ইমাম মাহদী আঃ এর সাথে ঈসা আঃ এর দেখা হবে না।
প্রমাণ নিচের হাদিসগুলো।
সবাই দেখি দাজ্জাল কখন আসবে, ঈসা আলাই সালাম কখন আসবেন, এই বিষয়গুলোতে বড় ধরনের ভুল করে বসে আছেন, বড় বড় আলেমরা পর্যন্ত এই বিষয়ে উদাসীন, অথচ হাদিসগুলো অনুসন্ধানী দৃষ্টিকোণ থেকে গবেষণা করলেই বুঝা যায় যে ইমাম মাহাদী যিনি আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ নামে আসবেন, তার অন্তত 60 থেকে 70 বছর পর দাজ্জাল আসবে এবং ঈসা আলাই সালাম আসবেন, প্রমাণ নিম্নে বর্ণিত হাদিসগুলো।
*হযরত আরতাত রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার কাছে সংবাদ পৌঁছেছে যে,(দ্বিতীয়) মাহদি দীর্ঘ চল্লিশ বৎসর জীবিত থাকবেন, এরপর নিজের বিছানায় মৃত্যুবরণ করবে, অতঃপর কাহতান গোত্রের আরেকজন লোক(নাম মানসুর তৃতীয় মাহদী)যার উভয় কান ছিদ্রবিশিষ্ট হবে খলীফা নিযুক্ত হবেন এবং খলীফা মাহদিকে অনুসরণ করবেন। তিনি বিশ বৎসর পর মারা যাবে। মূলতঃ তাকে(অস্ত্রের মাধ্যমে)হত্যা করা হবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বংশধর থেকে একজন লোক খলীফা হবেন, যার নাম(আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ চতুর্থ)মাহদি হবে, তিনি হবেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী। তার হাতে কায়সারের(সম্রাটের)শহর(ইউরোপ)জয় হবে। তিনি উম্মতে মুহাম্মদিয়ার সর্বশেষ আমীর। তার যুগেই দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং হযরত ঈসা ইবনেমারইয়ান আঃ পৃথিবীর বুকে পূনরায় আগমন করবেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২১৪ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1214/
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২১৪ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1214/
* হযরত আরতাত (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,(৪০ বছর নেতৃত্বের পর দ্বিতীয়)মাহদির মৃত্যুবরণ করার পর কাহতানগোত্রের উভয় কান ছিদ্রবিশিষ্ট একজন লোক(নাম মানসুর তৃতীয় মাহদী)শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করবে। তার চরিত্র হবে হুবহু মাহদির মত। তিনি দীর্ঘ ২০ বৎসর পর্যন্ত শাসক হিসেবে থাকার পর, তাকে অস্ত্রের(মাধ্যমে)হত্যা করা হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বংশধর থেকে জনৈক লোকের(চতুর্থ মাহদী আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ)আত্মপ্রকাশ হবে। যিনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী হবেন। তার হাতে কায়সার সম্রাটের শহর(ইউরোপ)বিজয় হবে। তিনিই হবেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উম্মতের মধ্যে সর্বশেষ খলীফা বা বাদশাহ। তার যুগে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং সায়্যিদুনা হযরত ঈসা (আঃ) আসমান থেকে অবতরণ করবেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৩৪ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1234/
*হযরত আরতাত রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উক্ত ইয়ামানী(চতুর্থ মাহদী আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ)খলীফার নেতৃত্বে কুস্তুনতুনিয়া (ইস্তাম্বুল) এবং রোমানদের(কায়সার সম্রাটের শহর ইউরোপ)এলাকা বিজয় হবে। তার যুগে দাজ্জালে আবির্ভাব হবে এবং হযরত ঈসা আঃ আগমন করবেন। তার আমলে ভারতের যুদ্ধ সংগঠিত হবে, যে যুদ্ধের কথা হযরত আবু হুরায়রা বলে থাকেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৩৮ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1238/
*হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, একদা হযরত মুআবিয়া রাযিঃকে সম্মোধন করে বলতে শুনেছি, আমাদের বংশের জনৈক লোক(দ্বিতীয় মাহদী)দীর্ঘ চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত শাসন ক্ষমতা পরিচালনা করবেন। তার খেলাফতের সাত বৎসর বাকি থাকতে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ-বিগ্রহ হবে। অতঃপর আ’মাক নামক স্থানে তার মৃত্যু হলে তাদের বংশের আরেকজন লোক(চতুর্থ মাহদী আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ)শাসনভার গ্রহণ করবেন। তার হাতেই রোমানদের বিরুদ্ধে(কায়সার সম্রাটের শহর ইউরোপ)বিজয় অর্জন হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২১৯ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1219/
*হযরত আবান ইবনুল ওলীদ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ একদিন হযরত মোয়াবিয়া রাযিঃ এর সাথে কথা বলতে গিয়ে তার কাছে যুগের বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আখেরী যামানায় জনৈক লোক(দ্বিতীয় মাহদী)প্রায় চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে, তার রাজত্ব সাত বৎসর বাকি থাকতে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ-বিগ্রহ হতে থাকবে। অসম্ভব পেরেশানীর সম্মুখীন হয়ে আমাক স্থানে মারা যাবে। অতঃপর লম্বা নাকের অধিকারী এক লোকের হাতে ক্ষমতা যাবে, তার হাতে বিজয় আসবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৮০ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1280/
*বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রথমে যে কুস্তুনতিনিয়া নামক এলাকা জয়লাভ করা হবে, অতঃপর রোম বাহিনীর সাথে ভয়াবহ একযুদ্ধ হবে, এবং সে যুদ্ধে রোমবাহিনী মুসলমান বিপক্ষে জয়লাভ করবে। হাদীস বর্ণনাকারী আবুকাবীল বলেন, মুহাম্মদ ইবনে সাঈদ নামক একলোক আফ্রিকিয়্যারে শাসক নিযুক্ত হবে, যিনি মূলতঃ আসবে। এরপর আরেকজন বনি হাশেম থেকে(চতুর্থ মাহদী)আত্মপ্রকাশ করবে, যার নাম হবে ইস্বা ইবনে ইয়াযিদ, সে হবে রোম বাহিনীর(বিরুদ্ধে)নেতৃত্ব দানকারি এবং তার হাতে রোমের বিজয় নিশ্চিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৩৩৭ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1337/
*হযরত আবু কুবাইল রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু হাশেমের জনৈক লোক, যার নাম হবে, আস্বাইগ ইবনে ইয়াযিদ।(চতুর্থ মাহদী)তার হাতেই রোমানদের বিরুদ্ধে(কায়সার সম্রাটের শহর ইউরোপ)বিজয় অর্জন হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২২০ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1220/
*হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্নিত, একদা তার নিকট বারোজন খলীফা এবং আমীরের আলোচনা করা হলে তিনি এরশাদ করেন, আল্লাহর কসম! উক্ত রক্তপাতের পর(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট তৃতীয় মাহদী)খলীফা মনসুর,(চতুর্থ খলিফা)মাহদী সিংহাসনে বসবে। এক পর্যায়ে তারা হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আঃ এর সাথে মিলিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৮২ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1282/
*হযরত কাব রহঃ থেকে বর্নিত তিনি বলেন(কাহতানি)খলিফা মানসূর মাহদী মৃত্যুবরন করার পর আসমান জমিনের অধিবাসি এবং আসমানের পশু পাখি তার জানাযায় শরীক হবে এবং দোয়া করবে। তিনি রোম বাসিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ বিশ বৎসর পর্যন্ত যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন এবং ভয়াবহ এক যুদ্ধে শাহাদাত বরন করবেন। ঐ যুদ্ধে তিনি এবং তার সাথে থাকা আরো দুই হাজারের মত সৈনিক শাহাদাত বরন করবেন। তাদের প্রত্যেকে আমীর এবং ঝান্ডাবাহী। রাসূলুল্লাহ সাঃ দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার পর মুসলমান এত মারাত্মক আর কোন মসিবতের সম্মুখিন হয়নি।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২৯৯ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1299/
*কাইস আস-সাদাফী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন,(দ্বিতীয়) মাহদির পর জনৈক কাহতানী(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট খলিফা মনসুর)নামক লোক(তৃতীয় মাহদী)শাসক নিযুক্ত হবে। কসম সেই সত্ত্বার যিনি আমাকে হক্ব নিয়ে প্রেরণ করেছেন, তার হাতেই বিজয় হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১২২১ ]
*আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত কাহ্তান গোত্র হতে(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট)এমন এক ব্যক্তির আগমন না হবে(নাম মানসুর তৃতীয় মাহদী)যে মানুষ জাতিকে তার লাঠির সাহায্যে পরিচালিত করবে।
[সহিহ বুখারী তাওহীদ প্রকাশনী হাদিস নং ৩৫১৭ ]
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=27882
[৭১১৭, মুসলিম ৫২/১৮ হাঃ ২৯১০]
[আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৬৬]
*কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কিয়ামত কায়িম হবে না যতক্ষন না কাহতান গোত্র হতে(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট)এক ব্যক্তির আবির্ভাব হবে, যে লোকদেরকে লাঠি দ্বারা পরিচালিত করবে।
[সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)হাদিস নম্বরঃ ৭০৪৪]
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=19367
*আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত কাহতান গোত্র হতে এমন(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট) এক ব্যক্তির আগমন না হবে যে মানুষ জাতিকে তার লাঠির সাহায্যে পরিচালিত করবে।
[আল-লুলু ওয়াল মারজান হাদিস নম্বরঃ ১৮৪৪]
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৬১ : মর্যাদা ও গুণাবলী, অধ্যায় ৭, হাঃ ৩৫১৭; মুসলিম, পর্ব ৫২ : ফিতনা এবং তার অশুভ আলামতসমূহ, অধ্যায় ১৮, হাঃ ২৯১০ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=85072
*আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... মুহাম্মদ ইবনু জুবায়ের ইবনু মুত্'ঈম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মু'আবিয়া (রাঃ) এর নিকট কুরাইশ প্রতিনিধিদের সহিত তার উপস্থিতিতে সংবাদ পৌছলো যে, আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) বর্ণনা করেন, অচিরেই কাহতান বংশীয়(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট মানসূর নামক)একজন বাদশাহর আবির্ভাব ঘটবে। ইহা শুনে মু'আবীয়া (রাঃ) ক্রোধান্বিত হয়ে খুত্বা দেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আল্লাহর যথাযোগ্য হামদ ও সানার পর তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি, তোমাদের মধ্য হতে কিছু সংখ্যক লোক এমন সব কথাবার্তা বলতে শুরু করেছ যা আল্লাহর কিতাবে নেই এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও বর্ণিত হয়নি। এরাই মূর্খ, এদের থেকে সাবধান থাক এবং এরূপ কাল্পনিক ধারনা হতে সতর্ক থাক যা এর পোষণকারীকে বিপথগামী করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি যে, যতদিন তারা দ্বীন কায়েমে নিয়োজিত থাকবে ততদিন খিলাফত ও শাসন ক্ষমতা কুরাইশদের হাতেই থাকবে। এ বিষয়ে যে-ই তাদের সহিত শত্রুতা করবে আল্লাহ তাকে অধঃমুখে নিক্ষেপ করবেন (অর্থাৎ লাঞ্ছিত ও অপমানিত করবেন)।
[সহীহ বুখারী (ইফাঃ)হাদিস নম্বরঃ ৩২৫১]
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) http://www.hadithbd.com/share.php?hid=3509
হাদীস বড় হওয়ার কারণে প্রাসঙ্গিক বিষয় উল্লেখ্য করা হলো।
*পূর্বদিকের জনৈক লোক এগিয়ে আসবে, সে লোক হবে খুবই লম্বা এবং মোটাসোঁটা তার সাথে যার দেখা হবে তাকে হত্যা করবে এক পর্যায়ে বায়তুল মোকাদ্দাসে প্রবেশ করবে। হঠাৎ তার উপর একটি জানোয়ার চড়াও হলে মারা যাবে। যার কারণে পৃথিবী আবারো অনাচারে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। এরপর মুজার গোত্রের আরো একজন লোক আমীর নিযুক্ত হবে, যাকে কতিপয় ভালো লোকজন হত্যা করতে সামর্থ্য হবে। এরপর মুজারী, আম্মানী, কাহতানী গোত্রের জনৈক লোক(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট মানসূর)আমীর হবে। যে মূলতঃ মাহদি চরিত্রে চরিত্রবান হবে এবং তার হাতে রোমানদের শহর জয় হবে। লেখক আবু আব্দুল্লাহ নুআঈম রহঃ বলেন, তিনি এক্্লা নামক এক গ্রাম থেকে বের হয়ে আসবেন, যে গ্রামটি সানা নামক শহর থেকে এক মারহালা পিছনে অবস্থিত, তার পিতা কুরাশি হলেও মাতা হবেন ইয়ামানী।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৩৭ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1137/
*পূর্বদিকের জনৈক লোক এগিয়ে আসবে, সে লোক হবে খুবই লম্বা এবং মোটাসোঁটা তার সাথে যার দেখা হবে তাকে হত্যা করবে এক পর্যায়ে বায়তুল মোকাদ্দাসে প্রবেশ করবে। হঠাৎ তার উপর একটি জানোয়ার চড়াও হলে মারা যাবে। যার কারণে পৃথিবী আবারো অনাচারে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। এরপর মুজার গোত্রের আরো একজন লোক আমীর নিযুক্ত হবে, যাকে কতিপয় ভালো লোকজন হত্যা করতে সামর্থ্য হবে। এরপর মুজারী, আম্মানী, কাহতানী গোত্রের জনৈক লোক(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট মানসূর)আমীর হবে। যে মূলতঃ মাহদি চরিত্রে চরিত্রবান হবে এবং তার হাতে রোমানদের শহর জয় হবে। লেখক আবু আব্দুল্লাহ নুআঈম রহঃ বলেন, তিনি এক্্লা নামক এক গ্রাম থেকে বের হয়ে আসবেন, যে গ্রামটি সানা নামক শহর থেকে এক মারহালা পিছনে অবস্থিত, তার পিতা কুরাশি হলেও মাতা হবেন ইয়ামানী।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৩৭ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1137/
*হযরত ইবনে শিহাব যুহরী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (দ্বিতীয়)মাহদি আঃ এর মৃত্যুর পর লোকজনের মাঝে ফেৎনা, বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ঐ সময় বনু মাখজুমের জনৈক লোক এগিয়ে এসে নিজের জন্য বাইয়াত গ্রহণ করতে থাকবে। কিছুদিন তার রাজত্ব চলার পর সে মানুষকে খাদ্য থেকে বঞ্চিত করবে। তার এসব কাজের কেউ বিরুদ্ধাচরণ করবেনা। এরপর মানুষের জন্য দান করা বন্ধ করে দিবে, কিন্তু তারপরও তার কাজের প্রতিবাদ করার মত কাউকে পাওয়া যাবেনা। একদিন বায়তুল মোকাদ্দাস পৌছলে সে এবং তার সাথিরা টালমাটাল হয়ে যাওয়া চাকার মত হয়ে যাবে। তার ঘরের মহিলারা উলঙ্গ প্রায় হয়ে স্বর্ণরূপা পরিধান করতঃ বাজারে ভ্রমণ করতে থাকবে। কিন্তু তাদেরকে সংশোধন করে দেয়ার মত কাউকে পাওয়া যাবেনা। ইয়ামান থেকে বনুকুজাআহ, মুয়হাজ্ব, হামদান, হিমইয়ার, আযদি, গাছদান এবং যারা তার কথা শুনেনা তাদের সকলকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দিবে। এক পর্যায়ে তাদেরকে বের করা দেয়া হলে তারা এসে ফিলিস্তিনের এক পাহাড়ের চুড়ায় আশ্রয় নেয়। অন্যদিকে জাদীয়, লাখাম ও জুযাম এবং আরো অনেকে শাসকের এহেন আচরনে ক্ষুব্ধ হয়ে খাবার-পানি নিয়ে এগিয়ে আসবে। ইউসুফ আঃ যেমন তার ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন এরাও এসব লোকের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। এমন মুহূর্তে হঠাৎ আসমান একটি গায়েবী আওয়াজ আসবে, যা কোনো মানুষ কিংবা জ্বিনের কণ্ঠ থাকবেনা। সে বলবে ‘তোমরা অমুকের হাতে বায়আত গ্রহণ করো, তোমরা হিজরতের পর পূনরায় পিছনে ফিরে যেয়োনা। তারা সকলে এদিক ওদিক দৃষ্টি দিয়ে কাউকে দেখতে পাবে না। এভাবে তিনবার গায়েবী আওয়াজ আসলে, তারা সকলে(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট তৃতীয় মাহদী)মানসূরের হাতে বায়আত গ্রহণ করবে। অতঃপর দশজনের একটি প্রতিনিধিদল মাখযূযির কাছে পাঠানো হলে তাদের নয়জনকে সে হত্যা করবে, কেবল একজনকে জীবিত রাখবে। এরপর পাঁচজনের আরেকটি দল প্রেরণ করলে তাদের চারজনকে হত্যা করে একজনকে জীবিত রাখা হবে। অতঃপর তিনজনের আরেকটি প্রতিনিধি পাঠানো হলে দুইজনকে হত্যা করে একজনকে জীবিত রাখা হবে। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর মুসলমানরা তার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করবে এবং তার সাথীবর্গসহ তাকে(কাহতানিকে অস্ত্রের মাধ্যমে) হত্যা করা হবে। গোপনে পলায়নকারী ব্যতীত কেউ বাঁচতে পারবেনা। প্রত্যেক কুরাশীকে হত্যা করা হবে। তখন হাজারো তালাশ করেও একজন কুরাশী পাওয়া যাবেনা, যেমন বর্তমানে কেউ জুরহুম গোত্রের কাউকে তালাশ করে পাওয়া যাবেনা। ঠিক তেমনিভাবে কুরাইশ গোত্রের লোকজনকেও ব্যাপকভাবে হত্যা করা হলে, পরবর্তীতে আর তাদের কাউকে পাওয়া যাবে না।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৩৬ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1136/
*হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিয়ামত সংগঠিত হবেনা যতক্ষণ না কাহতান এলাকার(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট)এক লোক মানুষকে তার অধীন করবেন না।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৩৯ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1139/
*হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, কিয়ামতের পূর্বে কাহতান এলাকার(দুই কানে ছিদ্রবিশিষ্ট)জনৈক লোক তার শাসনের লাঠি দ্বারা মানুষকে তার অধীন করে নিবেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৪০ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1140/
*হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হাজ্জাজ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স রাযিঃ হিসাব করে বলতেন(প্রথম মাহদীর পর)প্রথমে জালেম শাসক হবে জাবের, অতঃপর(দ্বিতীয়)মাহদি, এরপর(তৃতীয় মাহদী)মানসুর, অতঃপর সালাম, এরপর আমীরুল গজব আমীর নিযুক্ত হবে। এরপর যাদের সাধ্য রয়েছে, তারা যেন মৃত্যু বরণ করে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১১৪৪ ]
https://habibur.com/kitab/nuaim/id.1144/