার গ্রহণ করবেন। তার হাতেই রোমানদের বিরুদ্ধে(কায়সার সম্রাটের শহর ইউরোপ)বিজয় অর্জন হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২১৯ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1219/

*হযরত আবান ইবনুল ওলীদ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ একদিন হযরত মোয়াবিয়া রাযিঃ এর সাথে কথা বলতে গিয়ে তার কাছে যুগের বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আখেরী যামানায় জনৈক লোক(দ্বিতীয় মাহদী)প্রায় চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে, তার রাজত্ব সাত বৎসর বাকি থাকতে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ-বিগ্রহ হতে থাকবে। অসম্ভব পেরেশানীর সম্মুখীন হয়ে আমাক স্থানে মারা যাবে। অতঃপর লম্বা নাকের অধিকারী এক লোকের হাতে ক্ষমতা যাবে, তার হাতে বিজয় আসবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৮০ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1280/

*বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রথমে যে কুস্তুনতিনিয়া নামক এলাকা জয়লাভ করা হবে, অতঃপর রোম বাহিনীর সাথে ভয়াবহ একযুদ্ধ হবে, এবং সে যুদ্ধে রোমবাহিনী মুসলমান বিপক্ষে জয়লাভ করবে। হাদীস বর্ণনাকারী আবুকাবীল বলেন, মুহাম্মদ ইবনে সাঈদ নামক একলোক আফ্রিকিয়্যারে শাসক নিযুক্ত হবে, যিনি মূলতঃ আসবে। এরপর আরেকজন বনি হাশেম থেকে(চতুর্থ মাহদী)আত্মপ্রকাশ করবে, যার নাম হবে ইস্বা ইবনে ইয়াযিদ, সে হবে রোম বাহিনীর(বিরুদ্ধে)নেতৃত্ব দানকারি এবং তার হাতে রোমের বিজয় নিশ্চিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৩৩৭ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1337/

*হযরত আবু কুবাইল রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু হাশেমের জনৈক লোক, যার নাম হবে, আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ।(চতুর্থ মাহদী)তার হাতেই রোমানদের বিরুদ্ধে(কায়সার সম্রাটের শহর ইউরোপ)বিজয় অর্জন হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২২০ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1220/

*হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্নিত, একদা তার নিকট বারোজন খলীফা এবং আমীরের আলোচনা করা হলে তিনি এরশাদ করেন, আল্লাহর কসম! উক্ত রক্তপাতের পর(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট তৃতীয় মাহদী)খলীফা মনসুর,(চতুর্থ খলিফা)মাহদী সিংহাসনে বসবে। এক পর্যায়ে তারা হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আঃ এর সাথে মিলিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৮২ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1282/

*হযরত কাব রহঃ থেকে বর্নিত তিনি বলেন(কাহতানি)খলিফা মানসূর মাহদী মৃত্যুবরন করার পর আসমান জমিনের অধিবাসি এবং আসমানের পশু পাখি তার জানাযায় শরীক হবে এবং দোয়া করবে। তিনি রোম বাসিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ বিশ বৎসর পর্যন্ত যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন এবং ভয়াবহ এক যুদ্ধে শাহাদাত বরন করবেন। ঐ যুদ্ধে তিনি এবং তার সাথে থাকা আরো দুই হাজারের মত সৈনিক শাহাদাত বরন করবেন। তাদের প্রত্যেকে আমীর এবং ঝান্ডাবাহী। রাসূলুল্লাহ সাঃ দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পর মুসলমান এত মারাত্মক আর কোন মসিবতের সম্মুখিন হয়নি।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৯৯ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1299/

*কাইস আস-সাদাফী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন,(দ্বিতীয়) মাহদির পর জনৈক কাহতানী(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট খলিফা মনসুর)নামক লোক(তৃতীয় মাহদী)শাসক নিযুক্ত হবে। কসম সেই সত্ত্বার যিনি আমাকে হক্ব নিয়ে প্রেরণ করেছেন, তার হাতেই বিজয় হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২২১ ]

*আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত কাহ্তান গোত্র হতে(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট)এমন এক ব্যক্তির আগমন না হবে(নাম মানসুর তৃতীয় মাহদী)যে মানুষ জাতিকে তার লাঠির সাহায্যে পরিচালিত করবে।
[সহিহ বুখারী তাওহীদ প্রকাশনী হাদিস নং ৩৫১৭ ]
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=27882
[৭১১৭, মুসলিম ৫২/১৮ হাঃ ২৯১০]
[আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৬৬]

*কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কিয়ামত কায়িম হবে না যতক্ষন না কাহতান গোত্র হতে(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট)এক ব্যক্তির আবির্ভাব হবে, যে লোকদেরকে লাঠি দ্বারা পরিচালিত করবে।
[সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)হাদিস নম্বরঃ ৭০৪৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=19367

*আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত কাহতান গোত্র হতে এমন(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট) এক ব্যক্তির আগমন না হবে যে মানুষ জাতিকে তার লাঠির সাহায্যে পরিচালিত করবে।
[আল-লুলু ওয়াল মারজান হাদিস নম্বরঃ ১৮৪৪]
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৬১ : মর্যাদা ও গুণাবলী, অধ্যায় ৭, হাঃ ৩৫১৭; মুসলিম, পর্ব ৫২ : ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ, অধ্যায় ১৮, হাঃ ২৯১০ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=85072

*আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... মুহাম্মদ ইবনু জুবায়ের ইবনু মুত্‌'ঈম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মু'আবিয়া (রাঃ) এর নিকট কুরাইশ প্রতিনিধিদের সহিত তার উপস্থিতিতে সংবাদ পৌছলো যে, আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) বর্ণনা করেন, অচিরেই কাহতান বংশীয়(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট মানসূর নামক)একজন বাদশাহর আবির্ভাব ঘটবে। ইহা শুনে মু'আবীয়া (রাঃ) ক্রোধান্বিত হয়ে খুত্‌বা দেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আল্লাহর যথাযোগ্য হামদ ও সানার পর তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি, তোমাদের মধ্য হতে কিছু সংখ্যক লোক এমন সব কথাবার্তা বলতে শুরু করেছ যা আল্লাহর কিতাবে নেই এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও বর্ণিত হয়নি। এরাই মূর্খ, এদের থেকে সাবধান থাক এবং এরূপ কাল্পনিক ধারনা হতে সতর্ক থাক যা এর পোষণকারীকে বিপথগামী করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি যে, যতদিন তারা দ্বীন কায়েমে নিয়োজিত থাকবে ততদিন খিলাফত ও শাসন ক্ষমতা কুরাইশদের হাতেই থাকবে। এ বিষয়ে যে-ই তাদের সহিত শত্রুতা করবে আল্লাহ তাকে অধঃমুখে নিক্ষেপ করবেন (অর্থাৎ লাঞ্ছিত ও অপমানিত করবেন)।
[সহীহ বুখারী (ইফাঃ)হাদিস নম্বরঃ ৩২৫১]
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=3509
হাদীস বড় হওয়ার কারণে প্রাসঙ্গিক বিষয় উল্লেখ্য করা হলো।

*পূর্বদিকের জনৈক লোক এগিয়ে আসবে, সে লোক হবে খুবই লম্বা এবং মোটাসোঁটা তার সাথে যার দেখা হবে তাকে হত্যা করবে এক পর্যায়ে বায়তুল মোকাদ্দাসে প্রবেশ করবে। হঠাৎ তার উপর একটি জানোয়ার চড়াও হলে মারা যাবে। যার কারণে পৃথিবী আবারো অনাচারে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। এরপর মুজার গোত্রের আরো একজন লোক আমীর নিযুক্ত হবে, যাকে কতিপয় ভালো লোকজন হত্যা করতে সামর্থ্য হবে। এরপর মুজারী, আম্মানী, কাহতানী গোত্রের জনৈক লোক(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট মানসূর)আমীর হবে। যে মূলতঃ মাহদি চরিত্রে চরিত্রবান হবে এবং তার হাতে রোমানদের শহর জয় হবে। লেখক আবু আব্দুল্লাহ নুআঈম রহঃ বলেন, তিনি এক্্লা নামক এক গ্রাম থেকে বের হয়ে আসবেন, যে গ্রামটি সানা নামক শহর থেকে এক মারহালা পিছনে অবস্থিত, তার পিতা কুরাশি হলেও মাতা হবেন ইয়ামানী।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৩৭ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1137/

*হযরত ইবনে শিহাব যুহরী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (দ্বিতীয়)মাহদি আঃ এর মৃত্যুর পর লোকজনের মাঝে ফেৎনা, বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ঐ সময় বনু মাখজুমের জনৈক লোক এগিয়ে এসে নিজের জন্য বাইয়াত গ্রহণ করতে থাকবে। কিছুদিন তার রাজত্ব চলার পর সে মানুষকে খাদ্য থেকে বঞ্চিত করবে। তার এসব কাজের কেউ বিরুদ্ধাচরণ করবেনা। এরপর মানুষের জন্য দান করা বন্ধ করে দিবে, কিন্তু তারপরও তার কাজের প্রতিবাদ করার মত কাউকে পাওয়া যাবেনা। একদিন বায়তুল মোকাদ্দাস পৌছলে সে এবং তার সাথিরা টালমাটাল হয়ে যাওয়া চাকার মত হয়ে যাবে। তার ঘরের মহিলারা উলঙ্গ প্রায় হয়ে স্বর্ণরূপা পরিধান করতঃ বাজারে ভ্রমণ করতে থাকবে। কিন্তু তাদেরকে সংশোধন করে দেয়ার মত কাউকে পাওয়া যাবেনা। ইয়ামান থেকে বনুকুজাআহ, মুয়হাজ্ব, হামদান, হিমইয়ার, আযদি, গাছদান এবং যারা তার কথা শুনেনা তাদের সকলকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দিবে। এক পর্যায়ে তাদেরকে বের করা দেয়া হলে তারা এসে ফিলিস্তিনের এক পাহাড়ের চুড়ায় আশ্রয় নেয়। অন্যদিকে জাদীয়, লাখাম ও জুযাম এবং আরো অনেকে শাসকের এহেন আচরনে ক্ষুব্ধ হয়ে খাবার-পানি নিয়ে এগিয়ে আসবে। ইউসুফ আঃ যেমন তার ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন এরাও এসব লোকের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। এমন মুহূর্তে হঠাৎ আসমান একটি গায়েবী আওয়াজ আসবে, যা কোনো মানুষ কিংবা জ্বিনের কণ্ঠ থাকবেনা। সে বলবে ‘তোমরা অমুকের হাতে বায়আত গ্রহণ করো, তোমরা হিজরতের পর পূনরায় পিছনে ফিরে যেয়োনা। তারা সকলে এদিক ওদিক দৃষ্টি দিয়ে কাউকে দেখতে পাবে না। এভাবে তিনবার গায়েবী আওয়াজ আসলে, তারা সকলে(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট তৃতীয় মাহদী)মানসূরের হাতে বায়আত গ্রহণ করবে। অতঃপর দশজনের একটি প্রতিনিধিদল মাখযূযির কাছে পাঠানো হলে তাদের নয়জনকে সে হত্যা করবে, কেবল একজনকে জীবিত রাখবে। এরপর পাঁচজনের আরেকটি দল প্রেরণ করলে তাদের চারজনকে হত্যা করে একজনকে জীবিত রাখা হবে। অতঃপর তিনজনের আরেকটি প্রতিনিধি পাঠানো হলে দুইজনকে হত্যা করে একজনকে জীবিত রাখা হবে। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর মুসলমানরা তার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করবে এবং তার সাথীবর্গসহ তাকে(কাহতানিকে অস্ত্রের মাধ্যমে) হত্যা করা হবে। গোপনে পলায়নকারী ব্যতীত কেউ বাঁচতে পারবেনা। প্রত্যেক কুরাশীকে হত্যা করা হবে। তখন হাজারো তালাশ করেও একজন কুরাশী পাওয়া যাবেনা, যেমন বর্তমানে কেউ জুরহুম গোত্রের কাউকে তালাশ করে পাওয়া যাবেনা। ঠিক তেমনিভাবে কুরাইশ গোত্রের লোকজনকেও ব্যাপকভাবে হত্যা করা হলে, পরবর্তীতে আর তাদের কাউকে পাওয়া যাবে না।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৩৬ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1136/

*হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিয়ামত সংগঠিত হবেনা যতক্ষণ না কাহতান এলাকার(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট)এক লোক মানুষকে তার অধীন করবেন না।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৩৯ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1139/

*হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, কিয়ামতের পূর্বে কাহতান এলাকার(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট)জনৈক লোক তার শাসনের লাঠি দ্বারা মানুষকে তার অধীন করে নিবেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৪০ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1140/

*হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হাজ্জাজ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ হিসাব করে বলতেন(প্রথম মাহদীর পর)প্রথমে জালেম শাসক হবে জাবের, অতঃপর(দ্বিতীয়)মাহদি, এরপর(তৃতীয় মাহদী)মানসুর, অতঃপর সালাম, এরপর আমীরুল গজব আমীর নিযুক্ত হবে। এরপর যাদের সাধ্য রয়েছে, তারা যেন মৃত্যু বরণ করে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৪৪ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1144/

Monday, February 17, 2020


হাদীসের ভবিষ্যৎবাণী
*হযরত ইবনে আইয়াস রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমাদের নিকট আমার মাশাইখগণ হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন। আর তাদের একজন (বর্ণনাকারীদের) আরেকজনের উপর বেশী বর্ণনা করেছেন। আর তারা সকলেই বলেছেন যে, হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু এক জ্ঞানী রাহেবের নিকট একত্রিত হলেন যাকে নুসু’ বলা হত। আর সে আলেম ও (পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের) পাঠক ছিল। অতপর তারা দুনিয়ার বিষয়ে এবং দুনিয়ার মধ্যে যা বিরাজ আছে তা নিয়ে আলোচনা করলেন। অতপর নুসু’ বলল হে কা’ব! একজন নবী (মুহাম্মদﷺ) প্রকাশ পাবে, যার একটি দ্বীন বা ধর্ম (ইসলাম) থাকবে। আর তার উক্ত দ্বীন (ইসলাম) সমস্ত দ্বীন বা ধর্মের উপর প্রকাশ (বিজয়ী) পাবে। অতপর নুসু’ হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু কে উদ্দেশ্য করে বলল হে কা’ব আমাকে তাদের রাজত্ব সম্পর্কে অবহিত কর। (তাহলে) আমি তোমাকে সত্যায়ন করবো। এবং তোমার ধর্মে (ইসলামে) প্রবেশ করবো। অতপর হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন আমি তাওরাত কিতাবে পেয়েছি যে, তাদের থেকে (মুহাম্মদﷺ এর বংশের) বারজন বাদশা হবে। তাদের প্রথমজন হবে (আবুবকর সিদ্দিক রাঃ) সত্যবাদী আর সে মৃত্যুবরণ করবে। অতপর পৃথককারী যুদ্ধ করবে। অতপর আমীর বা নেতা যুদ্ধ করবে। অতপর প্রধান রাজা বা বাদশা মৃত্যুবরণ করবে। অতপর আহরাস ওয়ালা মৃত্যুবরণ করবে। অতপর অহংকারকারী মৃত্যুবরণ করবে। অতপর আসব ওয়ালা আর সে হল বাদশাদের শেষজন যে মারা যাবে। অতপর আলামত বা নিদর্শণ ওয়ালা ব্যক্তি বাদশা হবে এবং মারা যাবে। নুশু বলল, এখন আমাকে বধিরদের ফিতনা সম্পর্কে খবর দাও। যারা সেখানে রক্তপাত করবে এবং সেখানে অনেক বালা মুসিবত হবে। হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন উহা তখন ঘটবে যখন ইবনে মাহেক যাহবিয়ানকে হত্যা করা হবে। আর তার হত্যার সময় বালা মুসিবত পড়ে (থেমে) যাবে। আর সুচ্ছন্দতা বেড়ে যাবে। আর উহা প্রজ্জলিত করবে এমন এক কওম যারা বুদ্ধিমান ও অনুগামী (সুখ শান্তি ভোগ করবে)। আর তখন তাদের জন্য নিদর্শন ওয়ালার পরিবার হতে চারজন বাদশা নিযুক্ত হবে। দুইজন বাদশা এমন যাদের জন্য কিতাব পড়া হবে না। আর একজন বাদশা তার বিছানাতে মারা যাবে। তার অবস্থান হবে অল্প সময়ের জন্য। আরেকজন বাদশা যে জওফের দিক হতে আসবে। আর তার দুই হাতে থাকবে বালা মুসিবত। আর তার হতে মুকুট চূর্ণ বিচূর্ণ হবে। আর সে চার মাস হিমসে (সিরিয়ার হোমস শহরে) অবস্থান করবে। অতপর তার যমিন বা দেশ (ইরাক) হতে তার দিকে ভীতি আসবে ফলে সে সেখানে থেকে প্রস্থান করবে। আর তখন জওফের উপর বালা মুসিবত আপতিত হবে। আর যখন তা ঘটবে তখন তাদের (ISIS নিজেদের) মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে এবং তাদের উপর বনু আব্বাসের ফিতনা আবর্তিত হবে। তারা এগারোজন অশ্বারোহী পূর্বদিকে প্রেরণ করবে। আর আল্লাহ তা’আলা তাদের (ঐসময় ISIS এর) কাজে সন্তুষ্ট থাকবেন না। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের (ISIS) দ্বারা ঐসময়ের লোকজনকে পরীক্ষা করবেন। ফলে আরবের প্রত্যেক অধিবাসীদের উপর তাদের শিবির প্রবেশ করবে। ফলে তারা পূর্বদিক হতে বিয়ের বরের ন্যায় দ্রুত চলে যাবে। আর সে সময়ই তাদের (মাহদীর খিলাফত সহজ করার বাহিনীর) কালো পতাকা প্রকাশিত হবে। যারা তাদের ঘোড়া সিরিয়ার যাইতুন গাছের সাথে মিলিত করবে। আর আল্লাহ তা’আলা তাদের (মাহদীর খিলাফত সহজ করা বাহিনীর) হাত দিয়ে প্রত্যেক অহংকারী ও তাদের শত্রুকে হত্যা করবেন। এমনকি তাদের (মাহদীর শত্রু) অধিবাসীদের হতে আত্মগোপনকারী ও পালয়নকারী ব্যতীত কেউ জীবিত থাকবে না। (তখন মাহদীর খিলাফত সহজ করা বাহিনীর দল থেকে) তিনজন মানসূর, সিফাহ, ও মাহদীর প্রকাশ হবে। নুশু বলল তাহলে কে তাদের নেতা ও তাদের বিষয়ের দায়িত্বশীল হবে? তিনি বললেন যারা চলে ও বসবাস করে সৈন্যদের মত। আর সে সময় সিফাহ পূর্বঞ্চলবাসীদের উপর লাঞ্চনা ও হীনতা চাপিয়ে দিবে। যা আরিমাকে (গোত্রের লোকজনকে) পয়তাল্লিশ সকাল মিলিত করবে।অতপর তাদের মাঝে সত্তর হাজার তরবারী (ওয়ালা সৈন্য) প্রবেশ করবে। তাদের প্রতীকি নিশান থাকবে কোষমুক্ত, উচু উচু। অতপর সিফাহ এর জন্য দুটি ঘটনা হবে। একটি ঘটনা বা যুদ্ধ হবে পূর্বাঞ্চলে (সিরিয়া,ইরাক, ইরানে)। আরেকটি হবে জওফে (ইয়েমেনের প্রদেশে)। অতপর যুদ্ধ তার আওযার ( যুদ্ধ থামিয়ে যুদ্ধের পোষাক) রেখে দিবে। নুশু বলল আর কতদিন তাদের রাজত্ব স্থায়ী হবে? হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন সাতের মধ্যে নয়। আর তাদের জন্য উহার শেষে আছে অমঙ্গল। নুশু বলল তাদের ধ্বংসের আলামত কি? তিনি বললেন উহার আলামত হল পূর্বাঞ্চলে (সিরিয়া,ইরাক,ইরানে) দূর্ভিক্ষ, পশ্চিাঞ্চলে (মিশর থেকে আফ্রিকা) পতন, জওফে রক্তিমাকার হওয়া, কিবলাতে (কাবায়) ফাসীর মৃত্যুবরণ। অতপর ঐসময়ের অধিবাসীগণ সিফাহ এর জন্য অজ্ঞতা একত্রিত করবে। তারা তাদের ধর্মকে অহেতুক ও খেলাচ্ছলে গ্রহণ করবে। তারা উহা (ধর্ম) দিনার দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করবে। এমনকি যখন তারা এমন হবে যে তারা তাদের শত্রুকে দেখবে আর এটা ধারণা করবে যে শত্রুরা এখনই তাদের দেশের উপর আক্রমণ করবে তখন তাদের শয়তানী শক্তির (বিদ্রোহীতার) মুল ব্যক্তি আসবে। উহার পূর্বে কেউ তাকে চিনতো না। সে হবে মাঝারি গড়নের, চূলগুলো কোঁকড়ানো, তার চক্ষু হবে কোটারগত, চোখের ভ্রু হবে মিলিত, হলুদবর্ণের। এমনকি যখন সে উক্ত বছরের শেষে যে বছরে ঐসময়ের অধিবাসীরা সফাহের জন্য জমা করেছিল তখন মানসূর মারা যাবে। আর তখন একটি মাত্র শহরে ব্যতীত তারা সবাই পৃথক হয়ে যাবে। অতপর যখন তাদের নিকট খবর পৌঁছবে তখন তারা যেমন ছিল তেমনভাবে মারামারি করবে। অতপর তারা আব্দুল্লাহর জন্য বাইয়াত গ্রহণ করবে। অতপর সুফইয়ানী প্রত্যাবর্তণ করবে। আর সে পশ্চিমাঞ্চলের একটি দলের মাধ্যমে তাদেরকে নিজের দিকে ডাকবে। ফলে তারা তার জন্য এমনভাবে জমা করবে যা ইতিপূর্বে কেউ কারো জন্য করে নাই। অতপর সে কূফা হতে একটি সৈন্যদল বিচ্ছিন্ন করে দিবে। আর তখন বসরা (ইরাক) হতে কোন সৈন্যদল হবে না। আর তখনই তাদের অধিকাংশ লোক আগুনে পুড়ে পানিতে ডুবে মারা যাবে। আর ঐসময় কুফাতে ভূমিধস হবে। আর দুটি জামাআত একটি স্থানে মিলিত হবে। যে স্থানকে কিরকিসিয়া (সিরিয়ার প্রদেশ দেইর-আজ-জুর) বলা হয়। আর তখন সবর পৃথক হয়ে যাবে, তাদের থেকে সাহায্য উঠিয়ে নেয়া হবে এমনকি তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যদি পশ্চিমদিক (সৈন্য) প্রেরণ হয় তাহলে ছোট যুদ্ধ বা ঘটনা হবে। আর ঐসময় আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহর জন্য আফসোস! আর আমি তোমাদের উপর ঐসময়ের সফরের পতাকার ভয় পাইতেছি। যখন তারা পশ্চিম (আফ্রিকার অঞ্চল) হতে মিসরে এসে অবস্থান নিবে তখন তাদের জন্য দুটি ঘটনা ঘটবে। একটি ঘটনা বা যুদ্ধ ঘটবে ফিলিস্তিনে আরেকটি সিরিয়াতে। অতপর কুরাইশের এক মহিলাকে হত্যা করার পর তাদের উপর মুহাজিরগণ ধাবিত হবে। যদি আমি চাই তাহলে তার নামকরণ করতে পারবো। অতপর তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। অতপর একজন বিদ্রোহী বিদ্রোহ করবে। যাকে আব্দুল্লাহ বলা হবে। (দ্বিতীয় সুফিয়ানি) সৃষ্টিজগতের নিকৃষ্ট। সে তার বিষয়কে হিমসে (সিরিয়ার হোমস শহরে) প্রদীপণ করবে। সে দামেস্কে (সিরিয়ার একটি শহরে) আগুন প্রজ্জলিত করবে। আর সে ফিলিস্তিনে বের হবে এবং যে তার বিরোধীতা করবে সে তার উপর প্রকাশ (বিজয় লাভ করবে) পাবে। আর তার হাতেই পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা ধ্বংস হবে। আর তার আহবান হবে নিকৃষ্টতম আহবান। আর তার হত্যা হবে নিকৃষ্টতম হত্যা। সে এক মহিলার গর্ভের মালিক হবে। সে তিনটি সৈন্যদল সহকারে বের হয়ে কূফানে যাবে। তারা সেখানে তারা কাইসের ঘরবাড়ীতে পৌছবে। তারা সেদিন হতে নিস্কৃতির কামনা করবে। আরেক দল যাবে মক্কা ও মদীনার (মাঝামাঝি বায়দা স্থানে) আর সেখানে তাদের উপর ভূমি ধস আসবে।তাদের হতে জুহাইনা গোত্রের দুইজন ব্যক্তি ব্যতিত কেউই বাচতে পারবে না। তাদের মধ্য হতে একজন সিরিয়াতে প্রত্যাবর্তন করবে আরেকজন মক্কার দিকে যাবে।


[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৫ ]
*হযরত আলী ইবনে আবু তালেব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন হুসাইনের বংশধর হতে একজন ব্যক্তি (ইমাম মাহদী) বের হবে। যার নাম হবে (মুহাম্মদ) তোমাদের নবীর নাম। তার প্রকাশের কারনে দুনিয়া ও আসমানবাসী আনন্দিত হবে। অতপর এক ব্যক্তি তাকে বলল হে আমীরুল মুমিনীন! (দ্বিতীয়) সূফইয়ানীর নাম কি? হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন সে হল খালিদ ইবনে ইয়াযীদ ইবনে আবু সুফিয়ানের বংশধর হতে। সে হবে বিশাল মাথার অধিকারী, তার চেহারায় থাকবে গুটিবসন্ত রোগের আলামত থাকবে। তার চোখে থাকবে সাদা ছাপ। তার অবির্ভাব আর হযরত মাহদীর অবির্ভাবে তাদের মাঝে কোন বাদশা থাকবে না। আর সে হযরত মাহদী আলাইহিস সালামের নিকট খেলাফাত অর্পণ করবে। সে সিরিয়ার অন্তর্গত দামেস্কের একটি ওয়াদী (নামক এলাকা) হতে বের হবে। যে ওয়াদীর নাম হবে ওয়াদীল ইয়াবেস। আর সে বের হবে সাতটি দলের মাঝে দলভূক্ত হয়ে তাদের কোন এক ব্যক্তির সাথে। নামানো পতাকা যা তারা সকলেই চিনবে যে, তার পতাকায় (তলে) সাহায্য থাকবে। সে সম্মুখে ত্রিশ মাইল সফর করবে। যারা তাকে (পরাজিত করতে) চাইবে তারা কেহই তার আগমনের ব্যাপারে জানবে না। তারা সকলেই (তার কাছে) পরাজিত হবে। সে (দ্বিতীয় সুফিয়ানী) দামেস্কে এসে দামেস্কের মিম্বরে আসন গ্রহণ করবে। এবং ফক্বীহ ক্বারীদেরকে তার নিকটভাজন বানাবে। সে ব্যবসায়ী ও কর্মজীবিদের মাঝে তরবারী রাখবে। সে ক্বারীদের সংস্পর্শ চাইবে করবে এবং তাদের ব্যাপারে তাদের নিকট সাহায্য কামনা করবে। তাদের থেকে কোন ব্যক্তি তাকে ঐবিষয়ের উপর নিষেধ করতে পারবে না এমনকি সে তাকে হত্যা করবে। আর সে একদল সৈন্য প্রেরণ করবে পূর্বাঞ্চলের (খোরাসান অঞ্চলের) দিকে,আরেকদল পশ্চিমাঞ্চলের দিকে, আরেকদল ইয়ামানের দিকে। আর ইরাকের সৈন্যদলের ওয়ালী বা নেতা হবে বনু হারেসার এক ব্যক্তি। যার নাম হবে ক্বমার ইবনে আব্বাদ। সে হবে মোটা শরীরওয়ালা, তার চুলের দুটি বেণী থাকবে, তার সামনে তার কওমের খাটো আকারের এক ব্যক্তি থাকবে যে হবে টেকো ও তার দুই কাঁধ হবে প্রশস্ত। আর পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীদের (খোরাসান অঞ্চলের) থেকে যারা সিরিয়ায় থাকবে তারা তার (দ্বিতীয় সুফিয়ানির) সাথে যুদ্ধ করবে। আর সেখানে সেদিন তাদের (কালো পতাকাবাহীদের) হতে বিশাল এক দল (সৈন্য) থাকবে। তারা দামেস্ক ও বানিয়্যাহ নামক স্থানের মাঝামাঝি এলাকা তারা যুদ্ধ করবে। পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধে হিমসের অধিবাসীগণ এবং তাদের সাহায্যকারীগণদের প্রত্যেককে সেদিন সুফইয়ানী পরাজিত করবে। অতপর (সিরিয়ার) দামেস্ক ও হিমসে যারা থাকবে তারা সুফইয়ানীর সাথে যাবে এবং তাদের সালীমার দিকে অবস্থিত হিমসের বাদীন নামক এলাকায় পূর্বাঞ্চল (খোরাসান) বাসীদের সাথে সাক্ষাত হবে। আর তখন পূর্বাঞ্চল (খোরাসান) বাসীদের চার ভাগের তিন ভাগ ষাট হাজারের অধিক কিছু লোক তাদের(দ্বিতীয় সুফিয়ানির) সাথে যুদ্ধ করবে। তাতে তারা পরাজিত হবে। আর যেই সৈন্যদল পূবাঞ্চলের দিকে রওয়ানা করেছিল, যখন তারা কূফায় অবস্থান নিবে তখন তাদের মাঝে প্রচন্ড এক যুদ্ধ হবে। তাতে অধিকাংশই মারা যাবে। অতপর কূফাবাসীদের পতন হবে। আর তখন কতইনা রক্ত প্রবাহিত হবে, কতইনা পেট বিদীর্ণ করা হবে, কতইনা সন্তান হত্যা করা হবে, মাল লুণ্ঠন হবে, সতীচ্ছেদ করা হবে, মানুষ মক্কার দিকে পালায়ন করবে। আর সুফইয়ানী উক্ত সৈন্যদলের নেতাকে এইমর্মে পত্র লিখবে যে, তুমি হিজাজের দিকে অগ্রসর হও। অতপর কঠিন এক যুদ্ধের পর সে (দ্বিতীয় সুফিয়ানি) মদীনায় অবস্থান নিবে। আর সেখানে সে কুরাইশদের উপর তরবারী রাখবে ও তাদের এবং আনসারদের চারশ ব্যক্তি হত্যা করবে। অনেক পেট বিদীর্ণ করবে, শিশুদের হত্যা করবে, কুরাইশের বনু হাশেম গোত্রের ভাইবোনকে হত্যা করবে, এবং তাদের দুইজনকে মসজিদের দরজার সাথে শূলিতে চড়াবে। যাদের নাম হবে মুহাম্মাদ ও ফাতেমা। আর মানুষ সেখান (মদিনা) হতে পালায়ন করে মক্কায় চলে যাবে। অতপর সে (দ্বিতীয় সুফিয়ানি) উক্ত সৈন্যসহকারে মক্কার উদ্দেশ্য করে অগ্রসর হয়ে একটি খালি (মক্কা মদিনার মাঝামাঝি) প্রান্তরে অবস্থান নিবে। আর তখন আল্লাহ তা’আলা হযরত জীবরাঈল আলাইহিস সালামকে আদেশ করবেন। তখন তিনি তার আওয়াজে চিৎকার করে বলবেন, হে বাইদা বা খালি প্রান্তুর! তাদের নিয়ে খালি হয়ে (ধ্বংসে) যাও। আর তখন তারা তাদের শেষজন হতে খালি তথা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর তাদের থেকে শুধুমাত্র দুইজন ব্যক্তি জীবিত থাকবে। তাদের সাথে হযরত জীবরাঈল আলাইহিস সালামের সাক্ষাৎ হবে তখন তিনি তাদের চেহারাকে পিছনের দিকে ঘুরিয়ে দিবেন। কেমনযেন আমি তাদের পিছনদিকে হাটতে দেখছি। তারা যাদের সাথে সাক্ষাৎ হচ্ছে তাদেরকে (ঘটে যাওয়া বিষয় সম্পর্কে) অবগত করছে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৬ ]



*হযরত যামরা ইবনে হাবীব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমাদের নিকট এখবর পৌছেছে যে, রাসূল(ﷺ)বলেছেন যে, আমার উম্মতের পাঁচটি স্তর হবে। আর প্রত্যেক স্তরের চল্লিশ বছর। সুতরাং প্রথম স্তর হল আমি ও আমার সাথে যারা ইয়াকীন ও ইলম ওয়ালা রয়েছে। দ্বিতীয় স্তর হল সৎকর্মকারীর ও পূণ্যবানদের স্তর। তৃতীয় স্তর হল পরস্পর সম্পৃক্ততা ও সহানুভূতিশীলদের স্তর। চতূর্থ স্তর হল পরস্পর বিরোধীতা ও বিচ্ছিন্নতাকারীদের স্তর। পঞ্চম স্তর হল বিশৃংখলায় আনন্দ ও উৎফুল্য প্রকাশকারীদের স্তর। আর দুইশত দশ বছরে (বোমা) নিক্ষেপণ, ভূমি ধস, বিকৃত হওয়া পতিত হবে। আর দুইশত বিশ বছরে যমিনের আলেমদের উপর মৃত্যু পতিত হবে। (তারা মারা যাবে) এমনকি একজনের পর আরেকজন ব্যতিত বাকী থাকবে না। আর দুইশত ত্রিশ বছরে আকাশ ডিমের ন্যায় শিলা বৃষ্টি বর্ষণ করবে। ফলে চতুষ্পদজন্তু ধ্বংস হয়ে যাবে। আর দুইশত চল্লিশ বছরে নীল নদ ও ফুরাত নদীর অবসান হয়ে যাবে এমনকি লোকজন উক্ত দুই নদীর পাড়ে শস্য রোপণ করবে। দুইশত পঞ্চাশ বছরে রাস্তার অবসান ও পশু মানুষের উপর কর্তৃত্ব করবে। আর প্রত্যেক জাতি তাদের শহরকে ভালভাবে আকড়ে ধরবে। আর দুইশত ষাট বছরে সূর্য্যকে অর্ধঘন্টার জন্য আটকে দেয়া হবে যার ফলে অর্ধেক মানুষজাতি ও অর্ধেক জ্বীনজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। দুইশত সত্তর বছরে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে না, কোন মহিলা গর্ভধারণও করবে না। দুইশত আশি বছরে নারীজাতি আপতিত খচ্চরের ন্যায় হবে এমনকি একজন মহিলার উপর চল্লিশজন পুরুষ এমনভাবে পতিত হবে যে, তুমি উহার কিছুই দেখবে না। আর দুইশত নব্বই বছরে বছর মাসে, মাস সপ্তাহে, সপ্তাহ দিনে, দিন ঘন্টায় এবং ঘন্ট খেজুর পাতা পোড়ার সময়ের ন্যায় সময়ে পরিনত হবে। এমনকি কোন ব্যক্তি তার ঘর থেকে বের হবে কিন্ত সে সূর্যাস্তের পূর্বে শহরের গেটে পৌছতে পারবে না। তিনশত বছরে পশ্চিমদিক হতে সূর্যোদয় হবে। আর প্রত্যেক অন্তরকে উহার ভিতরে যা আছে তা নিয়েই মহর মেরে দেয়া হবে। সুতরাং ইতিপূর্বে যারা ঈমান আনায়ন করে নাই তাদের ঈমান কোন নফসকে উপকার করতে পারবে না। অথবা ঈমানের মধ্যে কোন মঙ্গল অর্জন করতে পারবে না। আর ঐসময়ের পরের ব্যাপারে কোন কিছু জিজ্ঞাসাও করা হবে না।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৯৭৮ ]

Sunday, February 16, 2020

মিশরের প্রেসিডেন্ট, ও প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়,বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে হাদীসের ভবিষ্যৎ বাণী।


মিশর ও প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়,বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে হাদীসের ভবিষ্যৎ বাণী।

*দূর্নীতি (অর্থাৎ জামাল আবেদন নাসের ও
আনোয়ার সাদাতের জুলুম, অত্যাচার)
দেখা দিবে, তারপর আবার দূর্নীতি (অর্থাৎ হোসনি মোবারকের জুলুম, অত্যাচার)
দেখা দিবে, একপর্যায়ে সে মানুষের উপর তরবারি দিয়ে হামলা করতে উৎসাহিত করবে। তারপর আবারো দূর্নীতি (অর্থাৎ আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি এর জুলুম, অত্যাচার) দেখা দিবে।
তার সময়ে সকল অবৈধ, অন্যায় কাজকে ন্যায় ও বৈধ মনে করা হবে। তার পর সবচেয়ে কাঙ্খিত ব্যাক্তি মুসলমানদের খলিফা ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমন ঘটবে। "
[আল মুত্তাকি আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামাতিল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান, পৃষ্ঠা - ২৬]


* হযরত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, শেষ যমানায় পুরো পৃথিবী ব্যাপী একটি যুদ্ধ হবে। এটা হবে দুইটি বড় যুদ্ধের পর তৃতীয় যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধে অনেক মানুষ ধ্বংস হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে ব্যাক্তি আগুন জ্বালিয়ে দিবে সেই হবে মহান নেতা।

হিজরী ১৩ শতাব্দীর কয়েক দশক পর গ্রীক রাজা সমগ্র বিশ্বের বিপক্ষে যুদ্ধ করবেন এবং আল্লাহ তায়ালা তাকে যুদ্ধের নির্দেশ দিবেন। এর দুই দশক পর জার্মান ভূমি থেকে বিড়ালের নামের সাথে মিল রয়েছে এরকম একজনের (হিটলার)
আবির্ভাব হবে। সে রোমানদের বিপক্ষে চাবুক নিয়ে হাজির হবে এবং লোকজনের নির্যাতন করা শুরু করবে এবং পুরো পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে। সে সমগ্র বিশ্বের বিপক্ষে যুদ্ধ শুরু করবে, এমনকি উষ্ণ অঞ্চল (আফ্রিকার সাহারা মরু) ও শীতল (রাশিয়ার সাইবেরিয়া) অঞ্চলেও যুদ্ধ করবে। সে যখন যুদ্ধক্ষেত্রকে আগুন দ্বারা পরিপূর্ণ করবেন, আর তখনই সে আল্লাহ তায়ালার শাস্তির মুখোমুখি হবে, সে রাশিয়ান গুপ্ত ঘাতক দ্বারা খুন হবে। তারপর হিজরী ১৩ শতাব্দীর সাথে আরো পাঁচ, ছয়, সাত, আট দশক গণনা করার পর মিশরে একজন ব্যক্তি (জামাল আবদেন নাসের)
আসবে, যাকে আরবরা সুচ্চাউল আরব বা, আরবের সাহসী ব্যাক্তি বলে ভূষিত করবে এবং যাকে "নাসের" বলা হবে। আল্লাহ তায়ালা তাকে দুই বার অবজ্ঞা করবেন, একবার যুদ্ধে তারপর আবার। "নাসের " কখনো বিজয়ের দেখা পাবে না। তখন সমস্ত ক্ষমতার মালিক আল্লাহ তায়ালা একজন কালো ব্যাক্তি (আনোয়ার সাদাত)
কে পাঠাবেন, যার পিতা তার তুলনায় উজ্জ্বল বর্নের। আরব ও মিশরের নেতা মসজিদুল আকসা ছিনতাই কারীর সাথে একটি চুক্তি করবেন। তারপর ইরাকে একজন নিষ্ঠুর শাসকের আবির্ভাব হবে, যে দামেস্কের নিকটবর্তী এলাকায় থাকবে, তার চোখে সামান্য আঘাতের চিহ্ন থাকবে, সেই হল সুফিয়ানী। সে তার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, পুরো পৃথিবী থেকে তার জন্য লোকজন একত্রিত হবে, কারণ তার সাথে আগে প্রতারণা করা হয়েছিল। সুফিয়ানীর জন্য ইসলাম ছাড়া এরচেয়ে ভালো কিছু থাকবে না, তার মধ্যে খারাপ ভালো দুটি জিনিসই থাকবে, যদিও সে মাহদীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে। তারপর হিজরী ১৪ শতাব্দীর সাথে দুই বা, তিন দশক গণনা করবে, ঐ সময় মাহদীর আবির্ভাব হবে। সে পুরো পৃথিবীর সকলের বিরুদ্ধে, যারা বিপথগামী হয়ে গেছে (খ্রিস্টানরা) এবং যারা আল্লাহ্‌র ক্রোধের পাত্র (ইহুদীরা) এবং তাদের সাথে ব্যভিচার ও প্রতারণার রানী (আমরিকা)
যার পুরো পৃথিবীকে অবিশ্বাসী ও দ্বিধা বিভক্ত করতে চেষ্টা করে, তারা ইসরা ও মিরাজের ভূমি (ফিলিস্তিন) পর্বতের নিকটে আসবে। তখন ইহুদীরা পৃথিবীতে ভালো অবস্থানে থাকবে, তারা বাইতুল মোকাদ্দাস ও পবিত্র (জেরুজালেম) শহর শাসন করবে। তারা সমুদ্র ও আকাশ পথে তীব্র শীতল অঞ্চল (সাইবেরিয়া) ও তীব্র উষ্ণ অঞ্চল (সাহারা) ছাড়া সবাই তার (মাহদীর) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসবে। মাহদী দেখবে পুরো পৃথিবী তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং সে একই সাথে আল্লাহ্‌র পরিকল্পনাও দেখবে, যা কাফেরদের ষড়যন্ত্রের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। সে দেখবে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর শাসন ক্ষমতা তার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এবং পৃথিবীটা হল একটা গাছের মত, যার মূলে রয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। তিনি সকল অবিশ্বাসী জাতিকে কঠিন দুর্যোগে নিক্ষেপ করবেন এবং তাদেরকে শাস্তি দিবেন। কাফেরদের ভূমি, সমুদ্র ও আকাশ পথকে জ্বালিয়ে দিবেন। অবিশ্বাসী জাতির জন্য আকাশ থেকে ক্ষতিকর বৃষ্টি নিক্ষেপ করা হবে এবং আল্লাহ তায়ালা অবিশ্বাসী জাতিদের কে ধ্বংস করে দিবেন।
(আসমাউল মাসালিক লি ইয়াওমিল মাহদীয়া মালিকি লি কুল্লিদ দুনিয়া বি আমরিল্লাহিল মালিক, লেখকঃ কালদা বিন যায়েদ, পৃষ্ঠা -২১৬)

* হযরত নুয়াইম বিন হাম্মাদের আল ফিতান গ্রন্থে মুহাম্মদ ইবনে আলি থেকে হযরত জাফর (রাঃ) বর্ননা করেন, যখন আব্বাসীয় বংশের লোকেরা খোরাসানে আসবে,
তখন পূর্ব দিকে শিংঙ্গার আকৃতির ন্যায় একটি তারকার জন্ম হবে,
তারপর চন্দ্রগ্রহন এবং সূর্যগ্রহণ হবে। তখন অত্যাচারী জেদ করে বসে থাকবে, যতক্ষণ না মিশরে দাড়-কাক (অর্থাৎ বড় কাক) না আসে।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Hosni_Mubarak
[ আল মুত্তাকি আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামাতিল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান, পৃষ্ঠা - ৩২]

*হযরত দাইলামী তিনি, আবু আলি আল মারদানী থেকে, তিনি আবু জর (রাঃ) থেকে, তিনি বলেন রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কুরাইশ বংশের নাক ছিদ্র ওয়ালা এক লোক মিশরে আত্মপ্রকাশ করবে,
সে আক্রান্ত হবে তার ক্ষমতাও ধ্বংস হবে। "
[ আল মুত্তাকি আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামাতিল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান, পৃষ্ঠা - ৩০]

*হযরত কাব (রাঃ)  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন মিশরে মাখজুমী গোত্রের একজন ক্ষমতা গ্রহণ করবে, তার পর মাওয়ালী দের একজন, তার পর একজন লম্বা, শক্তিশালী, ও রক্তপিপাশু একজন আসবে,
যে লোক তার বিরোধিতা করবে তাকেই সে ধ্বংস করবে। "
[আল মুত্তাকি আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামাতিল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান, পৃষ্ঠা - ৩০]